tag:blogger.com,1999:blog-88184200502039383382024-03-13T09:37:15.930-07:00জাজাফীUnknownnoreply@blogger.comBlogger173125tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-82151487395779848932016-09-03T07:23:00.003-07:002016-09-03T07:23:55.681-07:00আমাদের বিবেক<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<!--[if gte mso 9]><xml>
<w:WordDocument>
<w:View>Normal</w:View>
<w:Zoom>0</w:Zoom>
<w:PunctuationKerning/>
<w:ValidateAgainstSchemas/>
<w:SaveIfXMLInvalid>false</w:SaveIfXMLInvalid>
<w:IgnoreMixedContent>false</w:IgnoreMixedContent>
<w:AlwaysShowPlaceholderText>false</w:AlwaysShowPlaceholderText>
<w:Compatibility>
<w:BreakWrappedTables/>
<w:SnapToGridInCell/>
<w:WrapTextWithPunct/>
<w:UseAsianBreakRules/>
<w:DontGrowAutofit/>
</w:Compatibility>
<w:BrowserLevel>MicrosoftInternetExplorer4</w:BrowserLevel>
</w:WordDocument>
</xml><![endif]--><br />
<!--[if gte mso 9]><xml>
<w:LatentStyles DefLockedState="false" LatentStyleCount="156">
</w:LatentStyles>
</xml><![endif]--><!--[if gte mso 10]>
<style>
/* Style Definitions */
table.MsoNormalTable
{mso-style-name:"Table Normal";
mso-tstyle-rowband-size:0;
mso-tstyle-colband-size:0;
mso-style-noshow:yes;
mso-style-parent:"";
mso-padding-alt:0in 5.4pt 0in 5.4pt;
mso-para-margin:0in;
mso-para-margin-bottom:.0001pt;
mso-pagination:widow-orphan;
font-size:10.0pt;
font-family:"Times New Roman";
mso-ansi-language:#0400;
mso-fareast-language:#0400;
mso-bidi-language:#0400;}
</style>
<![endif]-->
<br />
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;"><br /></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;">জাজাফী</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;">নিজের
কাজটি সঠিক ভাবে করে যাওয়াই দেশ প্রেম। যে তার নিজের কর্তব্য কাজ সঠিক ভাবে করেনা
সে প্রকারান্তে দেশ প্রেম থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছে। আর যে দেশকে ভালবাসেনা সেইতো
দেশের জন্য বোঝা স্বরুপ। স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে আমাদের জন্মের অনেক আগে।তার পর
ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথে নানা সময় স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস পরিবর্তিত হয়েছে।
যেন অনেকটা নদীর স্রোতের মত এই একদিকে যাচ্ছে তো কিছুক্ষণ পর দিক পরিবর্তন হচ্ছে।
সময়ের সাথে সাথে তাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও বাক নিয়েছে নানা দিকে। সবাই দাবী করে
তারাই সত্যের পথে আর বাকিরা মিথ্যা বানোয়াটি। এর পর যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে
আমাদের সামনে তুলে ধরা হলো স্বাধীনতার বিপক্ষের মানুষ আর স্বপক্ষের মানুষ এই দুই
ধরনের শ্রেনী ব্যবধান।আপাত দৃষ্টিতে ১৯৭১ সালে যারা দেশ স্বাধীন হোক এটার পক্ষে
ছিল তারাই স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোক আর যারা অখন্ড পাকিস্তান চেয়েছিল তারা
স্বাধীনতার বিপক্ষের লোক।কালে কালে এ ঘাটের জল ও ঘাটে গড়িয়েছে এবং আমাদের সময়েই
কতিপয় স্বাধীনতার বিপক্ষের লোকের অপরাধ প্রমান করে মৃত্যু দন্ড প্রদান করা হয়েছে।
তার মানে এ প্রশ্ন এক দিক থেকে অবান্তর যে কে স্বাধীনতার বিপক্ষে। কারণ এখন সবাই
বুঝে গেছে জেনে গেছে কে বা কারা স্বাধীনতার বিপক্ষে।মুক্তিযুদ্ধে যারা প্রাণ বাজি
রেখে এই দেশ স্বাধীন করেছিল তাদের অনেকেই খেতাব ধারী। আবার তারাই সময়ে সময়ে এমন সব
কান্ড ঘটিয়েছে যা দেখে মনে হয় তারাও স্বাধীনতার বিপক্ষে। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা
করেছিল তারাও স্বাধীনতার বিপক্ষে।মনে পড়ে কর্ণেল তাহেরের কথা? তিনিও খেতাব প্রাপ্ত
মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং তাকে ফাসী দেওয়া হলো।যারা ফাসী দিল তাদেরকেও যুক্তি তর্কে
স্বাধীনতার বিপক্ষের লোক বলে প্রমান করা যাবে। অথচ তারাও ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।
স্বাধীনতার বিপক্ষে কারা সেটা বের করার আগে জানা উচিত স্বাধীনতার স্বপক্ষে কারা।
স্বাধীন এই দেশটাকে যারা মনে প্রাণে ভালবাসে এবং দেশের সার্বিক মঙ্গল কামনা করে
তারাই স্বাধীনতার পক্ষের লোক এর বাইরে যারা আছে তারা সবাই স্বাধীনতার বিপক্ষের
লোক।যে ট্রাফিক পুলিশ টাকার বিনিময়ে অবৈধ পন্য বোঝাই ট্রাক ছেড়ে দেয় সে স্বাধীনতার
বিপক্ষে। যে অবৈধ পন্য স্বাধীন এই দেশে প্রবেশ করায় সে স্বাধীনতার বিপক্ষে।
পরীক্ষার সময় যারা প্রশ্ন পত্র ফাস করে তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে। যারা শিক্ষার
আনুপাতিক মান বাড়ানোর জন্য গণ হারে এ প্লাস দেওয়ার ফরমান জারি করে তারা স্বাধীনতার
বিপক্ষে।যারা ক্রিকেট দল ভাল খেললে তাদের মাথায় তুলে নাচে এবং খারাপ খেললে বাবা মা
তুলে গালি দেয় তারাও স্বাধীনতার বিপক্ষে।শরীরে শক্তি থাকার পরও কাজ না করে যারা
ভিক্ষা করে এবং ডাকাতি ও ছিনতাই করে তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে।ভোটের সময় যারা
মিষ্টি কথা আর প্রতিশ্রুতির বান ডেকে ক্ষমতায় যাওয়ার পর জনগনের কথা মনে রাখেনা
তারাও স্বাধীনতার বিপক্ষে।যারা সরকারী দলকে চাপে রাখতে পণ্য আটকে রেখে বাজারে
কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে।বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে সিট
পেতে হলে যাদের কথা মত উঠবস করতে হয় তারাও স্বাধীনতার বিপক্ষে। স্বাধীনতার বিপক্ষে
প্রকারান্তে অনেকেই।তাই কেবল মাত্র চিহ্নিত লোক গুলোকেই স্বাধীনতার বিপক্ষের লোক
মনে করে বাকিদের কথা ভুলে গেলে চলবে না। স্বাধীনতার বিপক্ষের মানুষগুলোকে শুধরে
দিতে না পারলে স্বাধীনতার সুফল পাওয়া যাবেনা কোন দিনই।। </span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;">……………………………………………………………………………………………………………</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<br /></div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-15541810961752326032016-09-03T07:22:00.000-07:002016-09-03T07:22:08.483-07:00মানুষ গড়ার কারিগর যদি মানুষ না হয় তবে সে কি শেখাবে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
মানুষ গড়ার কারীগর যদি নিজেই মানুষ না হয়,তবে সে কি করে মানুষ গড়বে?</div>
<div style="text-align: justify;">
আমাদের কোমলমতি শিশু-কিশোর যারা বিদ্যার্জন নামক দুর্লভ বস্তু আহরণের
জন্য দিন-রাত ছুটছে, তাদের অবস্থা খুবই নাজুক। বর্তমান যুগে যারা আধুনিক
অভিভাবক, তাদের অধিকাংশের সন্তান একটি বা দু'টি। ফলে আমাদের সন্তানদের
প্রতি আমাদের প্রত্যাশা এতো বেশি যে, সন্তানকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট,
বড় আমলা, বিজ্ঞানী সবকিছু বানাতে হবে, এমন ভাবনায় আমরা পাগলের মতো
দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছি। আর এ সুযোগ নিচ্ছে বিদ্যা নিয়ে বর্তমানে ব্যব<span class="text_exposed_show">সায়
জড়িত শিক্ষক ও বিদ্যাপিঠের মালিক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি। ছেলেমেয়েদের আমরা
এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করতে দিতে চাই না। এমনিতেই ঢাকা শহরের শিশু-কিশোরদের
জন্য খেলাধুলার কোনো সুযোগ নেই, অধিকন্তু অতিরিক্ত লেখাপড়ার চাপে শিশুদের
মানসিক ও স্বাভাবিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে তাদের হয়ত ভিন জগতের মানুষে
পরিণত করছি আমরা। </span></div>
<div class="text_exposed_show" style="text-align: justify;">
শিশু-কিশোরদের সামাজিকীকরণ যে একটি প্রকৃত ও অতি প্রয়োজনীয় শিক্ষা তা
বুঝতে চেষ্টা করি না। অতি ব্যস্ততার কারণে আমরা যেমন আত্মীয়স্বজনের বাড়ি
বেড়াতে যাই না, তেমনি কোনো আত্মীয়স্বজন বাসায় এসে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার
ক্ষতি করুক, সেটাও পছন্দ করি না। ফলে ছেলেমেয়েরা আত্মীয়দের তেমন চেনে না।
যৌথ পরিবার না থাকায় চাচাতো মামাতো ভাইবোন বা অন্যান্য নিকটাত্মীয়দের
মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি হয় না। এর ফলে আমরা আমাদের অজান্তেই শিশুদের এক ঘরে করে
ফেলছি। তাই আজকালকার শিশু কিশোররা অন্তঃমুখী হয়ে বেড়ে উঠছে এবং তারা নতুন
পরিবেশে বা অপরিচিতজনদের কাছ থেকে নিজেদেরকে লুকিয়ে রাখতে
স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। যা কোনোভাবেই সুস্থ আচরণের বহিঃপ্রকাশ নয়।<br />
অতিরিক্ত লেখাপড়ার চাপ শিশুদের শুধু যে মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে বা
মানসিক পীড়া সৃষ্টি করে, তা নয়, এটি তাদের শারীরিক সমস্যাও সৃষ্টি করে।
সমপ্রতি চিকিৎসা বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী ল্যানচেট-এ প্রকাশিত এক গবেষণায়
প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, এশিয়ার প্রধান প্রধান শহরের বিদ্যালয়ে
লেখাপাড়া শেষ করা শিক্ষার্থীদের ৯০ শতাংশ ক্ষীণদৃষ্টি সমস্যায় ভুগছে।
গবেষকরা বলেছেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার অতিরিক্ত চাপ এবং বাইরের প্রাকৃতিক আলো
থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণেই ক্ষীণদৃষ্টিজনিত সমস্যা এত প্রকট আকার ধারণ
করেছে।<br />
তাই আসুন আমাদের শিশু কিশোরদের সত্যিকার শৈশব কৈশর ফিরিয়ে
দিই। ওদের জীবন হয়ে উঠুক আনন্দঘন। কোচিং আর প্রাইভেট টিউটরদের দৌরাত্ব কমে
যাক এটা প্রত্যাশা করি এবং সেই সাথে স্কুল গুলোতে যেন শিক্ষকেরা আগের মত
আন্তরিকতা নিয়ে পড়ান সেই জোর দাবী জানাই। শিক্ষক স্কুলে নিজ দায়িত্ব সঠিক
ভাবে পালন না করে ছাত্রছাত্রীকে বাসায় প্রাইভেটে আসতে বলার যে প্রচলন শুরু
হয়েছে তা বন্ধ হওয়া উচিত। ওই সব শিক্ষকদের বলতে চাই কদিনইবা বাচবেন তাহলে
এতো ফাকিবাজি করে ধান্দা করে টাকা আয় করে কি হবে বলুন? আপনারা নাকি শিক্ষক
আর শিক্ষক নাকি মানুষ গড়ার কারীগর। আপনারা নিজেরাইতো মানুষ হতে পারেন নি
তাহলে অন্যকে কিভাবে মানুষ করবেন?<br />
--------- <a class="profileLink" data-hovercard="/ajax/hovercard/page.php?id=631341636932821" href="https://web.facebook.com/chotoderbondhu2/">ছোটদেরবন্ধু</a></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-82649674905586772692016-09-03T07:15:00.000-07:002016-09-03T07:15:25.940-07:00কি শিক্ষা দিচ্ছে কোমল মতি শিশুদের<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
বাংলাদেশের সেই সব অভিভাবকদের কাছে আমাদের প্রশ্ন যাদের সন্তানদের দেশ
সেরা স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য সকাল সন্ধ্যা বাচ্চার উপর বইয়ের বোঝা চাপিয়ে
দিয়েছেন এবং কেউ কেউ মোটা অংকের ডোনেশান দিয়েছেন আপনারা কি বলতে পারেন যদি
নামি দামি সেই সব স্কুলে বাচ্চাকে ভর্তি করানোর পরও সেই বাচ্চাকে সেই
স্কুলের স্যারদের কাছে কিংবা অন্য কোন স্যার বা কোচিংএ প্রাইভেট পড়াতেই হবে
তাহলে নামি দামি স্কুলে ভর্তি করে লাভ কি?</div>
<div style="text-align: justify;">
যে টাকা ওই স্কুলে ভর্তির জন্য বাচ্চার পিছনে খরচ করেছেন কিংবা ডোনেশান দিয়েছেন কিংবা কোচ<span class="text_exposed_show">িং
প্রাইভেট করে খরচ করেছেন সেই টাকা আপনার হাতে রাখুন। বাচ্চাকে বাসার পাশের
অখ্যাত কোন স্কুলে ভর্তি করান। তার পর সেই হাতে রাখা টাকা গুলো বাচ্চার
পড়াশোনার এবং সার্বিক কল্যানের জন্য খরচ করুন। দেখবেন আপনার বাচ্চা ওই সব
নামি দামি স্কুলের সেরা ছাত্র ছাত্রীর চেয়ে কোন অংশেই খারাপ রেজাল্ট করবে
না। বরং তার উপর প্রেশার কম থাকায় সে বরং পড়াশোনার পাশাপাশি কোকারিকুলার
একটিভিটিস গুলোতেও ভাল করবে।তাদের শৈশব কৈশর হারিয়ে যাবেনা।</span></div>
<div class="text_exposed_show" style="text-align: justify;">
মূল কথা হচ্ছে ভাল স্কুলে ভর্তির জন্য যদি এতোই দৌড়ঝাপ করবো তাহলে কেন
বাচ্চাকে ধর্ম কিংবা শারিরীক শিক্ষা বিষয়েও স্কুলেরই টিচারের বাসায়
প্রাইভেট পড়তে যেতে হবে? ভাল স্কুল নামি দামি স্কুল তাহলে আপনার বাচ্চাকে
কি দিচ্ছে? সেই স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য কেন তবে উঠে পড়ে লেগেছেন? আপনি
জানেন যে আপনি নিজে আপনার সন্তানের মেধাকে আপনার সন্তানের সুন্দর শৈশব
কৈশরকে ধ্বংস করছেন! নাহ এই সহজ কথাটা বোঝার মত জ্ঞান সৃষ্টিকর্তা আপনাকে
দেয়নি।<br />
কোচিং প্রাইভেটে যদি যেতেই হয় তাহলে নামি দামি স্কুল আর ঘরের
পাশের সাধারণ স্কুলের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? চলুন তবে বুয়েট মেডিকেল ঢাকা
ভার্সিটি বা অন্য যে কোন ভার্সিটিতে যে কোন বিভাগে গিয়ে খোজ নিয়ে জেনে নেই
কে কোন স্কুল থেকে পড়ে এসেছে। অধিকাংশই গ্রাম থেকে মফস্বল শহর থেকে এসেছে।
আমি দিনাজপুরের কথাই বলি। দিনাজপুরের সাধারণ স্কুল থেকে যে হারে
বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট মেডিকেলে চান্স পাচ্ছে এই শহরের নামি দামি স্কুল থেকে
পাশ করা ছাত্ররা আনুপাতিক ভাবে সেই হারে চান্স পাচ্ছেনা। সাধারণ স্কুলের
ছাত্রটির জন্য যা ব্যয় হয়েছে তার দশগুন ব্যয় হচ্ছে শহরের ছাত্র ছাত্রীর
জন্য। এই যে ব্যয় হচ্ছে এটা তৈরি করেছি আমরা নিজেরা অভিভাবকেরা। আমার মনে
করছি ভাল স্কুলে ভর্তি না করলে আমাদের সন্তানেরা ভাল মানুষ হতে পারবে না
প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেনা। এটা সম্পুর্ন ভুল ধারনা। বেরিয়ে আসুন আপনাদের
দিবাস্বপ্ন থেকে। বাস্তবতা বুঝতে চেষ্টা করুন। এই সব শিক্ষাবানিজ্যের
বিরুদ্ধে এখনি সোচ্চার হোন। নতুবা আপনার আমার সন্তান ভাই বোন কাগজে কলমে
ভাল রেজাল্টধারী হবে কিন্তু বাস্তব জীবনে কি হবে সেটা সময়ই বলে দেবে।<br />
প্রাইভেট এবং কোচিং যেখানে করতেই হচ্ছে সেখানে নামি দামি স্কুলে পড়ানো আর
না পড়ানো সমান কথা। বরং ওই সব প্রতিষ্ঠান একই সাথে আপনার সন্তানের উপর নানা
প্রেশার তৈরি করছে এবং আপনার পকেট খালি হচ্ছে। তাই মিছেই ভ্রমের পিছনে
ছুটবেন না। বাচ্চার ভবিষ্যতের কথা যদি চিন্তা করতেই হয় তবে ভেবে দেখুন আপনি
ভুল পথেই এগোচ্ছেন।<br />
--- <a class="profileLink" data-hovercard="/ajax/hovercard/page.php?id=631341636932821" href="https://web.facebook.com/chotoderbondhu2/?pnref=story" id="js_gq" role="null">ছোটদেরবন্ধু</a></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-85920504604792475242016-06-21T21:29:00.001-07:002016-06-21T21:29:58.003-07:00বিভাজিত বাঙালী জাতিসত্ত্বা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
আমরা শত ভাগে বিভক্ত এক জাতি। যদি দশজন বাঙ্গালী কবি সাহিত্যিকের নামের
তালিকা করতে বলি দেখা যাবে সেখানে প্রথম সারির কবি সাহিত্যিকরা থাকবেন
কিন্তু যদি একজন কবি বা সাহিত্যিককে নির্বাচিত করতে বলি তো রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর কাজী নজরুল ইসলামের নাম অবলিলাক্রমে বাদ পড়বে। একদল রীবন্দ্রনাথের
নাম কেটে নজরুলের নাম বসাবে আর একদল নজরুলের নাম কেটে রবীন্দ্রনাথের নাম
বসাবে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
দশজন রাজনীতিবিদের নামের তালিকা করতে বললে দেখা যাবে শেরে বাংলা থেকে ভাসানী হয়ে বঙ্গবন্ধু অবধারিত ভাবেই থাকবেন। জিয়াউর রহমান এরশা<span class="text_exposed_show">দও
হয়তো থাকবে এবং মতিউর রহমান নিজামিরাও মতাদর্শীদের তালিকায় ঠাই পাবে।
কিন্তু যদি একজনের নাম উল্লেখ করতে বলা হয় তবে বাদ পড়বেন শেরে বাংলা বাদ
পড়বেন ভাসানী জিয়াউর রহমান এবং বঙ্গবন্ধুকেও বাদ দিবে এ দেশের অনেক মানুষ।
নিজের মতাদর্শের বাইরের কাউকেই আমরা কৃতীত্ব দিতে রাজি নই। তাহলে দেশটাকে
আমরা উন্নত করবো কি করে?</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="text_exposed_show" style="text-align: justify;">
এ
দেশের রাস্তায় রাস্তায় গিয়ে মতামত নিয়ে দেখুন দেশের অগণিত টিভি চ্যানেলের
একটাকেও কেউ নিরপেক্ষ হিসেবে ভোট দিবেনা। একটা পত্রিকাকেও নিরপেক্ষ হিসেবে
দেখেনে এ দেশের প্রতিটি মানুষ।<br />
বাসের কন্ট্রাকটর মনে করে যাত্রীরা
তাকে জোর করে কম ভাড়া দিচ্ছে আর যাত্রীরা মনে করে বাসের লোকেরা জোর করে
তাদের থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছে।<br />
মেয়েরা মনে করছে নিয়মিত তারা
বৈষম্যের শিকার হচ্ছে আর ছেলেরা মনে করছে সম অধিকারের নামে মেয়েদের নানা
ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।<br />
<br />
সরকারী দল মনে করে বিগত সময়ে
যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কিছুই করেনি,সব উন্নয়ন তারা করেছে। আর বিরোধী দল
মনে করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।<br />
ট্রেনের যাত্রীদের অনেকেই মনে করে ট্রেনতো সরকারের টাকায় চলে। ভাড়া না
দিলেইবা কি আর টিটি মনে করে যাদের থেকে টাকা নিলাম তারাতো ফাও। টাকা গুলো
জমা না দিলেইবা কি।<br />
বাংলা মিডিয়ামের ছেলে মেয়েরা মনে করছে আরে ধুর
ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলে মেয়েরা আবার কিছু শেখে নাকি? আর ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলে
মেয়েরা মনে করছে বাংলা মিডিয়ামে পড়ে কি জীবনে কিছু করা যায় নাকি।<br />
<br />
রাজউকিয়ানরা বলছে "রাজউকিয়ান্স আর বর্ন টু লিড" ডিআরএমসি খোচা দিচ্ছে এনডিসিকে আর এনডিসি খোচাচ্ছে অন্যদেরকে।<br />
বুয়েটিয়ানরা পাত্তা দিচ্ছেনা ঢাবিকে আর ঢাবি পাত্তা দিচ্ছেনা বুয়েটিয়ানদের।<br />
সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই মনে করছে বেসরকারীতে কি আর কোন লেখাপড়া হয়।
হুদাই বিশাল সিজিপিএ দেওয়া হচ্ছে। আর বেসরকারীরা মনে করছে সরকারীতে পড়ে
জীবনে কিছুই করা যায়না। সময় নষ্ট হয়।<br />
<br />
মেসি ভক্তরা মনে করে রোনালদো মেসির ধারে কাছেও নেই আর রোনালদো ভক্তরা মনে করছে মেসি আবার খেলা শিখলো কবে?<br />
মেরাডোনা আর পেলের কথা বাদই দিলাম। তারা গলা ফাটিয়ে নিজেদের ঢোল পিটিয়ে কি
প্রমান করতে চাইছে তা জানিনা। নিজেদের সেরা বলা না বলায় পাবলিকের কিছু যায়
আসেনা। পাবলিক নিজে যা মনে করে তাই করবে। বিশেষত বাঙ্গালীরাতো অবশ্যই।<br />
একটা গল্প শুনুন। অনেক বছর আগে মাগুরাতে নিতাই রায় চৌধুরী তার মাকে বলেছে
মা এবার কিন্তু নির্বাচনে নৌকা নেই। তাই তুমি আমার লাঙ্গলেই ভোট দিও।
বৃদ্ধা মা ছেলেকে কথা দিয়েছেন। নির্বাচন বুথে গিয়ে দেখলেন নৌকা আছে তখন
নিজের ছেলেকে ভোট না দিয়ে তিনি নৌকাতেই ভোট দিলেন। বাড়ি ফিরে বললেন কিরে
নিতাই এবার নাকি নৌকা নেই? আমিতো দেখলাম নৌকা আছে। নৌকাতেই ভোট দিয়ে এসেছি।<br />
<br />
মোদ্দা কথা হলো কামারে যা করে তা মনে মনেই করে।</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-6478259993298309332016-06-21T21:26:00.003-07:002016-06-21T21:26:43.418-07:00বাবা আমাকে ভালই বাসেনা আমিও বাবাকে ভালবাসিনা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
বাবা দিবস আজ তাইনা? সবাই দেখছি বাবার সাথে নিজের ছবি আপলোড
দিচ্ছে,সুন্দর সুন্দর স্মৃতি রোমন্থন করছে। আমার কোন বাবা দিবস নেই! কারণ
আমার বাবা আমাকে ভালবাসে না! আমিও তাই বাবাকে ভালবাসি না!</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
১। আমি
তখন খুব ছোট। বাবা পুকুরে সাতার কেটে কেটে গোসল করতেন। আমি বললাম বাবা আমিও
পুকুরে নামবো। বাবা পুকুর থেকে উঠে এসে আমাকে তুলে ধরলেন তার পর ছুড়ে
মারলেন পুকুরের পানিতে! আমি প্রায় ডুবেই যাচ্ছিলাম। অনেক পানি খেলাম।বাবা
তখন আমাকে তুলে নিলেন। এভাবে অনেক বার বাবা আমাকে মাঝ পুকুরে ছুড়ে
মেরেছেন।আমি অবিরাম পানি খেয়েছি আর ডুবতে ডুবতে বেঁচে গেছি। আমার বাবা
আমাকে ভালবাসলে নিশ্চই ওভাবে ছুড়ে ফেলতেন না।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
২। আমার বাবা আমাকে
ভালবাসেনা। আমিও বাবাকে ভালবাসিনা। আমি তখন একটু বড় হয়েছি। ভাইয়ার একটা
সাইকেল ছিল।আমি চাইতাম সেই সাইকেল চালানো শিখবো।বাবাকে অনেকবার বলার পর
বাবা আমাকে সাইকেলে চড়তে দিলেন। নিজে পিছনে ধরে রাখলেন।আমি খুব বিশ্বাস করে
সাইকেলে উঠেবসলাম। প্যাডেল করলাম আস্তে আস্তে। বাবা তখন হুট করে সাইকেলে
ধাক্কা দিয়ে ছেড়ে দিলেন। আমি কিছুদুর গিয়ে পড়ে গেলাম। হাটু ছুলে গেল। এভাবে
বাবা আমাকে অনেক বার সাইকেলে চড়িয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছেন। বাবা যদি
আমাকে ভালবাসতো তবে নিশ্চই আমাকে ওভাবে সাইকেলে বসিয়ে দিয়ে পিছন থেকে জোরে
ধাক্কা দিতেন না।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
৩। আমার বাবা আমাকে ভালবাসেনা। আমিও বাবাকে
ভালবাসিনা। আমি জুতার ফিতা বাধতে পারতাম না।বাবাকে বলার পরও বাবা আমার
জুতার ফিতা বেধে দিত না। অথচ আমার অন্য বন্ধুদের বাবা তাদের জুতার ফিতা
বেধে দিত।বাবা আমার পাশে বসে বার বার বলতেন এভাবে বাধো ওভাবেবাধো কিন্তু
নিজে বেধে দিতেন না। বাবা যদি আমাকে ভালবাসতেন তবে নিশ্চই ছোট বেলা আমার
জুতার ফিতা বেধে দিতেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
৪। আমার বাবা আমাকে ভালবাসেনা। আমিও বাবাকে
ভালবাসিনা। বাবার চা খাওয়ার খুব নেশা আছে।নিজে একা একা চা বানিয়ে খায়।আমি
যখন বলি বাবা আমাকেও এক কাপ দাওনা প্লিজ। বাবা কিচেন দেখিয়ে দেয়। বলে দেয়
কি কি করতে হবে। নিজের বানানো এককাপ চা খাওয়ার পরও বলে আমার জন্যও এক কাপ
বানাসতো। আমার বাবা যদি আমাকে ভালবাসতো তবে নিজে যখন চা বানিয়েছিল আমার
জন্যও এক কাপ বানাতো।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
৫। আমার বাবা আমাকে ভালবাসেনা। আমিও বাবাকে
ভালবাসিনা। বাবা খুব গাছে চড়তে পারতো।আমারও খুব লোভ হত। বাবাকে বলতেই বাবা
আমাকে কাধে করে নারকেল গাছের বেশ উপরে নিয়ে যেত। তার পর বলতো গাছ জড়িয়ে
ধরতে। আমি যখনি জড়িয়ে ধরতাম বাবা আমাকে ফেলে রেখে তরতর করে নিচে নেমে যেত।
আমার কান্না পেতো। আমি তখন আস্তে আস্তে হেচড়েপেচড়ে নিচে নামতাম আর আমার
বুকটা ছুলে যেত। বাবা যদি আমাকে ভালবাসতো তবে ওরকমটি করতে পারতো না।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এক প্যারেন্টস ডেতে বাবাকে নিয়ে বলতে বলা হয়েছিল আমাকে। আমি তখন এসব কথা
বলেছিলাম। এ গুলোই ছিল বাবার বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ। পরদিন বাংলা মিস ক্লাসে
এসে বললেন আজ আর আমি পড়াবোনা। তোমাদের সাথে গল্প করবো।তোমাদেরকে কিছু
প্রশ্ন করবো তোমরা যারা উত্তর জানো তারা হাত উচু করবা আর না জানলে চুপ
থাকবা। তিনি প্রশ্ন করলেন তোমাদের মধ্যে কে কে সাতার কাটতে পারো? আমি সাথে
সাথে হাত উচু করলাম। মিস আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলেন। আমি আশেপাশে
তাকিয়ে দেখি আর কেউ হাত উচু করেনি। আমরা তখন ক্লাস ফোরে পড়ি। এর পর মিস একে
একে প্রশ্ন করলেন কে কে সাইকেল চালাতে পারো কে কে গাছে চড়তে পারো কে কে
নিজে নিজে জুতার ফিতা বাধতে পারো ইত্যাদি ইত্যাদি। দেখা গেল আমি ছাড়া আর
কেউ হাত উচু করছেনা। মিসের চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমার কাধে হাত
রেখে বললেন ইবন তুমিকি বুঝতে পারছো কিছু? আমি বুঝতে পারলাম।আমার চোখেও তখন
পানি চলে এসেছিল।মিসকে জড়িয়ে ধরে কেদেছিলাম আমি।তার পর ছুটি নিয়ে বাড়িতে
গিয়ে দেখি বাবা বসে আছে। আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরে অনেক ক্ষণ কেঁদেছিলাম।
বলেছিলাম বাবা তুমিই পৃথিবীর সেরা বাবা।</div>
<div style="text-align: justify;">
এখনও আমি বাবাকে খুব বেশি ভালবাসিনা!</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
কিছুদিন আগে ব্যান্ড শিল্পী হাসান সাহেবের বাসায় গিয়েছিলাম।আমাকে নাস্তা
দেওয়ার পর আমি শুধু চা আর বিস্কুট বাদে কিছু খাইনি। আম খাইনি লিচু খাইনি
এমনকি আপেলও খাইনি। হাসান সাহেবের বাসার অন্যরাতো অবাক।আমি বললাম দেখুন
আমি কি করে এটা খাই? এ বছর আমার বাবা এখনো আম খেয়েছে কিনা আমি জানিনা,এখনো
একটা লিচু খেয়েছে কিনা জানিনা,একটুকরো আপলে খেয়েছে কিনা জানিনা। তাহলে আমি
কি করে খাই? আমি বাবাকে ভালবাসিনা! তাই আমার কোন বাবা দিবস নেই। রোজ নামাজ
পড়ে অন্যরা যখন রব্বির হামহুমা কামা রব্বা ইয়ানি ছগিরা বলে দোয়া করে আমি
করি তার উল্টোটা। আমি বলি "হে আল্লাহ আমার জীবনের সমস্ত হায়াত নিয়ে হলেও
আমার বাবা মাকে দীর্ঘায়ু দান করো"</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমি প্রমান করে দিতে পারি এই
পৃথিবীতে আমার বাবার মত সেরা বাবা একটিও নেই।যে কেউ আমার সাথে চ্যালেঞ্জ
করতে পারেন তার বাবাকে নিয়ে। হয়তো কারো কারো বাবা তাকে মাসে দু মাসে আগ্রার
তাজমহল,মিশরের পিরামিড কিংবা নায়াগ্রা ফলস দেখাতে নিয়ে যায়,হয়তো কারো কারো
বাবা তাকে আইফোন সিক্স থেকে শুরু করে অন্য সব না চাইতেই দেয়।কিন্তু আমার
বাবা আমাকে কতটা দেয় সেটা আমি জানি। মনেও পড়েনা কবে বাবাকে বুকে জড়িয়ে
ধরেছি!এমনকি ঈদের দিনেও না। তবে বাবা আমাকে একটা কথা বলেছিলেন সেটা আমি
অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /> "দেবার মত কিছুই আমার নেই।তোমার কাছে
চাওয়ারও কিছু নেই। এই ছয় হাজার টাকা দিলাম এটা নিয়ে পথে রওনা হও।দেখ কতটা
যেতে পারো।তবে মনে রেখ যে সম্মানটুকু আমার আছে তা যেন না কমে।তুমি আমার
সম্মান বাড়াতে পারো না পারো সেটা বড় নয় কিন্তু আমার ওই সম্মানটুকু যেন না
কমে"। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমি বাবার সম্মান কমাইনি।আমিকি বাবাকে ভালবাসিনা?</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /> <a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://www.facebook.com/hashtag/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%80?source=feed_text&story_id=1714515882140432"><span class="_58cl">#</span><span class="_58cm">জাজাফী</span></a></div>
<div style="text-align: justify;">
এবার একটা গল্প বলি শুনুন</div>
<div style="text-align: justify;">
এক বৃদ্ধ লোক একটা মোবাইল মেকানিকের কাছে তার মোবাইলটা দিয়ে বললেন দেখতো
বাবা আমার মোবাইলটার কি সমস্যা। মোবাইল মেকানিক ভাল করে দেখে বললেন চাচা
আপনার মোবাইলেরতো কোন সমস্যা নেই। বৃদ্ধা তখন মোবাইলটা হাতে নিতে নিতে
বললেন মোবাইল যদি ঠিকই থাকবে তবে এই মোবাইলে আমার ছেলে মেয়েদের ফোন আসেনা
কেন?বৃদ্ধর চোখে তখন অবিরাম অশ্রুধারা।(তার সন্তানেরা তাকে ছেড়ে চলে গেছে
আলিশান বাড়িতে)।(এটা নিয়ে আমার একটা গল্প আছে পরে শেয়ার করবো)</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
শুধু
চাওয়া একটাই পৃথিবীতে কোন বাবাকে যেন উহ শব্দটিও করতে না হয়।ফেসবুকের পাতায়
যেন বাবাপ্রীতি সীমাবদ্ধ না থাকে।বিয়ের পরপরই বাবা মা যেন পর হয়ে না যায়।</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-17975910309549858172016-06-21T21:25:00.002-07:002016-06-21T21:25:19.448-07:00তারেকের ব্রেকাপ কিংবা সালিম ভাইয়ের ভাইভা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ক্লাসে ঢুকে দেখি তারেক এক কোনায় মুখ গোমরা করে বসে আছে। আমি কাছে গিয়ে
বললাম কিরে মন খারাপ কেন? সে জানাল সব শেষ হয়ে গেছে। ওর কথা থেকে বুঝলাম
ছোট্ট একটা এসএমএস এর কারণে তারেকের রিলেশান ব্রেকাপ হয়ে গেছে। একটা এসএমএস
যে মানুষের সাত বছরের রিলেশান ব্রেক করে দিতে পারে তা জানা ছিলনা। আমি
বললাম দেখিতো কি এসএমএস।মোবাইলটা আনমনে সে আমার দিকে বাড়িয়ে দিল।আমি
ম্যাসেজ ঘাটতে গিয়ে দেখলাম সব ম্যাসেজই অনামিকার। অনামিকা তারেকের বান্ধবী।
আমি শেষ ম্যাসেজটা বের করে পড়তে শুরু করলাম। খুব যত্ন করে ভালবাসা মাখিয়ে
অনামিকা ওকে ম্যাসেজ দিয়েছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
" If you are smiling,Send me your smile.<br /> If you are sleeping,Send me your Dreams.<br /> If you are Crying,Send me your Tears.<br /> You know I love you More than i can say "</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ম্যাসেজ পড়ে আবেগাক্রান্ত হয়ে প্রায় ক্রাশ খাইতেছিলাম!! এতো সুন্দর করে
কেবল প্রেমিকারাই ম্যাসেজ দিতে পারে। আমি বললাম তোর বান্ধবীতো অসাধারন
ম্যাসেজ দিয়েছে এতে ব্রেকাপ হওয়ারতো কিছু দেখিনা। তারেক একটা দীর্ঘশ্বাস
ছেড়ে বললো সে যখন ম্যাসেজটা দিয়েছিল আমি তখন ওয়াশ রুমে ছিলাম।ভাবলাম সাথে
সাথেই ম্যাসেজের উত্তরটা দেই। তো উত্তর দিতেই সে ব্রেকাপ করে দিল!</div>
<div style="text-align: justify;">
আমি কৌতুহলী হয়ে জানতে চাইলাম "তুই তোর বান্ধবীর দেওয়া অসাধারণ ওই
ম্যাসেজের উত্তরে কি লিখেছিলি যে ব্রেকাপ হয়ে গেল" সে কোন কথা বললো না। আমি
সেন্ট আইটেমে গিয়ে দেখলাম ওর শেষ ম্যাসেজ।</div>
<div style="text-align: justify;">
" I am in the Toilet, What should I send? "</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। কি প্রশ্নের কি উত্তর দিয়েছে গাধাটা!
যদিও জানি সে মজা করার জন্য বলেছে। তবে ব্যক্তি জীবনে একটা কথা মনে রাখা
দরকার যে কোন সময়ে কি সম্মোধন করতে হয় তা না জানলে হিতে বিপরীত হয়। যেটা
হয়েছে তারেকের ক্ষেত্রে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তো চলুন না একটা গল্প শুনি----সময়ের উত্তর সময়ে না দিলে কি হয় সেটাই গল্পের মুল।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ইন্টারভিউ বোর্ড বসেছে। লোক নিবে চার পাচ জন কিন্তু পরীক্ষার্থী অনেক।
আমাদের সালিম ভাইও গিয়েছে পরীক্ষা দিতে।তার প্রস্তুতি একেবারে যাচ্ছেতাই।
সে মনে মনে ভেবেছে ওখানে গিয়ে সবার সাথে আলোচনা করলেই ভাইভা দেওয়ার মত
ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তো একে একে পরীক্ষার্থীরা ভাইভা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে আর
সালিম ভাইয়ের ডাক আসার সময় চলে আসছে। সালিম ভাইয়ের আগে যে ব্যক্তি ভাইভা
দিয়ে বের হলেন সালিম ভাই তাকে থামিয়ে জানতে চাইলেন </div>
<div style="text-align: justify;">
--তা ভাই কি কি প্রশ্ন করলো আপনাকে?</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /> লোকটা বললো ভাই প্রশ্নগুলো মনে নেই তবে উত্তর মনে আছে।সালিম ভাই বললো আরে এটাইতো চাইছি। উত্তর গুলোই দিন। প্রশ্ন মনে রেখে লাভ কি?</div>
<div style="text-align: justify;">
লোকটা বললেন প্রথম প্রশ্নের উত্তর হবে পলাশীর যুদ্ধে। দ্বিতীয় প্রশ্নের
উত্তর হবে হওয়ার কথা ছিল ১৯৮৭ সালে কিন্তু হয়েছে ১৯৮৮ সালে। তৃতীয় প্রশ্নের
উত্তর হবে আছেতো অনেক জন কোনটা রেখে কোনটা বলবো। আর শেষ প্রশ্নের উত্তর
হবে আপনি ঠিকই বলেছেন।ধন্যবাদ।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
লোকটার উত্তর গুলো বেশ ভালভাবে রপ্ত করে সালিম ভাই ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত হলেন।<br />
বোর্ডকর্মকর্তারা তাকে প্রশ্ন করলো এই চাকরির আগে আপনি কোথায় ছিলেন?সালিম
ভাই মুখস্থ উত্তর দিলেন পলাশীর যুদ্ধে। প্রশ্নকর্তারা মুখ চাওয়াচাওয়ি
করলো।তাদের মুখে হাসি।দ্বিতীয় পশ্ন করা হলো আপনার জন্ম কত সালে?সালিম ভাই
আগের মতই উত্তর দিলেন হওয়ার কথা ছিল ১৯৮৭ সালে কিন্তু হয়েছে ১৯৮৮ সালে।
প্রশ্ন কর্তারা বোধহয় খুব মজার সাথে নিলেন বিষয়টা। তারা প্রশ্ন করলো
মাহাত্মাগান্ধীর বাবার নাম কি? সালিম ভাই বললেন আছেতো অনেক জন। কোনটা রেখে
কোনটা বলবো?</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
প্রশ্নকর্তারা কিছুক্ষণ থামলেন।তারা হাসিতে ফেটে পড়ছিল
প্রায়। শেষ প্রশ্ন করা হলো সালিম ভাইকে। বলা হলো আপনারতো এই চাকরিটার কোন
দরকার নেই।আপনি কি বলেন? সালিম ভাই মুখে হাসি ফুটিয়ে বলে ফেললেন আপনি ঠিকই
বলেছেন,ধন্যবাদ।</div>
<div style="text-align: justify;">
এবার হো হো করে হেসে উঠলো প্রশ্নকর্তারা। ঠিক তখন সালিম ভাইয়ের খেয়াল হলো যে কোন প্রশ্নের সে কী জবাব দিয়েছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
মোদ্দা কথা হলো সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে উত্তর না দিয়ে সালিম ভাইয়ের মতই আমার বন্ধু তারেক ফেসে গেছে। তার ব্রেকাপ হয়ে গেছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://www.facebook.com/hashtag/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%80?source=feed_text&story_id=1714912988767388"><span class="_58cl">#</span><span class="_58cm">জাজাফী</span></a></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-86235842272683625472016-06-21T21:23:00.003-07:002016-06-21T21:23:48.985-07:00মিথ্যার উপর ভিত্তি করে দাড়িয়ে আছি আমরা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
ইফতার পার্টিতে দাওয়াত পেয়েছে তানিশা আপু আর তার স্বামী।টেবিলে সাজানো
আছে হরেক রকম জুস,শরবত এবং অন্যান্য খাবার।যে কেউ ইচ্ছা মত খেতে
পারবে।তানিশা আপু আর তার স্বামী বেছে নিলেন পেস্তা বাদামের শরবত।অন্য গুলোর
তুলনায় এটার দাম বেশি।নিজেদের যে সামান্য আয় তা দিয়ে পেস্তাবাদামের শরবত
কিনে খাওয়ার কথা তখন তারা চিন্তাই করতে পারেনা। তানিশা আপুদের মত অনেকেই
পেস্তাবাদামের শরবতই নিলেন। কিন্তু ইফতারির পর খাওয়ার সময় সবাই দেখা গেল
বমি করে উগরে দিচ্ছে।বিষয়টা কি সেটা জানার জন্য যে শরবত বানিয়েছিল তাকে
ডেকে এনে কিভাবে এই শরবত বানিয়েছে তা জানতে চাওয়া হলো। সে জানালো বাজারে
পেস্তাবাদামের যে দাম তাতে তা দিয়ে শরবত বানানো খুবই কঠিন।টাকাও ছিলনা অত
তাই বুদ্ধি করে সহজেই পেস্তাবাদামের শরবত বানিয়েছি। সবাই অবাক হয়ে জানতে
চাইলো তা বুদ্ধিটা কি?তখন সে জানালো লাক্স সাবানে আছে পেস্তাবাদাম আর ডাব
সাবানে আছে দুধ। তাই খুব কম টাকায় দুটো লাক্স সাবান আর দুটো ডাব সাবান কিনে
সেটা গুলিয়েই শরবত বানিয়েছি। হয়ে গেছে পেস্তাবাদামের শরবত! </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
সবাই যখন ওকে
এক হাত দেখে নিতে যাবে তখন দাদা ভাই সবাইকে থামি দিয়ে বললো ওর আর দোষ কি
বলো? দেখ কি দিন এসে গেল যে খাবার তৈরি হয় বিষাক্ত জিনিষ দিয়ে আর সাবান
তৈরি হয় ফলমুল শাক সবজি দিয়ে।</div>
<div style="text-align: justify;">
দুবছরে তানিশা আপুর স্বামীর বেতন
বেড়েছে মোটামুটি। কিছু টাকাও জমিয়েছে সে। একদিন তানিশা আপু তার স্বামীকে
ফোন করে বললো ওগো শুনছো আমাকে কিছু টাকা দেওয়া যাবে আমি না স্পা নেব।তানিশা
আপুর স্বামী বললেন এ আর এমন কি? কতটাকা লাগবে বলো।আপুর যেন খুশি আর
ধরেনা।খুশিতে গদগদ হয়ে বললো বেশি না মাত্র এক লাখ টাকা।তাহমিদ ভাইয়া চুপ
হয়ে গেলেন। তিনি চিন্তা করে দেখলেন সামান্য স্পা নিতে এক লাখ টাকা লাগবে?এই
ঢাকা শহরে অন্তত কয়েক লক্ষ মানুষ আছে যাদেরকে এক লাখ টাকা দিলে বিশ বছর
খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারবে কারণ তারা কেউ কেউ দিন একবার খায় আবার কেউ কেউ
দুই দিনে একবার খায়।চুপ থাকতে দেখে তানিশা আপু জানতে চাইলেন কি হলো দিবা
টাকাটা? তাহমিদ ভাইয়া গলা খাকারি দিয়ে বললেন চিন্তা করোনা জানটুশ আমি তোমার
জন্য স্পা নিয়ে আসতেছি।এটা শুনে তানিশা আপু যেন দুনিয়াতে বসেই স্বর্গ হাতে
পেলেন। </div>
<div style="text-align: justify;">
অন্যরা যেখানে পার্লারে গিয়ে স্পা নেয় সেখানে তার স্বামী
তার জন্য বাসায় নিয়ে আসছে এটা সত্যিই অকল্পনীয়। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
সে সাথে সাথে তার
বান্ধবীদেরকে ফোন করে সব জানালো।অন্যরা সব শুনে তারা সবাই ঈর্ষান্বিত হলো।
তানিশা আপু এই খুশিতে তাহমিদ ভাইয়ার জন্য তার পছন্দ মত সব খাবার রান্না
করলেন। বাসায় ফিরে তাহমিদ ভাইয়া দেখলেন এলাহী কান্ড।খাবার টেবিলে নানা পদের
খাবার।সে খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুললো। তানিশা আপু তখন স্বামীকে স্পার কথাটা
মনে করিয়ে দিলেন। তাহমিদ ভাইয়া বললেন আরে আমিকি আর ওটার কথা ভুলি।আমি
অবশ্যই তোমার জন্য স্পা নিয়ে এসেছি।তানিশা আপু এখানে সেখানে খুজেও স্পা
পেলো না।ঠিক তখন তাহমিদ ভাইয়া তার হাতে একটি পানির বোতল ধরিয়ে দিলেন যার
নাম স্পা!তানিশা আপু মেজাজ খারাপ করে শোবার ঘরে চলে গেল।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
পরদিন
সকালে ভাইয়া অফিসে চলে গেলে তানিশা আপু সবে মাত্র সোফাতে আরাম করে বসেছে
ঠিক তখন দরজায় নক করলো।দরজা খুলেতেই দেখা গেল একটা বিশ বাইশ বছরের ছেলে
হাসি মুখে দাড়িয়ে আছে। সে বললো ম্যাডাম আমি এসেছি স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড
থেকে। আচ্ছা ম্যাডাম মনে করে দেখুনতো শেষ কবে দুধ দিয়ে গোসল করেছেন? এক
কথা শোনার সাথে সাথে আগের রাতের রাগ উসকে উঠলো তানিশা আপুর মনে। সে ঝেটিয়ে
বিদায় করলো লোকটাকে। আর বললো মশকরার জায়গা পায়না লোকজন।দুধ দিয়ে গোসল করাতে
এসেছে। যে দেশের সিংহভাগ মানুষ দিনে দু বেলা পেট ভরে ডাল ভাতই খেতে পারেনা
সেখানে দুধ দিয়ে গোলস করানোর রসিকতা করতে এসেছে। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ওদিকে তাহমিদ
ভাইয়া অফিস শেষে গেলেন একটা সিমেন্টের দোকানে।তার অনেক দিন থেকেই ভুল হচ্ছে
সিমেন্ট কেনার কথা কিন্তু কেনা হচ্ছেনা। তিনি বেশ ভাল একটা দোকানে গিয়ে
বললেন আপনাদের এখানে কোন কোন ব্রান্ডের সিমেন্ট আছে? আমাকে একটু
দেখান।দোকানদার বিশাল বড় কাস্টমার পেয়ে খুশিতে আটখানা হয়ে গেলেন।কাজের
ছেলেটিকে বলে চা বিস্কুট আনালেন সাথে কোল্ড ড্রিংসও আনালেন। তাহমিদ ভাইয়া
তাদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে বললেন আরে না না এসবের কোন দরকার নেই। দোকানদার
বললেন না বলছেন কেন অবশ্যই আপ্যায়নের দরকার আছে।দোকানের কর্মচারি একটা ছোট
পলিথিনে কয়েক পদের সিমেন্ট এনে রাখলেন।দোকানী এবার জানতে চাইলেন তা বলুন
আপনার কত বস্তা সিমেন্ট লাগবে আর কবে লাগবে। তাহমিদ ভাইয়া অবাক হয়ে বললেন
কি বলছেন মশাই! কত শত বস্তা লাগতে যাবে কেন? আমার এই বিশ ত্রিশটাকার
সিমেন্ট হলেই চলবে।বাসায় ফ্রিজ নেই তাই পানি ঠান্ডা রাখার জন্য একটা মাটির
কলসি কিনেছিলাম। সেটাতে একটা ফুটো দেখা দিয়েছে। সেটা সারবো বলেই একটু
সিমেন্ট নিতে বলেছে আমার স্ত্রী।সব শোনার পর দোকানীর মুখটা কালো হয়ে গেল। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
বাসায় ফিরে কলিংবেল চাপতেই তানিশা আপু দরজা খুলে দিল। তার হাতে তখন একটা
ঝাটা। সেটা দেখে ভাইয়া বললেন কি ব্যাপার গত রাতের রাগ কমেনি এখনো?আমাকে কি
ঝাটাপেটা করবা নাকি?তানিশা আপু লজ্জায় পড়ে গেলেন।ঠিক তখন তাহমিদ ভাইয়া
বললেন এখন থেকে রোজ তুমি দুধ দিয়ে গোসল করতে পারবা!!কথাটা শুনেই তানিশা আপু
থম করে দাড়িয়ে গেলেন।ভাইয়া তখন ব্যাগ থেকে একটা মেরিল সাবান বের করে দিলেন
সেখানে লেখা মেরিল মিল্ক সোপ।দুধ দিয়ে গোসলের অনুভূতি। এটা দেখে তানিশা
আপু একচোট হেসে নিলেন।ভাইয়া বিষয়টা বুঝতেই পারলেন না যে সকালে এক
ব্রান্ডপ্রোমোটারকে এই কারণে আপু ঝাটাপিটা করে তাড়িয়েছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
মিথ্যার উপর ভিত্তি করে চলছে আমাদের জীবন। চলুন একটা গল্প শুনি</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
রাসেলের পরীক্ষা শুরু হতে বেশিদিন বাকি নেই কিন্তু সে ঠিকমত পড়তেই বসছে
না। এক সকালে বাবা তাকে ডেকে বললেন তুমি যদি এখনি পড়তে বাসো এবং তিন ঘন্টা
মন দিয়ে পড়ো আর এভাবে এক মাস পড়তে পারো তবে তোমাকে আমি আইফোন সিক্স কিনে
দেব। এটা শুনে রাসেল চলে গেল। সে নিয়মিত তিন ঘন্টা করে পড়া শেষ করে বাবাকে
বলতো বাবা পড়া শেষকরেছি। এক মাস যেদিন পুর্ন হয়ে গেল সেদিন সে বাবার
সামনেগিয়ে দাড়াল। বললো বাবা আমি এই মাত্র তিন ঘন্টা পড়া শেষ করে এসেছি এখন
আমাকে আইফোন সিক্স কিনে দাও। বাবা বললেন আমি মিথ্যা বলেছিলাম। রাসেল তখন
বললো বাবা জানো আম গাছে কখনো কাঠাল ধরেনা!বাবা বিষয়টা বুঝতে না পেরে জানতে
চাইলেন এর মানে কি? রাসেল যেতে যেতে বললো বাবা আমিও মিথ্যা বলেছিলাম। আমিও
রোজ তিন ঘন্টা পড়িনি!<br /> বিজ্ঞাপনে হরহামেশাই মিথ্যা কথা বলে বলে আমাদেরকে
আজেবাজে পন্য ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা সেগুলো নির্দ্বিধায় ব্যবহার
করছি।বিজ্ঞাপনের নামে যে অপসংস্কৃতি এ দেশে চালু হয়েছে তা বন্ধ না হলে
আমাদের ভবিষ্যত যে কেমন হবে তা অন্য একদিন না হয় লিখবো।অবশ্য আমি না লিখলেও
সবাই অনুমান করেত পারে বলেই আমি মনে করি।</div>
<div style="text-align: justify;">
<a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://www.facebook.com/hashtag/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%80?source=feed_text&story_id=1715276155397738"><span class="_58cl">#</span><span class="_58cm">জাজাফী</span></a></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-4575093107634177132016-06-03T08:47:00.005-07:002016-06-03T08:47:54.186-07:00বাজেট যেভাবে মাইর খায়<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<!--[if gte mso 9]><xml>
<w:WordDocument>
<w:View>Normal</w:View>
<w:Zoom>0</w:Zoom>
<w:PunctuationKerning/>
<w:ValidateAgainstSchemas/>
<w:SaveIfXMLInvalid>false</w:SaveIfXMLInvalid>
<w:IgnoreMixedContent>false</w:IgnoreMixedContent>
<w:AlwaysShowPlaceholderText>false</w:AlwaysShowPlaceholderText>
<w:Compatibility>
<w:BreakWrappedTables/>
<w:SnapToGridInCell/>
<w:WrapTextWithPunct/>
<w:UseAsianBreakRules/>
<w:DontGrowAutofit/>
</w:Compatibility>
<w:BrowserLevel>MicrosoftInternetExplorer4</w:BrowserLevel>
</w:WordDocument>
</xml><![endif]--><br />
<!--[if gte mso 9]><xml>
<w:LatentStyles DefLockedState="false" LatentStyleCount="156">
</w:LatentStyles>
</xml><![endif]--><!--[if gte mso 10]>
<style>
/* Style Definitions */
table.MsoNormalTable
{mso-style-name:"Table Normal";
mso-tstyle-rowband-size:0;
mso-tstyle-colband-size:0;
mso-style-noshow:yes;
mso-style-parent:"";
mso-padding-alt:0in 5.4pt 0in 5.4pt;
mso-para-margin:0in;
mso-para-margin-bottom:.0001pt;
mso-pagination:widow-orphan;
font-size:10.0pt;
font-family:"Times New Roman";
mso-ansi-language:#0400;
mso-fareast-language:#0400;
mso-bidi-language:#0400;}
</style>
<![endif]-->
<br />
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;"><br /></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;">#জাজাফী</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;">বাজেট
নিয়ে লিখবো বলে ভাববেন না যে আমি অর্থনীতি কপচাবো। এটা নিরেট একটা কল্পিত বাজেটের
গল্প। কল্পিত হলেও বাস্তবের সাথে মিল থাকে অনেকটাই।মশিউর সাহেব ঢাকায় থাকেন। তার
সাথে তার ছোট ভাইও থাকে।ছোট ভাইয়ের নাম নাদের। ঈদের মাত্র একদিন আগে মশিউর সাহেব
ছুটি পাবেন তাই নাদেরের হাতে টাকা দিয়ে সে বলে দিল কি কি করতে হবে। নাদের সেই টাকা
নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হল।মনে মনে ভাবল ভাইতো চার হাজার টাকা দিয়েছে। সব যদি দিয়েই
দেই তাহলে আর আমার ভাগে কি থাকে। নাদের সেখান থেকে দুই হাজার টাকা সরিয়ে রাখল।সে
জানে তার ভাই তাকে খুবই বিশ্বাস করে।তাই কোন দিন ভাবির কাছে প্রশ্নও করবেনা যে
নাদের তোমাকে কত টাকা দিয়েছিল। </span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;">অজ পাড়া গায়ে তাদের বাড়ি। শহরে পৌছার পর মশিউর
সাহেবের বড় ছেলের কাবুলের সাথে দেখা হলো নাদেরের। কাবুল খুশিতে আটখানা হয়ে বললো
কাকা কেমন আছ? বাবা কবে আসবে? নাদের সব বললো এবং কাবুলের হাতে সেই দুই হাজার টাকা
ধরিয়ে দিয়ে মশিউর সাহেব যা যা করতে বলেছেন তাই তাই করতে বলল। তার বাড়ি যেতে নাকি
সন্ধ্যা হবে। এবার মশিউর সাহেবের বড় ছেলে কাবুল টাকা গুলো নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা
হলো। যেতে যেতে ভাবলো টাকাটা যদি সব মায়ের হাতে তুলে দেই তবেতো আমার তেমন কিছু
থাকবেই না। তাই সে সেখান থেকে এক হাজার টাকা সরিয়ে রাখলো।</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;">কাবুল জানে তার বাবা মা
সবাই তাকে অত্যন্ত বিশ্বাস করে। তাই কাকা তার হাতে কত টাকা দিয়েছিল তা নিয়ে কেউ
প্রশ্নই করবেনা। এমনকি কাকাও মাকে বলবেনা যে কাবুলের হাতে এতোটাকা দিয়েছিলাম।সেই ভাবনা
থেকেই কাবুল এক হাজার টাকা সরিয়ে নিল।পথেই বড় আপার সাথে দেখা। সে বন্ধুদের সাথে
ঘুরতে যাবে বলে বড় আপার হাতে বাকি সেই এক হাজার টাকা দিয়ে কাকা যা যা বলেছেন তা
বুঝিয়ে দিল। বড় আপা কলেজে পড়ে।তারও বেশ হাতখরচ লাগে। সব সময়তো বাবা মা ঠিকঠাক দিতে
পারেনা। সে ভাবলো এক হাজার টাকাই যদি মাকে দিয়ে দেই তাহলেতো আমার ভাগে কিছুই
থাকলোনা। সে তাই বুদ্ধি করে সেখান থেকে পাচশো টাকা সরিয়ে রাখলো। বাকি থাকলো পাচশো
টাকা।পাচশো টাকাই মায়ের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাবা যা যা করতে বলেছেন তা তা করতে বলবে
বলে মন স্থির করলো। </span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;">হঠাৎ ফুটবল খেলে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল তুহিন। তুহিন হলো মশিউর
সাহেবের ছোট ছেলে। ক্লাস নাইনে পড়ে সে।তুহিনের বড় আপা ওকে থামিয়ে বললো এই তুহিন
শোন বাবা কিছু টাকা পাঠিয়েছে। এই নে এটা মাকে দিয়ে বলবি বাবা এটা এটা করতে বলেছে।
বাবার আসতে দেরি হবে। ঈদের আগের দিন আসবে।তুহিন টাকাটা নিয়ে বাড়ির দিকে যেতে যেতে
ভাবলো ঈদতো এসেই গেল। বাবা মা ঈদে পঞ্চাশ টাকার বেশি দিবেই না। তাছাড়া আর কত দিন
অন্যের বল খেলা যায়।এই ভেবে সে বড় আপার ধরিয়ে দেওয়া পাচশোটাকা প্যান্টের পিছন
পকেটে রেখে বাড়িতে গিয়ে গুটিগুটি পায়ে মায়ের সামনে দাড়াল। মুখটা হাসি হাসি করে
বললো মা জানো বাবা খবর পাঠিয়েছে সে ঈদের আগেরদিন বাড়িতে আসবে।আর তোমাকে সব কিছু
সামলে নিতে বলেছে। তোমার কাছে যে টাকা আছে সেখান থেকে সবার জন্য টুকটাক বাজার করতে
বলেছে। এবার অফিসে নাকি কি ঝামেলা আছে। </span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;">মশিউর সাহেবের স্ত্রী তার ছোট ছেলের মুখে
সব শুনে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। মশিউর সাহেব ঈদে বাড়িতে এসে দেখলেন তিনি যেভাবে
যা যা করতে বলেছেন তার স্ত্রী ঠিক সেভাবেই সব সামলে নিয়েছেন। তিনি মনে মনে ভীষণ
খুশি হলেন। তার পাঠানো টাকাগুলো তাহলে সঠিক ভাবেই ব্যয় হয়েছে!!</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;">অথচ
তিনি সত্যিটা জানতেই পারলেন না।</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;">উপরের
গল্পটা কল্পিত হলেও বাস্তবে এমটিই হয়। প্রতিবছর যে বিপুল পরিমান বাজেট ঘোষণা করা
হয় তা মাঠ পযার্য়ে এভাবেই পৌছে। যদি সত্যি সত্যি বাজেটের অন্তত অর্ধাংশও সত্যিকার
কাজে ব্যয় করা যেত তবে এই ছোট্ট দেশে একটাও কাদা মাটির রাস্তা থাকতো না। আমাদের
গ্রাম থেকে শুরু করে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের গ্রামের মত কোন গ্রামই বিদ্যুতের
আলো থেকে বঞ্চিত হতো না।</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;">.............................................</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;">#জাজাফী</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda;">৩
জুন ২০১৬</span></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-46470913686767131782016-05-31T00:28:00.001-07:002016-05-31T00:28:05.274-07:00যখন পড়বেনা মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<br /> ==========================<br />
জাতীয় যাদুঘরের নলীনিকান্ত ভট্রশালী প্রদর্শনী কক্ষের বাইরে লাল ফিতা দিয়ে
ঘিরে রাখা হয়েছে।সামনে বেশ সুন্দর করে তাজা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দুর
থেকে ভেসে আসছে রবীন্দ্র সঙ্গীত। সর্ব সাধারনকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা কারণ
তখনো মধ্যমণি এসে পৌছান নি। সাংবাদিকদের সাথে যাদুঘরের কিউরেটর কথা বললেন।
আমি সময়ের একটু আগেই পৌছেছি। সাধারণত এসব প্রোগ্রামের একটুও আমি মিস করতে
চাইনা।</div>
<div style="text-align: justify;">
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে
ইন্দিরাগান্ধী সংস্কৃতি কেন্দ্র এবং রবীন্দ্র একাডেমীর যৌথ আয়োজনে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একক চিত্রকলা প্রদর্শনী এবং গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
ছিল সেটা। উপস্থিত হলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং
আসাদুজ্জামান নূর। তার পাশে প্রফেসর এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান স্যার।
একটু দূরে দাড়ানো শিল্পী হাশেম খান এবং নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দুমজুমদার।
ফিতা কেটে যেমন বর কনের বাড়িতে প্রবেশ করে তেমনি অতিথিদের নিয়ে আবুল মাল
আব্দুল মুহিতও ফিতা কাটলেন। গায়ে গা ঘেষে দাড়িয়েছিলাম আমি। অবাক হয়ে
ভাবছিলাম এই বয়সেও তিনি এতো তারুন্যের উদ্দীপনা কোথা থেকে পান।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ঘুরে
ঘুরে রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি দেখলেন। যাদুঘরের মহাপরিচালক বিভিন্ন ছবি
সম্পর্কে বর্ণনা দিলেন। বক্তৃতা পর্বে খুব সংক্ষেপে মন্ত্রী তার অনুভূতি
ব্যক্ত করলেন। ওখানে না গেলে জানা হতোনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত শত ছবি
একেছেন। কবির যখন বয়স ৬৩ বছর তখন তিনি প্রথম ছবি আঁকা শুরু করলেন। বিচিত্র
সব বিষয় নিয়ে তিনি ছবি একেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
সুদুর কোলকাতা থেকে এসছেন প্রখ্যাত
রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী প্রমিতা মল্লিক। উপস্থিত ছিলেন মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের সংগীত শিল্পী প্রখ্যাত রবীন্দ্র গবেষক জন থর্প। জন থর্প
উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। অসাধারণ বাংলা বলেন তিনি। সেই সাথে তার গানের
গলাও অসাধারণ। তিনি রবীন্দ্রনাথকে ভালবেসেছেন অন্য যে কারো চেয়ে বেশিই।
তাই তিনি সুর লয় ঠিক রেখে রবীন্দ্রনাথের অনেক গান ইংরেজীতে অনুবাদ করেছেন
যা থেকে দু একটা তিনি গেয়ে শুনিয়েছেন। তিনি মনে করেন রবীন্দ্রনাথ তখনি
বিশ্ব কবি হবেন যখন তার অসাধারণ সব লেখা ভিন্ন ভাষাভাষিদের হাতে পৌছানো
যাবে। যদি অন্যরা নাই জানতে পারলো রবীন্দ্রনাথ কি লিখেছেন তবে তাদের চোখে
তিনিতো কোন দিনই বিশ্বকবি হবেন না।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমাদের মুগ্ধতা যেন কাটতেই
চায়না। ১৯৮০ সালে তিনি যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন তখন রবীন্দ্রনাথের নামই
শোনেন নি। সেই তিনিই বিগত আঠার বছর ধরে রবীন্দ্রনাথে ডুবে আছেন। আক্ষেপ করে
বলেছেন রবীন্দ্রনাথ অসংখ্য গান লিখেছেন কিন্তু সবাই তার থেকে বেছে বেছে
চল্লিশ পঞ্চাশটা গানই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গায়। বাকি গানগুলো আজীবন আড়ালেই থেকে
যায়।</div>
<div style="text-align: justify;">
রবীন্দ্র একাডেমী আয়োজন করে প্রফেসর আনিসুজ্জামান,প্রমিতা
মল্লিক এবং জন থর্পকে সংবর্ধনা দেয়। এর পর উপস্থিত হন জাতীয় সংসদের স্পিকার
শিরিন শারমিন চৌধুরী। তিনি মঞ্চে না উঠে দর্শক সারিতে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ
করেন। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
সব কিছুকে ছাপিয়ে যায় <a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://www.facebook.com/hashtag/%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B2%E0%A6%BE?source=feed_text&story_id=1700388650219822"><span class="_58cl">#</span><span class="_58cm">তক্ষশীলা</span></a>
বিদ্যা নিকেতনের ক্ষুদে বন্ধুদের রবীন্দ্রনাথে মুগ্ধ হয়ে অসাধারণ
উপস্থাপনায়। অরিত্ররা এতো অসাধারণ ভাবে রবীন্দ্রনাথকে তুলে ধরেছে যে স্বয়ং
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উপস্থিত থাকলে উঠে দাড়িয়ে পিচ্চিগুলোকে সাধুবাদ জানাতেন।
রফিকুল ইসলামের সংগীত পরিবেশনা এবং জয়ন্ত চট্টপাধ্যয়ের আবৃত্তিকে ছাপিয়ে
তাই সবার মনে স্থান করে নেয় অরিত্র নামের আট বছরের ছেলেটি ও তার দলের বাকি
এগারজন সদস্য।</div>
<div style="text-align: justify;">
যাদু ঘর থেকে বেরিয়ে যখন টিএসসির দিকে যাচ্ছি তখনো কানে বাজছে রবীন্দ্রনাথ "যখন পড়বেনা মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে"</div>
<div style="text-align: justify;">
সন্ধ্যায় যখন মৃত্তিকাদের সাথে সাক্ষাত হলো তখনো যেন আমি রবীন্দ্রনাথে আচ্ছন্ন ছিলাম।</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-67550233945547590772016-05-31T00:27:00.000-07:002016-05-31T00:27:02.727-07:00এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাসায় বাসায় ফেরার আগেই রেজাল্ট দিয়ে দিল!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<br /> ............<br /> <a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://www.facebook.com/hashtag/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%80?source=feed_text&story_id=1700939116831442"><span class="_58cl">#</span><span class="_58cm">জাজাফী</span></a><br /> ..................</div>
<div style="text-align: justify;">
এস এস সি পরীক্ষা শেষ করে বাসায় পৌছানোর আগেই রেজাল্ট বেরিয়ে গেল। বিশ্বাস
হচ্ছেনা তাইনা? ঠিক আছে বলছি তাহলে সেই ঘটনাটা । অন্তরা আর তন্ময় দুই ভাই
বোন। তন্ময় বড় আর অন্তরা ছোট। ভিকারুননিসা নুন স্কুল থেকে অন্তরা এবার
এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। ওদের বাসা উত্তরাতে। ঢাকা শহরের যানজটের অবস্থা দিন
দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। তাই কোন রিস্ক না নিয়ে পরীক্ষা চলাকালিন
সময়টাতে অন্তরাকে নিয়ে তন্ময় ওর খালামনির বাসায় উঠেছে। খালামনির বাসা
সেগুনবাগিচায়। যেখান থেকে অন্তরার পরীক্ষার কেন্দ্র পায়ে হাটা দূরত্ব। নানা
ঝামেলার মধ্য দিয়ে আজ পরীক্ষা শেষ হয়েছে, তাই খালামনির কাছ থেকে বিদায়
নিয়ে তন্ময় ছোট বোনটাকে নিয়ে উত্তরায় নিজেদের বাসার দিকে রওনা হল। খালামনির
বাসা থেকে বেরিয়ে একটা ভাল মানের এসি বাসে উঠে বসেছে। অন্তরা বসেছে
জানালার ধারে। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
বাসে উঠতে না উঠতেই বাস দাড়িয়ে গেল। যে ভয়ে অন্তরাকে
নিয়ে খালামনির বাসায় উঠেছিল সেই জ্যাম লেগেছে। আধা ঘন্টা হয়েছে গাড়িতে
উঠেছে কিন্তু গাড়ি দশ হাতও সরেনি। যাত্রীদের চোখে মূখে বিরক্তির ছাপ। এর
মাঝেই এক পত্রিকার হকার উঠলো পত্রিকা বিক্রি করতে। যাত্রীদের আর কিছু করার
ছিলনা তাই প্রায় সবাই পত্রিকা কিনলো আর দেখতে দেখতে ছোট্ট ছেলেটার হাতের সব
গুলো পত্রিকা বিক্রি হয়ে গেল। তন্ময় ছেলেটাকে ডাক দিলো, এই ছেলে শোন।
ছেলেটা তন্ময়ের সামনে এসে দাড়ালো। ওর নাম উৎসব। তন্ময় বললো তোর নামটাতো
সুন্দর আর আজকে তো দেখছি সত্যিই তোর উৎসবের দিন। তোর সব পত্রিকাতো বিক্রি
হয়ে গেলরে। নিশ্চই অনেক লাভ হয়েছে। এগার বছরের উৎসব তখন অনেকটা হতাশ হয়ে
বললো “আর কইয়েন না ভাইজান সব গুলান বেইচ্চা লাভ অইচে চারশো টিহা,সব হিসাব
করলে আমার লাভ কিন্তু মাত্র একশো টিহা”। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অন্তরা আশ্চর্য হয়ে জানতে
চাইলো কিভাবে? তখন সে অন্তরার দিকে ঝুকে চুপিচুপি বললো “ আফা কাউরে কইয়েন
না কিন্তু এই যে জ্যাম অইছে এইডা কিন্তু আমাগো চুক্তির জন্যি হইছে”। অন্তরা
আরো বেশি আশ্চর্য হয়ে জানতে চাইলো জ্যাম কিভাবে চুক্তির জন্য হয়? ছেলেটা
তখন বললো “মালিক সমিতিগো কওয়া আছে যদি জ্যাম ফালাতি পারেন তালি কলাম আমাগো
সব পত্রিকা বিক্কিরি অইবো,আর যে লাভ পামু তার থাইক্কা আপনেগো এট্টা অংশ
দিমু”। হেইর লাইগাইতো ওরা জ্যাম ফালায়। এই যে আইজা জ্যামে আমার সব বিক্কিরি
অইলো এই লাভের টাহা থাইক্কা সমিতিতে দুইশো ট্যাহা দিতি অবি। বাকি থাকবি
দুইশো টিহা। সেই দুইশো টিহা থাইক্কা একশো টিহা আমার মালিকের লাগি আর একশো
টিহা নিজের”। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তন্ময় আর অন্তরা দুজনেই ওর কথা শুনে আশ্চর্য হয়ে গেল।
ছেলেটা ততক্ষণে নেমে গেছে। জ্যাম ছেড়ে গাড়িটা কিছুদূর এগিয়েছে আর অমনি
আবার জ্যাম লাগলো। অলরেডি তিন ঘন্টা পেরিয়ে গেছে তন্ময়রা গাড়িতে উঠেছে।
অথচ মাত্র এক স্টপেজ পার হতে পেরেছে। পত্রিকা পড়ে পড়ে সবাই মনে হয় ক্লান্ত।
এখন পেটে ক্ষুধাও লাগছে। কিছু খাওয়া দরকার। এর মাঝে এক বাদাম ওয়ালা উঠলো।
দেখতে দেখতে তার সব বাদাম শেষ হয়ে গেল। এই বাদাম ওয়ালা বয়সে একটু বড়। ওর
নাম অনীক। বাবা মা এতো সুন্দর নাম রেখেছে কিন্তু ভাগ্যের দোষে আজ বাদাম
বিক্রি করতেছে। আগের ছেলেটার কথাবার্তায় অন্তরা মজা পেয়েছে তাই ভাইয়াকে
বললো এই ছেলেটাকেও ডাকোতো ভাইয়া। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তন্ময় ওকেও ডেকে একই ভাবে লাভের
কথা বললো। অনীক নামের ছেলেটাও জানালো তাদের চুক্তি আছে যে, যত বেশি জ্যাম
হবে তাদের বিক্রি ততো বেশি হবে এবং লাভের অংশ পাবে মালিক সমিতি। এভাবে একে
একে আরো অনেক কিসিমের লোক বাসে উঠলো আর দুই ভাই বোন সবার সাথেই কথা বললো।
অন্যরা যখন তীব্র যানজটে বিরক্তির চরম সীমায় পৌছে নিজের চুল ছিড়ছে তন্ময় আর
অন্তরা তখন নানা কিসিমের মানুষের সাথে কথা বলে সময়টা আনন্দের সাথেই পার
করছে। গাড়ি যখন মালিবাগ মোড়ে এসে থামলো তখন রাত দশটা। ওরা গাড়িতে উঠেছিল
দুপুর দুইটায়। ওরা বুঝে ফেলেছে বাসায় পৌছাতে কত সময় লাগবে তা কারো ধারণাও
নেই। আব্বু আম্মুকে ফোনে জানিয়েছে ওরা বাসে উঠে বসেছে। আব্বু তন্ময়কে বলেছে
তোমার কাছে টাকা কত আছে? তন্ময় বললো ওর কাছে দুই হাজার টাকা আছে। বাবা
বললেন সকালে বিকাশ করে টাকা পাঠাবো। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এভাবে সারা রাত গেল। সকাল
এগারটার সময় ওরা মালিবাগ রেলক্রসিং পার হতে পারলো। কিন্তু তারপরই আবার
জ্যাম। সকালের নাস্তাটা ওরা ওখানেই শেষ করলো। কিছুক্ষণ পর এক জুতা কালি
ওয়ালা উঠলো। এর বয়সও এগার কি বার হবে। গাড়িতে বসে থাকলেতো আর জুতা ময়লা
হয়না তাই ওর ব্যাবসা খুব একটা জমেনি। তার পরও আগ্রহের খাতিরে তার সাথেও কথা
হলো তন্ময় আর অন্তরা। সেও জানালো চুক্তির কথা। ওর নাম মারু। আসলে হয়তো
বাবা মা শিক্ষিত হলে ওর নাম হতো মারুফ। তবে সে খুব গল্প প্রিয়। অন্তরা যখন
তাকে কাছে ডাকলো তখন এক গাল হেসে দিয়ে বললো “আফা আমিতো আপনের জুতা কালি
করতি পারুম না, আমি খালি ভাইজানগো জুতা কালি করি”।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ওর কথা শুনে
অন্তরা হেসে দিয়ে বললো না না আমার জুতা কালি করতে হবেনা। তুমিতো দেখি খুব
কথা বলতে পছন্দ করো। অন্তরার কথা শুনে ছেলেটা এক গাল হাসি দিয়ে বললো “তাইলে
শুনেন আফা এই যে জামে আটকা পইড়া আছেন কয়দিন হইলো? তন্ময় বললো তাতো প্রায়
দুইদিন হতে চললো। ছেলেটা তখন বললো এইডাতো কুন জামই না। জাম ছিল আগে। আমার
জন্মই অইছে জামের মধ্যি। বাজানের মুখ থাইক্কা হুনছি বাজান টঙ্গী থাইক্কা
যাইতেছিল সদর ঘাট। তহন রাস্তায় নাকি জাম ছিল। সেই জামে বাজান আটকা পড়ে ছিল
টানা তের মাস। সেই জামের মধ্যিই বাজানের সাথে আমার মায়ের পরিচয় অইছিল আর
বিয়াও অইছিলো। এর পর নাকি বাজান জামে আটকা পইড়া পাশের হুডেলে তাগো বাসর
করছিল। এমনকি সেই জাম কাডাইয়া বাজান সদর ঘাট যাওয়ার আগেই দশ মাস পার
অইগেছিল আর আমার জন্ম অইছিল”। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ওর কথা শুনে অন্তরা হো হো করে হেসে
উঠলো। তন্ময়ও খুব হাসলো এমনকি তীব্র যানজটে মেজাজ হারিয়ে ফেলা অন্যান্য সব
যাত্রীয় ওর কথা শুনে হো হো করে হেসে উঠলো। অলরেডি তন্ময়রা আট দিন জ্যামে
আটকে আছে। এর মধ্যেই ওদের পকেটের প্রায় সব টাকা শেষ। বাবা বিকাশ করে টাকা
পাঠিয়েছেন সেটাও তুলে আনা হয়েছে। এই যাত্রা পথের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার কথা
অন্তরা ওর ট্যাবে লিখে রেখেছে। আগামী বই মেলায় বই বের করবে। কিন্তু বইটার
কি নাম দেওয়া যায় তা ভেবে পাচ্ছেনা। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অতঃপর এক সকালে ওরা উত্তরা
নিজেদের বাসায় পৌছালো। কলিংবেল টিপতেই আম্মু দরজা খুলে দিল। আম্মুর মুখে
অনাবিল হাসি আর হাতে মিষ্টির প্যাকেট। অন্তরা আর তন্ময় দুই ভাই বোন অবাক
হয়ে জিজ্ঞেস করলো আম্মু কিসের মিষ্টি! আম্মু বললো অন্তরার এসএসসির রেজাল্ট
বের হয়েছে আজকে। ও গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে তার মিষ্টি। দুই ভাই বোন একে
অন্যের মুখের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ভাবলো পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি আসতে আসতেই
রেজাল্ট বের হয়ে গেল! বাংলাদেশতো সত্যিই ডিজিটাল হয়ে গেছে। যদিও যানজটের
কারণে ওরা একমাস পর বাসায় ফিরেছে! তবুও ওরা খুশি যে অন্তরার কলেজ ভর্তির
ডেট শেষ হওয়ার আগেই বাসায় ফিরতে পেরেছে। </div>
<div style="text-align: justify;">
...................................................</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-719766589238106842016-05-31T00:25:00.001-07:002016-05-31T00:25:26.331-07:00স্বপ্ন আরও<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br /> ……………………………………………<br /> <a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://www.facebook.com/hashtag/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%80?source=feed_text&story_id=1701534406771913"><span class="_58cl">#</span><span class="_58cm">জাজাফী</span></a><br /> …………………………….<br /> আমার সাথে কোন দিনও<span class="text_exposed_show"><br /> হয়তো তোমার হয়নি দেখা<br /> তাই বলে কি নিষেধ আছে<br /> তোমায় নিয়ে গল্প লেখা।</span><br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
হয়তো কভু এক জীবনে<br /> চোখ রাখিনি তোমার চোখে<br /> তাই বলেকি স্বপ্ন দেখা<br /> বন্ধ রবে ইহলোকে।<br />
<br />
আকাশ যখন আঁধার করে<br /> হয়তো তখন চাঁদ দেখিনা<br /> তোমার প্রতি যে টান আছে<br /> জেনে রেখো সব মেকি না।<br />
<br />
আমারও এক আকাশ আছে<br /> সেই আকাশের চাঁদ যে তুমি<br /> সেই আলোতেই রঙ্গীন থাকে<br /> হয়তো কোন মরুভূমি।<br />
<br />
হয়তো কভু তোমার সাথে<br /> হাতটা ধরে হয়নি হাটা<br /> তুমি বিনে জানো কি এই<br /> জীবনটা খুব সাদামাটা।<br />
<br />
সাদামাটা জীবনটাকে<br /> রাঙিয়ে দিতে আসতে পার<br /> এসেই না হয় জেনে নিও<br /> আছে কতই স্বপ্ন আরো।<br /> ………………….জাজাফী</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-3329680441997713232016-05-31T00:24:00.002-07:002016-05-31T00:24:49.852-07:00কান কই<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
কানে হাত দিয়ে দেখি হায় হায় কান কই<br /> কান নিয়ে চারদিকে শুনি আজ হইচই।<br />
গোটা দেশেরই নাকি কান কাটা গেছে আমারওকি তাই<br /> হায় হায় কানে হাত দিয়ে দেখি কান নাই।<br />
<div class="text_exposed_show">
আমার কি দোষ ছিল কেন কাটা গেল কানটা<br /> শিক্ষক কান ধরে ওঠাবসা করলে তবে আর থাকে কার মানটা।<br />
কান কাটা গেছে এর পরও নাকি নাক উচু, উচু নাকি মাথাটাও<br /> কান ছাড়া শুনবে কে আমার বলা কওয়া সব ফাও।<br /> --------------------------------------------------<a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://www.facebook.com/hashtag/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%80?source=feed_text&story_id=1701775863414434"><span class="_58cl">#</span><span class="_58cm">জাজাফী</span></a><br /> ১৮ মে ২০১৬</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-54562790324943372062016-05-31T00:24:00.000-07:002016-05-31T00:24:21.203-07:00আনিসুল হকের বইয়ের তালিকার একটি গল্প<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<br /> <br /> =====================<br /> <a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://www.facebook.com/hashtag/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%80?source=feed_text&story_id=1702260583365962"><span class="_58cl">#</span><span class="_58cm">জাজাফী</span></a><br /> ==================================<br />
এক ছিল রাজকন্যা সে তার প্রাণ প্রিয় "মা" কে বললো জানো মা "আমাদের ক্লাসে
একটা পরী পড়ে" মা শুনেতো অবাক। কিন্তু মাও পিচ্চিকে অবাক করে দেওয়ার জন্য
বললো এ আর এমন কি? তুমি জানো "রোজ বৃহস্পতিবার আমাদের বাসায় চোর আসে"
আম্মুর কথা শুনেতো পিচ্চির চোখ কপালে। জানতে চায় চোর কখন আসে? আম্মু বলে
তুমি ঘুমিয়ে গেলে আসে। পিচ্চি নাম <a class="profileLink" data-hovercard="/ajax/hovercard/page.php?id=861340113973194" href="https://www.facebook.com/sumaiyamifraakhter/">সুমাইয়া মিফরা</a>
। মিফরা কিছু বলার আগেই বাবার ফোন। রিসিভ করে জানা গেল বাবা লিফটে আটকা
পড়েছেন। আম্মু গিয়ে লিফট খুললেন। দেখা গেল সেখানে ঝুনু খালামনিও আছে সাথে
তার বড় ছেলে। আম্মু হেসে দিয়ে বললেন কি খবর "লিফটে আটকে পড়া যুবক যুবতীরা"
বাবা হাত থেকে এক গোছা গোলাপ আম্মুর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন "পৃথিবীর সব
থেকে সুন্দরী রমনী আপনার জন্য" ঝুনু খালা হেসে দিয়ে বললেন আপা "বিক্ষোভের
দিন গুলিতে প্রেম" মনে আছে এখনো? </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ঝুনু খালার কথা শুনে আব্বু বললেন
শুধু সেই কথা কেন "বেকারত্বের দিন গুলিতে প্রেম" ও মনে আছে। তারেক ভাইয়া
পাশেই দাড়িয়ে ছিল। সে বললো "একাত্তুরের একদল দুষ্টু ছেলে"দের কথা আমার খুব
মনে পড়ে। কিসের মধ্যে কি পান্তাভাতে ঘি। তারেক ভাইয়ার বোকার মত কথা শুনে
আমি হেসে দিয়ে বললাম তুমি কি "গুড্ডু বুড়া" তাহলেতো "গুড্ডু বুড়ার মজার
কান্ড" দেখা যাবে।</div>
<div style="text-align: justify;">
আমার কথা শুনে মিফরা বললো আমি কি "স্বপ্ন" দেখছি?
নাকি "শহরের অদ্ভুত জন্তু" দেখছি। ওরকথা শুনে আমরা সবাই হো হো করে হেসে
উঠলাম। মনে পড়ে গেল "ছোটরা যেদিন বাড়ির বড় কর্তা" ছিল সেদিনের কথা। কতইনা
মজা করেছি সেদিন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
নোভা সেদিন "বোকা গোয়েন্দা" সেজেছিল। ওর সব "ভুল
গুলো ভালবাসা গুলো" বাড়ির বড়রা ক্ষমা করে দিয়েছিল। রোজা আপু সেদিন মজা করে
ওকে চিঠি লিখে বলেছিল "মনে রেখো প্রিয় পাতা"</div>
<div style="text-align: justify;">
"এই গল্পটা হাসির" "চার
প্রিয়তা" "রম্য অরম্য" নিয়ে "বারটা বাজার আগে" খুনসুটিতে মেতে ছিল। ঠিক
সেই সময় "শিপরা নামের পিপড়া মেয়েটা" এসে হাজির। পিছন থেকে কে যেন ওকে
ডাকছিল "ফিরে এসো সুন্দরী তমা" কিন্তু সে ফেরেনি। যে বাড়িতে "কাকের নাম
সাবানী" সেখানে বসে "নক্ষত্রের পানে চেয়ে বেদনার পানে" "খোলা চিঠি সুন্দরের
কাছে" লেখাই যায়। কিন্তু সেই চিঠিটা বেহাত হওয়ায় "জামাই সেজে চোর ঢুকেছিল"
বাড়িতে সেটা সবার মনে আছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
চা খেতে খেতে কখন যেন কেটে গেছে
"অন্ধকারের একশো বছর" কেউ টের পাইনি। "রাজা যায় রাণী আসে" কিন্তু "সুদুর
তমা" আর আসেনা। "গোধুলী" নামের ছোট্ট মেয়েটি "স্বপ্ন ও স্বপ্ন ভঙ্গের
দেশে" গিয়ে কান্না নিয়ে ফিরে এসেছে। "একটি নিষ্ঠুর কল্প কাহিনী এবং" "বীর
প্রতীকের খোজে" সে কতনা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আজ ক্লান্ত।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
চা খেতে খেতে
বাবাকে হঠাৎ মিফরা প্রশ্ন করে "চিয়ারি বা বুদু ওরাও কেন দেশ ত্যাগ করেছিল"
তা জানতে চায়। ওর প্রশ্নের জবাবে বাবা বলেন "স্বপ্নের মানুষ" ছিল "হৃদিতা"
তাকে খুজতেই সে দেশ ত্যাগ করেছিল। কিন্তু ওরা "দুঃস্বপ্নের যাত্রী" হতাশ
কন্ঠে বলেছিল "আলো অন্ধকারে যাই" ফাহিম ভাইয়া মিফরাকে খুব খ্যাপায়। তাই সে
হঠাৎ বলে উঠলো "আপা তোমার আব্বাকে একটু আব্বা বলে ডাকি এবং" আদর করি।
মিফরাও বৃদ্ধি করে ফিক করে হেসে দিয়ে বললো "এতোদিন কোথায় ছিলেন"?</div>
<div style="text-align: justify;">
আমাদের কথা বলার ফাকে দেখি আম্মু কার সাথে যেন ফোনে কথা বলছেন। হঠাৎ শুনি
আম্মু বলছে "বিজয়ী হবে বাংলাদেশ" "তোর জন্য,প্রিয়তা" বুঝলাম প্রিয়তা
খালামনির সাথেই কথা হচ্ছে কিছু একটা নিয়ে। অবশ্য বাবা বলেন প্রিয়তার সাথে
কথা বলা আর "অরণ্যে রোদন" করা সমান কথা।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /> বাবা মাঝে মাঝে কবির হয়ে যান
কিছু সময়ের জন্য। সেই চায়ের আড্ডাতে বাবা বলে উঠলেন "তোমাকে ভাবনা করি" চার
প্রিয়তা" । আমি গুনে গুনে দেখলাম সত্যিই চারজন আছেন তার প্রিয় মানুষ। যদিও
আমরাও তার প্রিয়। কিন্তু আমরাতো "দুঃখ পরী,সুখ পরী" আর ফাহিম ভাইয়া এবং
তারেক ভাইয়ারাতো "ভীন গ্রহের ক্রিকেটার"।যদিও তারা ক্রিকেট মোটেও পারেনা।
কারণ একদিন তারেক ভাইয়া বলেছিল বাংলাদেশের সেরা ব্যাটস ম্যান মাশরাফী বিন
মুর্তজা যখন ব্যাট করে তখন এক নাম্বার উইকেট কিপার মুস্তাফিজকে আর
স্টাম্পের পিছনে থাকা লাগেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
"আমার একটা দুঃখ আছে" সবাই আমাকে বলে
"ছোটদের বিদ্যাসাগর" অথচ দেখ আমি কিন্তু সামান্যি অখ্যাত মানুষ। আমি জানি
"এ ভালবাসার কোন মানে হয়না" তাই আমি বার বার বলছি "প্রিয় পাঠক একটু হাসুন"
এবং "ভালবাসা ডটকম" এ ভিজিট করে "না মানুষি জমিন" দেখে আসুন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
গল্প
বেশ জমে উঠেছিল কিন্তু ঝুনু খালা আমাদেরকে নিজেদের রুমে যেতে বললেন। সন্দেহ
করলাম নিশ্চই কিছু আছে। আমি "মটকু মামার গোয়েন্দা অভিযান" মনে করে লুকিয়ে
শুনতে চেষ্টা করলাম। দেখি ঝুনু খালা বলছে ফিরে এলাম "অসমাপ্ত চুম্বনের ১৯
বছর পর"। সব শুনেতো আমার মাথায় হাত। "খেয়া" ঘাটের ওপার থেকে "যারা ভোর
এনেছিল"তাদের কথা এরা মনে রাখেনা ঠিকই কিন্তু ওসব মনে রাখে। অথচ এরা
জানেইনা "ফাটা ডিমে আর তা দিয়ে কি ফল পাবে"। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
বাবার মুখে কথার খই
ফুটলো। বললো "সে" "একাকী একটি মেয়ে" " তার নাম "সুচরিতাসু"। সে ছিল আমার
"বৃষ্টি বন্ধু" যার সাথে আমার "শেষ বিকেলে দেখা" হয়েছিল চার রাস্তার মোড়ে।
সব শুনে নিজেকে "রোবট" মনে হচ্ছিল। আবার মনে হচ্ছিল "লম্বু ভূত" আসলে "আমি
আছি আমার অনলে"। সেখানে "বেটে ভুত" নেই "ঘোড়ার ডিম" নেই কিন্তু আছে
"শাকালাকা বুমবুম"। পাশের বাসার "তিনি এবং একটি মেয়ে" যার নাম "মায়া" মিলে
"৫১ বর্তী" পরিবার। আমি "ফাজিল" আমার ভাবনা একটাই। "আয়েশা মঙ্গল" "পাই বা
না পাই" নিশ্চই "অন্য শরীর" পাবো। হঠাৎ দেখি বাবা বলছেন "অহেতুক কৌতুক"
রেখে এটা নাও "সেজুতী তোমার জন্য" এক গুচ্ছ মালা এনেছি। এটার জন্য বাবা
আম্মুর হাতে "ধরা" খেলেন। আম্মু মজা করার জন্য বললেন "মেঘরে মেঘ তুই আছিস
বেশ" বাবা বললেন তুমি জানো "অশ্ব ডিম্ব" মা উল্টো বললেন "গাধা"। তার পর সে
কি হাসাহাসি।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এতোক্ষণ শুনিয়ে গেলাম "সরস কথা নীরস কথা" এটাই আমাদের
"রঙ্গ ভরা বঙ্গদেশ"। আমরা "ভালবাসি আশ্চর্য মেঘ দল" এটা তোমাদের কাছে
"রম্য কথা" মনে হতে পারে কিন্তু আমরা ভাবি "পড়শী যদি আমায় ছুতো"। কিন্তু
পড়শী আসেনা। আমাদের গল্প শেষ হবেনা যদিও পাই "দ্বিতীয় জীবন" কারণ "আইভরি
কোষ্টের লাল সবুজের পাশে" আমাদের "ভালবাসা মন্দ বাসা"। সেদিন "কালরাত্রি"
ছিলনা তার পরও মনে হলো "এই যন্ত্র লইয়া আমরা কি করিব"।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
বাবা আবার
কবি হয়ে গেছেন। ঝুনু খালার দিকে তাকিয়ে আবৃত্তি করছেন "দখিন হাওয়ার দক্ষিণ
বারান্দায়" "ফাল্গুনের রাতের আধারে" এটা "তোমাকে না পাওয়ার কবিতা"। আম্মু
বললেন ও তলে তলে তাহলে এই ছিল? বাবা তখন আম্মুকে শান্তনা দেওয়ার জন্য বললেন
"প্রিয়তমাসু" "সেই গুমের পর" "ঊষার দুয়ারে" তোমাকেই দিয়েছিলাম "শুধু একদিন
ভালবাসা"। এটা শুনে আম্মু আরো রেগে গেলেন। কী একদিন ভালবাসা? আর বাকি দিন
কার শুনি? যদিও জানি সব ছিল আব্বু আম্মুদের খুনসুটিমাত্র।</div>
<div style="text-align: justify;">
"আজকালকার
ভালবাসার গল্প" শুনলে "হাসতে হাসতে খুন" তবে আমাদের একটা বিড়াল ছিল "পুষি"
সে আবার "রাখাল বালকের মুক্তি যুদ্ধ" আর "রাক্ষোস খোক্কস" এর গল্প শুনতে
ভালবাসতো। কিন্তু তাকে কে গল্প শোনাবে? এখনতো "কিডনাপারের কবলে গুড্ডু
বুড়া" এই সময় <a class="profileLink" data-hovercard="/ajax/hovercard/user.php?id=592385155" href="https://www.facebook.com/Anis1971">Anisul Hoque</a> হাসতে হাসতে প্রবেশ করলেন আর বললেন "আমারও একটা প্রেমকাহিনী আছে" সুতরাং "ভালবাসো,বাঁচো"।</div>
<div style="text-align: justify;">
তার কথা টেনে নিয়ে খালামনি একটা চেয়ার এগিয়ে দিতে দিতে বললেন "ভালবেসে
তোমায় দিলাম" আর ঠিক তখনি ঘটে গেল "যত কান্ড চিয়ার নিয়া" তবে আর যাই হোক
তেমন কিছু ঘটেনি কারণ সেখানে তখন "জেনারেল ও নারীরা" ছিলনা। কেবল ছিলেন এক
গল্পের যাদুকর আনিসুল হক।</div>
<div style="text-align: justify;">
......(সংক্ষেপিত)<br /> (আরো অনেক গুলো বই বাকি আছে সময়ের অভাবে দেওয়া হলোনা)</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-56952200124155226322016-05-31T00:22:00.003-07:002016-05-31T00:22:46.067-07:00অষ্ট ভ্রমন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
ইবনে বতুতার মত আমিও ভ্রমন করেছিলাম অনেক দেশ। সেই সব দেশের নাম দিলাম নিচেয়। সাথে আমার পরিচয়টাও।<br /> =======================<br />
আমি জামালপুরের জামাল। মানিক গঞ্জের মানিকের পরামর্শ মতে ঢাকা বেড়াতে গিয়ে
ভুতের গলির ভুত দেখে ভয় পেয়ে পালিয়ে ধোলাইখাল গিয়ে বেধড়ক ধোলাই খেয়ে
এলিফেন্টরোড এসে বিশাল এক হাতির লাথি খেয়ে ল্যাংড়া ও লুলা হয়ে চিকিৎসার
আশায় টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর গিয়ে এক ভূয়া ডাক্তারের কাছে প্রতারিত হই।</div>
<div style="text-align: justify;">
তার পর সুনামগঞ্জের সুনামী ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে হবিগঞ্জ যাওয়ার পথে এক নত<span class="text_exposed_show">ুন
হবি চাগিয়ে ওঠে। হবি পুরণ করতে নবাব গঞ্জের নবাবের কাছে যাই। নবাব ব্যর্থ
হয়ে আমাকে বগুড়ার গুড় কিনে নিয়ে সোনাখালীর সোনা মিয়ার সাথে দেখা করতে বলে।
সোনামিয়াকে না পেয়ে কুড়ি গ্রাম গিয়ে কুড়ি টাকা দিয়ে লালমনির হাটের লাল এবং
নীলফামারীর নীল রং কিনে পঞ্চগড়ের পাচ টাকায় গাইবান্ধার গাইয়ের দুধ পান করে
লক্ষ্মি হওয়ার আশায় লক্ষ্মিপুর যাত্রা কালে বান্দরবনের কতিপয় বান্দর আমাকে
কিলিয়ে ঘুষিয়ে সাতক্ষিরা পাঠায়।</span></div>
<div class="text_exposed_show" style="text-align: justify;">
অতঃপর সাতক্ষীরার হাসপাতালে সাত দিন থেকে সাতটি ক্ষিরা খেয়ে এবং বরিশালের
বরই খেয়ে সুস্থ্য হয়ে ঝিনাইদাহ গিয়ে জ্বিনের সাথে দেখা করি। তার সাথে কথা
বলতে বলতে মহেশপুর এসে দেখি মহিষ এবং হরিণাকুন্ডের হারিণকে বাগের হাটের বাঘ
তাড়া করছে। এ অবস্থা নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে কালিগঞ্জের কালো কালি গায়ে
লাগিয়ে শৈলকুপা থেকে কুপানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে বাঘকে কুপিয়ে আহত করে ফেলেছি।
বর্তমানে মাগুরার মাগুর মাছ খাইয়ে সুস্থ্য করার জন্য ঝালকাঠির ঝাল এবং
ফেনীর ফেন একসাথে মাখিয়ে খাওয়াচ্ছি।<br />
বাঘ সুস্থ্য হলে বানিয়াবহুর
বানের মধ্যে ভরে কাওড়ার কাওছারকে সাথে নিয়ে মমিন নগরের মমিনের পরামর্শ মতে
কক্সবাজারের বাজারে বিক্স্রি করে একটা বড় ঝামেলা থেকে মুক্ত হবো।<br />
এতো কিছু করে এখন আমি জ্বরে ভুগছি তাই আপনারা দোয়া করবেন যেন সুস্থ্য হয়ে
এবার ঠাকুরগাওয়ের ঠাকুর এবং ব্রাহ্মনবাড়িয়ার ব্রাহ্মনের পরামর্শ নিয়ে
রাঙ্গামাটির মাটি আনতে যাওয়ার পথে শেরপুরের শের এবং ময়মনসিংহের সিংহকে
পরাস্থ করে জয়পুরহাট গিয়ে জগা কুস্তিগিরকে পরাস্থ করে জয় লাভ করতে পারি।<br />
বি.দ্র: লেখাটি প্রথম আলোর রস+আলোতে বেশ আগে প্রকাশিত। তবে লিংক দিতে পারছিনা।</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-22612194190005446332016-05-31T00:20:00.003-07:002016-05-31T00:20:37.052-07:00সাংবাদিকেরা যেভাবে রিপোর্ট লেখে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
সবার ভালবাসা পেয়ে একদিন সত্যি সত্যি ধরুন জাজাফী বিখ্যাত হয়ে গেল।তার
পর অসাংবাদিকেরা জাজাফীর সাক্ষাতকার নিতে শুরু করলো। চলুন দেখি জাজাফীর
ভাবনা গুলো জেনে নিয়ে অসাংবাদিকেরা কি লিখতে পারে সেটা দেখে নিই।</div>
<div style="text-align: justify;">
জাজাফীঃ আমি গল্প উপন্যাস লিখতে গিয়ে অনেক সময় বাবা মা বোনকে সময় দিতে পারিনা।<br /> পত্রিকার শিরোনামঃ মা বোনকে সময় দেন না জাজাফী।</div>
<div class="text_exposed_show" style="text-align: justify;">
জাজাফীঃ মনে হয় মাঝে মাঝে বোনের চেয়ে লেখালেখিকেই বেশি ভালবাসি।<br /> পত্রিকার শিরোনামঃ ভালবাসার মাপকাঠিতে বোন <a class="profileLink" data-hovercard="/ajax/hovercard/page.php?id=861340113973194" href="https://www.facebook.com/sumaiyamifraakhter/">সুমাইয়া মিফরা</a> কে অনেক নিচে ঠাই দিলেন জাজাফী।<br />
জাজাফীঃ উপন্যাস মার্কেট না পেলে চিন্তা করি ছোট গল্প দিয়ে পুষিয়ে দেব।<br /> পত্রিকার শিরোনামঃ ব্যার্থতা নিয়ে ভাবেন না জাজাফী।<br />
জাজাফীঃ এই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা না নিলে উন্নতি সম্ভব হবেনা।<br /> পত্রিকার শিরোনামঃ বাংলা সাহিত্যে উন্নতি সম্ভব নয় সাফ জানিয়ে দিলেন জাজাফী।<br />
জাজাফীঃ আমার প্রিয় লেখক জুলভার্ন।<br /> পত্রিকার শিরোনামঃ বাংলা সাহিত্যকে ঘৃণা করেন জাজাফী।</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-37071560103994880032016-05-31T00:18:00.002-07:002016-05-31T00:18:41.615-07:00রানী এলিজাবেথের বই পড়ার গল্প<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<br /> ----------------------------------</div>
<div style="text-align: justify;">
ইংল্যান্ডের বর্তমান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্মদিনে একটি বই উপহার
দিলেন তার দেশের এক মন্ত্রী। রানী বই পড়তে ভালবাসেন এটা বিশ্বব্যাপী
স্বীকৃত। এক অবসরে তিনি যখন সেই বইটি পড়তে শুরু করলেন তখন মুগ্ধ বিস্ময়ে
হতবাক হয়ে গেলেন। একবার দুবার বার বার পড়লেন বইটা। যাদুকরের যাদু যেমন
আকৃষ্ট করে তেমনি সেই বইটিও তাকে আকৃষ্ট করলো।</div>
<div class="text_exposed_show" style="text-align: justify;">
রানী সেই মন্ত্রীকে আদেশ দিলেন বইয়ের লেখককে রাজপ্রাসাদে আমন্ত্রন জানাতে
এবং রানীর সাথে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিতে। রানীর আদেশ মত মন্ত্রী সংবাদটি
দিলেন সেই লেখককে। রানী নিজে তাকে রাজপ্রাসাদে দাওয়াত করেছেন!!!! বিস্ময়ে
তিনি যেন বাক হারা হয়ে গেলেন। তার পর যথাসময়ে হাজির হলেন বাকিংহাম
প্যালেসে। রানীর সাথে সেটাই ছিল তার প্রথম সাক্ষাত। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ
তার বইয়ের প্রসংশায় পঞ্চমুখ।<br />
<br />
মহারানী এবার লেখককে বললেন আমি আপনার
বই পড়ে এতোই মুগ্ধ হয়েছি যে আমি চাই আপনার লেখা সব বই এক নিমিষে পড়ে শেষ
করবো। লেখক আমতা আমতা করে কিছু বলতে চাইলেন। তার লেখা অগণিত বই ছিল তার পরও
তিনি জানালেন মহামান্য রানী আমার বাকি বইগুলোর একটাও আপনার ভাল লাগবেনা
এটা আমি লিখিত দিতে পারি। রানী তার কোন কথাই শুনলেন না। তিনি বললেন ভাল
লাগবে কি লাগবেনা সেটা আমি বুঝবো আপনি আপনার লেখা বাকি সব বই পাঠান।
লেখকদের আসলে এভাবেই কথা বলতে দেওয়া হয়না কিংবা লেখকদের কথা সবাই মন দিয়ে
শোনেওনা।<br />
রানীর আদেশ মত সেই মন্ত্রী লেখকের সাথে তার বাসায় গিয়ে
লেখকের বাকি সব বই নিয়ে আসলেন রাজপ্রাসাদে। নৈশভোজ শেষে রানী সবাইকে বললেন
এখন তিনি একাধারে বই পড়বেন এবং এই সময়ে তাকে যেন কেউ বিরক্ত না করে। রানীর
আদেশ আজ্ঞাবহ হিসেবে সবাই মেনে নিলো।<br />
দশ মিনিটের মধ্যেই রানী তার
পড়ার ঘর থেকে বেরিয়ে আসলেন। তখন প্রায় মধ্যরাত। লেখক নতুন লেখায় মন দিতে
যাচ্ছেন। রানী আদেশ দিলেন এখনি ওই লেখককে রাজপ্রাসাদে নিয়ে আসো এবং অবশ্যই
স্বসম্মানে।<br />
<br />
সেই রাতেই লেখক আবার এলেন রাজপ্রাসাদে রানীর সামনে। কেউ কিছু বুঝতে পারেনি তখনো কিন্তু লেখক নিজে জানেন আসলে কি হয়েছে।<br />
রানী আক্ষেপ নিয়ে বললেন আপনার ওই বইটা এতো অসাধারণ ছিল যে আমি বিশবারের
বেশি পড়েছি তাই আগ্রহ ছিল আপনার বাকি বই গুলোও পড়বো। কিন্তু বাকি বই গুলোর
নামও পড়তে বিরক্ত লেগেছে।<br />
লেখক বিনীত ভাবে জানালেন মহামাননীয়া রানী আমি আপনাকে আগেই বলেছিলাম আমার বাকি বই গুলোর কোনটাই আপনার ভাল লাগবে না।<br />
<br /> --------------------------------------------<br />
বইটি যিনি লিখেছিলেন তিনি বিশ্ব বিখ্যাত একজন লেখক। তিনি ছিলেন
ইংল্যান্ডের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একজন গণিতবিদ। তিনি মাত্র একটি গল্পের বই
লিখেছেন যা বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয়। হলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা জনিডেপ
তার সেই গল্পের প্লটে নির্মিত সিনেমায় অসাধারণ অভিনয়ও করেছেন। এই লেখক এর
পর যত বই লিখেছেন তার সবই ছিল গণিতের উপর। তাই রানী এলিজাবেথের তা পড়া
হয়নি। লেখকের নাম লুইস ক্যারোল। আর বইটার নাম এলিস ইন ওয়ান্ডার ল্যান্ড।<br /> =======================================<br /> <a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://www.facebook.com/hashtag/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%80?source=feed_text&story_id=1706756169583070"><span class="_58cl">#</span><span class="_58cm">জাজাফী</span></a></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-73333595562910189642016-05-31T00:14:00.001-07:002016-05-31T00:14:45.678-07:00মুস্তাফিজ<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br /> ========================<br />
মুস্তাফিজের বাড়ি কিন্তু আমগো বাড়ির পাশে<br /> হেতের পোষা কবুতরও আমগো বাড়ি আসে।<br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
মাঝে মধ্যে খাওন ও দেই পানিও দেই কিছু<br /> হ্যাগো বাড়ি পাডাই আমি আমগো বাড়ির লিচু।<br />
<br />
আইপিএলে জনপ্রিয় আজ সে পোলার কাটার <br /> হেতের ভয়ে দলগুলো আজ নামিয়ে রাহে সাটার।<br />
<br />
জিতেই নিলো কাপটা হেতে,হেই ছিল প্রাণ ভোমর<br /> ঝালমুড়ি হে না খাওয়ালে ফাঁস করবোই গোমর।<br />
<br />
আমগো বাড়ির পাশেই কিন্তু মুস্তাফিজের বাড়ি<br /> বাড়ি এলে এবার হেতের নেইকো ছাড়াছাড়ি।<br />
<br />
মাথায় তুলে নাচবোনাকো গাইবোনাকো গান<br /> ধান কাটবো হেতেরে কবো আনতো কাটার খান।<br />
<br />
হাইসসা দিবো ফিক করে হেই,পাগল হইলি নাকি<br /> আমি কিন্তু মুস্তাফিজের বাড়ির লগেই থাকি।<br />
<br />
মুস্তাফিজের মায়রে আমি কাকি কইয়েই ডাকি<br /> ইচ্ছে অইলে ভাবতি পারেন,আমি ভীষণ লাকি।<br />
৩০/৫/১৬<br /> <a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://www.facebook.com/hashtag/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%80?source=feed_text&story_id=1706358989622788"><span class="_58cl">#</span><span class="_58cm">জাজাফী</span></a></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-26858851459044226882016-05-31T00:12:00.002-07:002016-05-31T00:12:48.340-07:00ফটোগ্রাফী আসক্তি<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<br /> =========================<br /> <a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://www.facebook.com/hashtag/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%80?source=feed_text&story_id=1706747652917255"><span class="_58cl">#</span><span class="_58cm">জাজাফী</span></a><br /> ------------------------------------------------------<br />
দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যের কারণে আকাশের চাঁদ কারো চোখে সম্মোহন আনে আবার
কারো চোখে সেটা হয়ে ওঠে ঝলসানো রুটি।অনেকটা সেই বিখ্যাত প্রবাদের মত “কেউ
মদ বিক্রি করে দুধ কিনে খায় আর কেউ দুধ বিক্রি করে মদ কিনে খায়”।আগে যেখানে
গ্রামতো দুরের কথা শহরেও খুব একটা ক্যামেরা দেখা যেতনা এখন সেখানে প্রায়
জনে জনে কাধে ডিএসএলআর নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।আর প্রত্যেকের হাতের
মোবাইলেতো ক্যামেরা আছেই।চাই সেটা আইফোন হোক বা এক হাজার টাকা দামের কোন
অখ্যাত ব্র্যান্ডের সেট হোক সবটাতেই ক্যামেরা অবধারিত। আর ক্যামেরার এই
প্রতুলতার কারণে আমরা ক্ষণে ক্ষণে ফটোগ্রাফারের ভূমিকায় অবর্তীণ হচ্ছি।<br />
কিন্তু কখনোই ভেবে দেখছিনা যে কাকের পিছনে ময়ুরের পুচ্ছ লাগলে যেমন কাক
ময়ুর হয়ে যায়না তেমনি ডিএসএলআর বা এসএলআর বা অন্য যে কোন ক্যামেরা কাধে
নিয়ে ক্লিকের পর ক্লিক করে ছবি তুললেই ফটোগ্রাফার হওয়া যায়না।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /> বিশেষত আজকের বাঙ্গালীর ফটোগ্রাফী প্রীতির কথা বলতে গেলে মনে পড়ে যাচ্ছে কেভিন কার্টারের কথা। <br />
একটু পিছনে ফিরে গেলেই মনে পড়বে সেই মানুষটির কথা।১৯৯৩ সালে যিনি সুদানের
দুর্ভিক্ষের ছবি তুলে পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন। কেভিন কার্টার সেদিন
সুদানে একটি ছোট্টো বাচ্চার ছবি তুলেছিলেন। কংকাল প্রায় সেই বাচ্চাটি
হামাগুড়ি দিয়ে এগুচ্ছিল খাবারের জন্য। নাহ যতদূর চোখ পড়ে খাবারের কোন
চিহ্নই ছিলনা। সেই মৃতপ্রায় শিশুটির পাশেই একটি শকুন অপেক্ষা করছিলো
বাচ্চাটি মারা যাবার জন্য। মৃত্যু কত কাছে ছিল। বলা হয়ে থাকে পুলিৎজার
পুরস্কার প্রাপ্ত ফটোসাংবাদিক কেভিন কার্টার ওই বাচ্চাটি এবং তার মত আরো
অনেক বাচ্চাকে খাবার পেতে সহায়তা না করার যন্ত্রনায় আত্মহত্যা করেছিলেন।
যে মানুষটি ফটোগ্রাফীর জন্য সবথেকে দামি পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনিও আক্ষেপ
নিয়ে চলে গেলেন।গুগল ঘাটলেই ভেসে ওঠে কেভিন কার্টারের মূখ।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
অন্যদিকে
ইউরোপে প্রবেশের পথে এইতো ক’দিন আগে কত কত মানুষ লাশ হয়ে ভেসে গেল সাগরের
জলে।কোনদিন তাদের আর খোঁজ মিলবেনা।সেই সব অভুক্ত মানুষের ছবিও আমরা দেখেছি
নানা মাধ্যমে।সাগর পাড়ে মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল ছোট্ট আয়লান।সাগর পাড়ের আয়লানের
ছবি তোলা সেই সাধারন ফটোগ্রাফারের কথাই ধরুন। যেই ছবিটি সারা দুনিয়া
কাঁপিয়ে দিলো।</div>
<div style="text-align: justify;">
একজন ফটোগ্রাফার একটু যত্ন নিয়ে চেষ্টা করলেই
দেশটাকে অন্যের কাছে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারে।আমাদের অগচরেই
হয়তো লুকিয়ে আছে অনেক সৌন্দর্য।সবাইতো সেই সৌন্দর্য খুঁজে পায়না।আমরা যদি
সেসব ক্যামেরার চোখ দিয়ে বন্দি করে অন্যদের সামনে তুলে ধরি তাহলে সেই
সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে আরো অনেকে। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
চারদিকে কত কত অসংগতি।আমাদের
কাঁধে ঝুলছে দামী লেন্সের ডিএসএলআর ক্যামেরা। চাইলে সেই ক্যামেরায় তুলে
আনতে পারি সেই সব অসংগতি আর জানিয়ে দিতে পারি পুরো বিশ্বকে। কিন্তু আমাদের
রুচিতে অরুচিকর সব বিষয় ঢুকে পড়েছে।আমরা তাই ঝুকে পড়েছি ফটোগ্রাফী নামে
অফটোগ্রাফীতে। আমরা প্রতিনিয়ত ছবি তুলছি আর ফেসবুকে আপলোড দিচ্ছি।সেই সব
ছবিতে আমাদের কারো মূখ বাকানো কারো জিহ্ববা দুই ইঞ্চি মুখের বাইরে ধরে
রাখা।কারো চোখ বন্ধ, কারো বা নাক বাকানো।আমরা যেটাকে বলছি সেলফী। সেই সব
সেলফী নামে অফটোগ্রাফীতে আমরা যেন আমাদেরকে উপস্থাপন করছি মানসিক
প্রতিবন্ধীর মত করে আর ক্যাপশন দিচ্ছি উন্মাদের মত। অথচ একবার আয়নার সামনে
দাড়িয়ে দেখুনতো আপনাকে আমাকে কতইনা সৌন্দর্য দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে।সেই
সুন্দর মুখটাকে বাকিয়ে ছবি তুলে আমরা বরং সৃষ্টিকেই অপমান করছি।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমাদের বিকৃত মস্তিষ্কও যে দিন দিন আরো বেশি বিকৃত হয়ে যাচ্ছে এগুলোই তার
প্রমান। আধুনিকতার নামে, সেলফীর নামে আজ যা চলছে তা সত্যিই অরুচিকর।বাবার
লাশ কাঁধে নিয়েও কেউ কেউ যে সেলফী তুলে আপলোড দিচ্ছেনা তাইবা বলি কি করে।সব
ছবিতো আমাদের কোন একজনের পক্ষে দেখাও সম্ভব নয়।আমাদের রুচিবোধের যে
সামান্য অংশটুকু বাকি আছে তা রক্ষা করতে হয়তো ফেসবুকের যে সে গ্রুপে যুক্ত
হতে পারিনা তাই সব ছবিও দেখা হয়না।কিন্তু হরহামেশাই ওসব ভেসে আসে কারো না
কারো মাধ্যমে।সদ্য খোড়া কবরের পাশে দাড়িয়ে সেলফী তুলতে তাই অনেকেই দ্বিধা
করেনা।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
মৃত দাদুর শিয়রের পাশে দাড়িয়ে আমাদেরই কেউ কেউ সেলফী তুলে
ক্যাপশন দেই ‘গুডবাই দাদু’। সেই সব সেলফী নাম ধারী ছবিগুলো দেখলে মনে হয়
পুরো দেশ ও সমাজ প্রতিবন্ধীতে ভরে গেছে।গুগলের কল্যাণে দেখা যাচ্ছে কয়েক
লাখ টাকা খরচ করে হজ্ব পালন করতে গিয়ে কাবা ঘরের মধ্যেও সেলফী তুলে আপলোড
দিচ্ছে আর ক্যাপশন দিচ্ছে ‘ইটস অ্যামাজিন,আই ক্যান নট বিলিভ’।দেখে মনে হয়
হজ্বব্রত পালন মূখ্য উদ্দেশ্য নয়,উদ্দেশ্য হলো সেলফী তুলে সেটা চারদিকে
ছড়িয়ে দিয়ে সবাইকে জানান দেওয়া যে আমি হজ্ব করতে গিয়েছিলাম।মক্কা শরীফের
মধ্যে ইমানদারেরা যায় খোদাভীতি অর্জন করতে আর আমরা কেউ কেউ যাই ধর্মপালনের
অছিলায় ছবি তুলতে। সেই তালিকায় বাদ পড়েনা আমাদের এদেশীয় কতিপয় খ্যাতিমান
নায়ক,গায়কেরাও।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ক্যামেরা নয় বরং ক্যামেরার ধারক ও বাহকই মূলত ছবির
কারিগর হিসেবে কাজ করেন।ক্যামেরার আর কী সাধ্য অমন ছবি তোলার।তাইতো আমরা
দেখতে পাই শাকুর মজিদের ক্যামেরার চোখে ধরা পড়ে মিশরের সৌন্দর্য,নেবেলের
শহর আর লেসওয়ালেসার দেশের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অপার সৌন্দর্য।মঈনুস সুলতানের
ক্যামেরায় ধরা পড়ে ইউরোপ,আফ্রিকা সহ আরো অনেক অনেক দেশ ও জাতির সচিত্র
ইতিহাস।সেই সব ছবি একটার পর একটা সাজিয়ে লেখা হয় অসাধারণ সব ভ্রমন
কাহিনী।কিংবা প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার নাসির আলী মামুনের কথাই ধরা যাক যার
ক্যামেরা খুঁজে নিয়েছে দেশী বিদেশী বিখ্যাত সব মানুষের মুখ। যার ক্যামেরার
বদৌলতে আমরা প্রিয় সব মানুষদের অসাধারণ সব মুহুর্তকে দেখার সৌভাগ্য অর্জন
করেছি।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
সেলফী আক্রান্তের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে।এইতো কদিন আগেও এই
শব্দটা ছিল অপরিচিত আর হুট করে সেটাই হয়ে উঠলো বর্তমান বিশ্বের বিশেষত
বাংলাদেশের সব থেকে আলোচিত একটি শব্দ।তারই ধারাবাহিকতায় সেটি ঢুকে পড়লো
বাংলা একাডেমি প্রকাশিত নতুন বাংলা অভিধানে। <br /> ফটোগ্রাফী কোন দোষের কিছু
নয়।কিন্তু অফটোগ্রাফী অবশ্যই দোষনীয়।ঐতিহ্যবাহী কোন স্থানে ঘুরতে গিয়ে সেই
স্থানের সৌন্দর্য উপভোগের পরিবর্তে যখন সেলফী তোলাই মূখ্য হয়ে ওঠে,ধর্মীয়
আচার পালনে মক্কাশরীফে গিয়ে যখন ধর্মকে টপকে ছবি তুলে ফেসবুকে দেওয়াই মুখ্য
হয়ে ওঠে তখন সেই ফটোগ্রাফীকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করাইকি স্বাভাবিক নয়।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
যারা সেলফী প্রচলন করেছিল তারা কিন্তু আসক্ত হয়ে পড়েনি কিন্তু আমরা আসক্ত
হয়ে পড়েছি।মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুক বানিয়ে ছেড়ে দিলেও তিনি খুব বেশি
ফেসবুকে থাকেন না অথচ আমরা দিনরাত পড়ে থাকি।সর্বপরি ফটোগ্রাফীর নামে যে
অফটোগ্রাফীর যুগ শুরু হয়েছে তা এখনি বন্ধ হওয়া উচিত।সেফলীর নামে যে
প্রতিবন্ধীটাইপ ছবি তুলে উন্মাদটাইপ ক্যাপশন দেওয়ার রীতিতে আমরা আসক্ত হয়ে
উঠেছি তা আমাদের ভবিষ্যতকে বিপথেই ঠেলে দেবে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
হাতের ছুরিটা দিয়ে
যেমন আপেল কাটা যায় তেমনি অন্যের গলায় বসিয়ে দেওয়া যায়।আমাদের উচিত অন্যের
গলায় ছুরি না বসিয়ে সেটা দিয়ে আপেল কাটা।আমাদের উচিত হাতে ক্যামেরা পেয়ে
অফটোগ্রাফীতে না মেতে সত্যিকার ফটো তুলি,যে ছবি হৃদয়ের কথা বলে,যে ছবি
ব্যথীত মানুষের পাশে দাড়ানোর গল্প শোনায়।যেটা দেখলে প্রশান্তি আসে,মনে হয়
নাহ ফটোগ্রাফীটাও একটা আর্ট একটা শিল্প। </div>
<div style="text-align: justify;">
..................................................<br /> #জাজাফী</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-45988455402432444832016-05-31T00:11:00.001-07:002016-05-31T00:11:24.346-07:00পিথাগোরাসের প্রথম উপন্যাস এবং মোড়ক উন্মোচনের খবর<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<br /> স্থানঃ নেপালে রাজধানী নেপচুন<br /> =======================================<br />
বিশ্ব বিখ্যাত ঔপন্যাসিক পিথাগোরাসের প্রথম উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন
অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা কাজী নজরুল
ইসলাম!!বইটির নাম অবশ্য জানা যায় নি। গুগলে সার্চ দেওয়ার পর সে জানালো তুমি
যদি অপারেশান সার্চ লাইট দিয়ে খুঁজতে পারো তবে হয়তো পেলেও পেতে পারো। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমি তার সাথে তর্ক করতে যাবো তখন নিউটনের গাছ থেকে আপেল পড়লো। সেটা খাবো
না তর্ক করবো?মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল নেপালের রাজধানী
নেপচুনে। নেপচুন যে নেপালের রাজধানী এটা জানা ছিল না। পরে সদ্য গ্রহত্ব
হারানো প্লুটোকে ফোন করে জানতে পারলাম নেপালে প্রবল ভুমিকম্পের কারণে
রাজধানী সরে নেপচুনে চলে গিয়েছে আর সেই প্রবল ভুমিকম্পের কারণেই প্লুটোর
গ্রহত্ব বাতিল হয়েছিল। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
তো পিথাগোরাসের কাছে জানতে চাওয়া হল আপনি যে
উপন্যাসটি লিখলেন তা লেখা শুরু করেছিলেন কবে। পিথাগোরাস বললেন আমি শহীদ
বুদ্ধিজীবি দিবস ১৭ই আগষ্ট উপন্যাসটি লেখা শুরু করেছিলাম এবং সেটা ২৬ শে
ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসে শেষ করেছি। কিন্তু পিথাগোরাস তার উপন্যাস
লিখতে গিয়ে পড়লেন বিপদে। হঠাৎ বিদ্যুত চলে গেল তখন তিনি অপারেশান টেবিল
থেকে সার্চ লাইট নিয়ে এসে আবার লেখা শুরু করলেন। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
পিথাগোরাসের
উপন্যাসে উঠে এসেছে কিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করা যায়। তিনি বলেছেন
গুরুজনের নাম ধরে ডাকতে নেই তাই তার রচিত উপন্যাসে বাংলাদেশের মাননীয়
প্রেসিডেন্টের নাম দেওয়া হয়নি। </div>
<div style="text-align: justify;">
তিনি মনে করেন বড় বড় শব্দ মুখস্ত
করে লাভ কি তাই জিপিএ মানে জানা না জানা নিয়ে কারো প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়। তার
মতে পাশাপাশি দুটো এস থাকলে সাথে সি অক্ষরটা বেমানান তাই স্কুল সেকেন্ডারি
শব্দটিই সব থেকে যুক্তিযুক্ত। উপস্থিত ছিলেন নিশাদ মজুমদার।তিনি বললেন
আপনার এই উপন্যাসের ভাষা এভারেস্টের মত উচু মানের। পিথাগোরাস খুশিতে তাকে
কুর্নীশ করে বললেন ধন্যবাদ। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে এভারেষ্ট যেহেতু
ইংল্যান্ডে অবস্থিত!! তাই সেই ঐতিহ্যের কথা স্মরণে রেখে নির্ভূল ভাবে
উপন্যাসটি লিখেছি। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<a class="profileLink" data-hovercard="/ajax/hovercard/page.php?id=49040752503" href="https://www.facebook.com/WasfiaNazreen/">ওয়াসফিয়া নাজরীন - Wasfia Nazreen</a>
তখন পাশ থেকে নিশাত মজুমদারকে খোঁচা দিয়ে বললেন, এতো কষ্ট করে তাহলে আমরা
কোন পর্বত জয় করে এলাম? এভারেষ্টতো ইংল্যান্ডে!!!। ঠিক এই সময় আবদুল
মুহিতের ফোনে ফোন আসলো। তিনি ফোন রিসিভ করতেই ভেসে আসলো <a class="profileLink" data-hovercard="/ajax/hovercard/page.php?id=133116926724434" href="https://www.facebook.com/pages/Musa-Ibrahim/133116926724434">Musa Ibrahim</a>
এর কন্ঠ। তিনি জানালেন সব আমাদের চারজনের খাটাখাটনিই সার। কোন পর্বত না
জানি জয় করে এসেছিলাম। যাই হোক সব ঠিক ঠাক করে রেখেছি। আপনারা তিনজন আসলে
এবার চার জন মিলেই ইংল্যান্ড গিয়ে সত্যিকার এভারেস্ট বিজয় করে আসবো। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
পিথাগোরাস তার উপন্যাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরেছেন। সহজে দেশটা
স্বাধীন করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে নয়টি সেক্টরে ভাগ করা
হয়েছিল বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
সব শেষে তার এই সাফল্যমন্ডিত উপন্যাসের জন্য তাকে পুরস্কৃত করা হলো এবং তাকে সার্টিফিকেট দেওয়া হলো।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
রমিজ কাকা চোখ কম দেখেন তাই সার্টিফিকেটটা চোখের খুব কাছে নিয়ে দেখতে পেলেন সেখানে লেখা আছে জিপিএ ফাইভ!</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ঘটনাটা এর পর একজন ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলেন। সেখানে তিনি ট্যাগ করলেন
রীবন্দ্রনাথ ঠাকুর,কাজী নজরুল ইসলাম,আইনস্টাইন,নিউটন,এডমন্ড হিলারী সবাইকে।
কমেন্টের বন্যা বইয়ে গেল। যাদের ট্যাগ করেছিলেন তারা স্মাইলি ফেস দিয়ে
জানালেন ভাগ্যিস তারা কেউ জিপিএ ফাইভ পায়নি।</div>
<div style="text-align: justify;">
মার্ক জুকারবার্গ সব
জেনে শুনে স্ট্যাটাস দিলেন পৃথিবী বিখ্যাত ঔপন্যাসিক পিথাগোরাসের উপন্যাস
কেউ পড়ুক আর না পড়ুক আমার লেখা ফেসবুক অবশ্যই সবাই পড়ে। এবং শুধু মাত্র
ফেসবুক পড়লেই জিপিএ ফাইভ পাওয়া যায়।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
সেদিন মার্ক জুকারবার্গের ফলোয়ার বেড়ে দাড়ালো একশো কোটি</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-11608286148716525472016-05-16T04:32:00.000-07:002016-05-16T04:32:07.551-07:00রাজপুত্রর জন্মদিনের একাল সেকাল<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<!--[if gte mso 9]><xml>
<w:WordDocument>
<w:View>Normal</w:View>
<w:Zoom>0</w:Zoom>
<w:PunctuationKerning/>
<w:ValidateAgainstSchemas/>
<w:SaveIfXMLInvalid>false</w:SaveIfXMLInvalid>
<w:IgnoreMixedContent>false</w:IgnoreMixedContent>
<w:AlwaysShowPlaceholderText>false</w:AlwaysShowPlaceholderText>
<w:Compatibility>
<w:BreakWrappedTables/>
<w:SnapToGridInCell/>
<w:WrapTextWithPunct/>
<w:UseAsianBreakRules/>
<w:DontGrowAutofit/>
</w:Compatibility>
<w:BrowserLevel>MicrosoftInternetExplorer4</w:BrowserLevel>
</w:WordDocument>
</xml><![endif]--><br />
<!--[if gte mso 9]><xml>
<w:LatentStyles DefLockedState="false" LatentStyleCount="156">
</w:LatentStyles>
</xml><![endif]--><!--[if gte mso 10]>
<style>
/* Style Definitions */
table.MsoNormalTable
{mso-style-name:"Table Normal";
mso-tstyle-rowband-size:0;
mso-tstyle-colband-size:0;
mso-style-noshow:yes;
mso-style-parent:"";
mso-padding-alt:0cm 5.4pt 0cm 5.4pt;
mso-para-margin:0cm;
mso-para-margin-bottom:.0001pt;
mso-pagination:widow-orphan;
font-size:10.0pt;
font-family:"Times New Roman";
mso-bidi-font-family:"Times New Roman";
mso-ansi-language:#0400;
mso-fareast-language:#0400;
mso-bidi-language:#0400;}
</style>
<![endif]-->
<br />
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;"><br /></span><span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;"></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
=====================</div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span class="5u8n">#</span><span class="5u8n"><span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">জাজাফী</span></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
=====================</div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সাত</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">খুন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">মাফ</span><span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN;"> বলে একটা কথা প্রচলিত আছে</span><span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কিন্তু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বাস্তবে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কেউ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কোন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দিন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দেখেছেন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এটা</span>? <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দেখেছি।আমার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সাথে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আরো</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">অনেকে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দেখেছে।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">মানে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">যারা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ক্যাডেট</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কলেজে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পড়ে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">তারা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">অন্তত</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দেখেছে।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আজ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সেরকমই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">একটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">গল্প</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">শোনাতে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এলাম</span><span style="font-family: Mangal; mso-ascii-font-family: Mangal;">।</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br style="mso-special-character: line-break;" />
<br style="mso-special-character: line-break;" />
<span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN; mso-hansi-font-family: "Times New Roman";"></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">রাজপুত্রের</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">মন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">খারাপ।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">মন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">খারাপ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">তার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কারণ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এবারই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বেশ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কিছু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সুযোগ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সুবিধা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বঞ্চিত</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হয়েছে।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">চাইলে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নিয়ে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">প্লাকার্ড</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হাতে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ফেস্টুন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">মাথায়</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বেঁধে</span> <span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN;">পদযাত্রা</span><span lang="BN"> </span><span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করতে</span>
<span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পারে।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কিন্তু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এমন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">একটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সময়</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">চলছে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">যে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">রাজপুত্রর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সেটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সম্ভব</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হচ্ছেনা।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">গত</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বছর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দিনটার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কথা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">তাই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">রাজপুত্রর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">চোখে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ভাসছে।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">একটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বিশেষ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দিন।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দিনেই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ভুবন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আলো</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">তার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">মায়ের</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কোলে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ঠাই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নিয়েছিল।</span> <span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Mangal; mso-bidi-language: BN; mso-hansi-font-family: Mangal;">আজ রাজপুত্রর জন্মদিন। </span><span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">জন্মদিনটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এবার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বোধ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হয়</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">খুব</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সাদামাটাই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হয়ে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">যাচ্ছে</span><span style="font-family: Mangal; mso-ascii-font-family: Mangal;">।</span><span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Mangal; mso-bidi-language: BN; mso-hansi-font-family: Mangal;"> </span><span style="mso-bidi-font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN;"></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br style="mso-special-character: line-break;" />
<br style="mso-special-character: line-break;" />
</div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">অথচ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এইতো</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">গত</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বছর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">জন্মদিনে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কলেজে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কত</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কিছুইনা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হলো।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">তার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">একটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ফিরিস্তি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দেওয়াই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">যেতে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পারে</span><span style="font-family: Mangal; mso-ascii-font-family: Mangal;">।</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br style="mso-special-character: line-break;" />
<br style="mso-special-character: line-break;" />
</div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমাদের</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">রাজপুত্র</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">একসাথেই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পড়ি।মির্জাপুর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ক্যাডেট</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কলেজ।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বিদ্যাই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বল</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কথাটিকে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বুকে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ধরে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এক</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">একটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দিন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করছি।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">রাতে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">লাইটস</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">অফের</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ঘন্টা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বাজার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সবাই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">যখন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">একটু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">একটু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ঘুমের</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দেশে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">তলিয়ে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">যাচ্ছে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দেখলাম</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">রাজপুত্র</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">তখনো</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">জেগে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আছে।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">জিজ্ঞেস</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করতেই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বললো</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নারে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">একটু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পরে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ঘুমাবো।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কারণে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">যেন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমারও</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ঘুম</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আসছিলনা।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমাদের</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">রাজপুত্রর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নাম</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">প্রান্ত।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">প্রন্ত</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নামটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ঘরে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বাইরের</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কিন্তু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বনেদি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নাম</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">শাশ্বত।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ক্যাডেট</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">শাশ্বত।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দেখলাম</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ও</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ডায়েরি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নিয়ে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">যেন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">লিখছে।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ডায়েরি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">লেখার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">মধ্যে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নেই।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ঘুমাতে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">চেষ্টা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করতেই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ঘুম</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নেমে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আসলো</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">চোখে।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কিন্তু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বারটার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কিছু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আগেই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কেন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">জানিনা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ঘুমটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ভেঙ্গে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">গেল।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দেখলাম</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ও</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">তখনো</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">জেগেই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আছে।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">অবাক</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হলাম।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ভোর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হতে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">না</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হতেই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">যেখানে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ব্যস্ততম</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দিন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">শুরু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হবে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সেখানে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">না</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ঘুমিয়ে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">জেগে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">থাকার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সুযোগ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কোথায়।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">যে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">জেগেছি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">তা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ওকে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বুঝতে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দেইনি</span><span style="font-family: Mangal; mso-ascii-font-family: Mangal;">।</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br style="mso-special-character: line-break;" />
<br style="mso-special-character: line-break;" />
</div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ঠিক</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বারটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বাজার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এক</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">মিনিট</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আগে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ডায়েরিটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বন্ধ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ও</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">উঠে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দাড়ালো।কাবার্ড</span>(<span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আলমারী</span>) <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">থেকে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">খুজে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পেতে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">একটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ছোট্ট</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আয়না</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বের</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করলো।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আয়নাটা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নিজের</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সামনে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ধরে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">রেখে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">শোনা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">যায়না</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এমন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আস্তে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বললো</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হ্যাপি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বার্থডে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">টু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">মি</span>!! <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ভীষণ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">চমকে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">উঠলাম।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আরে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">তাইতো</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আজতো</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">শাশ্বতর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">জন্মদিন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">শালা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ভুলেই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">গেছি।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">অন্যরাও</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ভুলে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বসে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আছে</span>! <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বিছানা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ছেড়ে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">উঠলাম।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ও</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হকচকিয়ে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">গেল।আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ওকে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">জড়িয়ে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ধরে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বললাম</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হ্যাপি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বার্থডে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">শাশ্বত।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আবেগাপ্লুত</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হয়ে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পড়লো।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সম্ভবত</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">একটু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">শব্দ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করেই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বলে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ফেলেছিলাম।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আরো</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">একজন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দুজন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">জেগে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">উঠলো।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">তবে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">তারা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কিছু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বুঝতে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পারেনি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ঘটছে</span><span style="font-family: Mangal; mso-ascii-font-family: Mangal;">।</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br style="mso-special-character: line-break;" />
<br style="mso-special-character: line-break;" />
</div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সকালে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ড্রেস</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ইন্সপেকশানের</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ফল</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ইন।আমরা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সবাই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সারিবদ্ধ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ভাবে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">দাড়িয়ে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আছি।আগের</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">রাতেই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ঘুমানোর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আগে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সব</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ঠিকঠাক</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">রেখেছি।জুতা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">মেটাল</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পলিশ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">রেখেছি।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হঠাৎ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">শাশ্বতকে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হাক</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ছাড়লেন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">স্টাফ।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">এই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আপনার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">জুতা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পলিশ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নেই</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কেন</span>?<span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">শেভ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করেন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নাই</span>,<span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">মেটাল</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পলিশ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নাই</span>,<span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ভেস্ট</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পরেন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নাই।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ফ্রন্টরোল</span>,<span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">শুরু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করেন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ফ্রন্ট</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">রোল।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ওদেখি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বিপদে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পড়ে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">গেছে।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হঠাৎ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">মনে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পড়লো</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আরে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আজতো</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ওর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বার্থ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ডে</span><span style="font-family: Mangal; mso-ascii-font-family: Mangal;">।</span><span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Mangal; mso-bidi-language: BN; mso-hansi-font-family: Mangal;"> আমি হাত উচিয়ে বললাম স্টাফ,বাদ দেন আজকে। আজকে ছেলেটার বার্থ ডে! স্টাফের
মনটা মোমের মত গলে গেল। আরেকটু হলে পানি হয়ে গড়িয়ে যেত। তিনি বললেন আচ্ছা যান
আজকের মত মাফ করলাম। তবে কাল থেকে কিন্তু এ গুলো চলবেনা বলে দিলাম।</span><span style="mso-bidi-font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN;"></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br style="mso-special-character: line-break;" />
<br style="mso-special-character: line-break;" />
</div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সময়</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">মত</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পিটিতে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">অংশ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নিলাম।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কিন্তু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">শাশ্বত</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সেদিন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কিভাবে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কিভাবে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">যেন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পিটিতে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">লেট</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করলো।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সারা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বছর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ও</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কিন্তু</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পিটিতে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">লেট</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করেনা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কখনো।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">স্টাফ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">পিটিতে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">লেট</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আসার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">জন্য</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ওর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নাম</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নোট</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করতে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">গেল।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আমি</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বললাম</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">না</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">না</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">স্টাফ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ওর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নাম</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আজকে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নোট</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করেন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">না।</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আজ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ওর</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বার্থ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ডে</span>! <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">স্টাফ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বললেন</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ঠিক</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আছে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">যান</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বার্থ</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">ডে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বলে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নাম</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">নোট</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">করলাম</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">না।</span> <span style="mso-bidi-font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN;"></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN; mso-hansi-font-family: "Times New Roman";">ক্লাস রুমে
বসে আছি।শাশ্বত আমার পাশের রোতে বসা।ফিজিক্স স্যার ক্লাস নিচ্ছেন।শাশ্বত বললো
স্যার টয়লেটে যাব। ফিজিক্স স্যার আবার ইংরেজী ছাড়া কথাই বলেন না।তিনি বললেন নো
ভিজিটিং টয়লেট ইন মাই ক্লাস! ইংরেজী শুদ্ধ অশুদ্ধ নিয়ে তিনি কখনো মাথা ঘামান না।এখানেও
আমার বাম হাত ঢুকাতে হলো।বললাম স্যার যেতে দিন। আজকে ওর বার্থ ডে। স্যারের মুখটা
থমথমে ছিল কিভাবে কিভাবে যেন সেটা হাওয়াই মিঠাইয়ের মত নরম হয়ে গেল। তিনি বললেন
যাও। মনে করো আমার পক্ষ থেকে এটা তোমার জন্য বার্থডে ট্রিট।মনে মনে হাসবো না কাদবো
বুঝলাম না।টয়লেটে যেতে দেওয়াও যদি বার্থ ডে ট্রিট হয় তাহলে আর বাকি থাকলো কি!</span><span style="mso-bidi-font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN;"></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN; mso-hansi-font-family: "Times New Roman";">গেমস
টাইমটা অসাধারণ কাটে আমার। অন্যদেরটা জানিনা।সকাল থেকে শাশ্বতর বার্থডে উপলক্ষে
আমার বার বার বামহাত ঢুকাতে হচ্ছে।আমি মনে মনে প্রস্তুত হলাম গেমস টাইমেও নিশ্চই
কিছু না কিছু ঘটবে। এবার মড়ার উপর খাড়ার ঘা। গেমসের সময় অ্যাডজুটেন্ট হাক ছাড়লেন
শাশ্বতকে দেখে। ইউ ব্লাডি<span style="mso-spacerun: yes;"> </span>ইডিয়ট। হোয়াট ইজ
দ্যা কন্ডিশান অফ ইওর পিটি স্যু? গো গেট আ শেল। আমি ভাবছিলাম আর একটুর জন্য ওকে না
দুটো ইডি দিয়ে দেয়। অ্যাডজুটেন্টের সামনে কথা বলার মত সাহস কজনের আছে?কি জানি কি
হলো হাত উচু করলাম। বললাম স্যার আজকে ওর বার্থ ডে.. ভেবেছিলাম এবার নির্ঘাত আমাকেই
এক্সট্রা ড্রিল দিবে। স্যার বললেন সো.....? গো ব্লাডি হারিআপ। </span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN; mso-hansi-font-family: "Times New Roman";">এবার আর বাম হাত
ঢুকিয়েও শাশ্বতকে বাচাতে পারলাম না। পানিশমেন্ট খাওয়ার পর অ্যাডজুটেন্টের মুখের
দিকে তাকানোর সাহস ওর ছিলনা। কিন্তু আমি খেয়াল করে দেখলাম অ্যাডজুটেন্টের মূখে
হাসি ফুটে উঠেছে। তিনি বললোন ইউ বার্থডে বয় কাম হেয়ার এবং গো টু ক্যাফেটেরিয়া এন্ড
এনজয় হোয়াট ইউ ওয়ান্ট।ট্রিট ইজ অন মি। অ্যাডজুটেন্টের কথা শুনে তিন কোটি ওয়াটের
বাল্বের মত শাশ্বতর মুখটা উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। যদিও তিনকোটি ওয়াটের বাল্ব টমাস আলভা
এডিসন কেন তার চৌদ্দপুরুষও কল্পনাও করতে পারবেনা।</span><span style="mso-bidi-font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN;"></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">আহা</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কলেজে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">বার্থডে</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">হওয়ার</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">কত</span> <span style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Vrinda;">সুবিধা</span><span style="font-family: Mangal; mso-ascii-font-family: Mangal;">।</span><span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Mangal; mso-bidi-language: BN; mso-hansi-font-family: Mangal;"> সাত খুন মাফ বলে যে কথা আছে এটা তার থেকে কম কিসে? </span><span style="font-family: Mangal; mso-ascii-font-family: Mangal; mso-bidi-font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN;"></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-ascii-font-family: Mangal; mso-bidi-language: BN; mso-hansi-font-family: Mangal;">রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে শাশ্বত বিড়বিড় করে বললো জীবনের সেরা জন্মদিন ছিল
এটা।কিন্তু সকাল থেকে রাত অবধী আমি যে তার জন্য এতো কিছু করলাম সে একটুও সেটার
জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো না।আমরা শুধু মনে মনে ভাবি ইস কেন যে কলেজে বার্থডেটা
পড়েনা।</span><span style="mso-bidi-font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN;"></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN; mso-hansi-font-family: "Times New Roman";">সেই
রাজপুত্রটার আজকে জন্মদিন। সে এখন কলেজে নেই তাই জানিনা তার গত বছরের জন্মদিনের
কথা মনে আছে কিনা।শুনেছি আজ সন্ধ্যায় ওয়েস্টিনে এক জমকালো জন্মদিনের পার্টি হচ্ছে
রাজপুত্রর।আমাকে জানায়নি সে। জানানোর প্রয়োজনও নেই বোধ করি।কারণ আজকের পার্টিতেতো
কেউ মেটাল পলিশ নিয়ে কথা তুলবেনা কেউ টয়লেটে যেতে নিষেধ করবেনা,কোন স্টাফ ফল ইনে
দেরি করার ওযুহাতে নাম লিখে নেবেনা।তাই সেখানে আমার থাকা আর না থাকা সমান।</span><span style="mso-bidi-font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN;"></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN; mso-hansi-font-family: "Times New Roman";">আমাকে দাওয়াত
দেয়নি বলে আমার মনখারাপ তা কিন্তু নয়।আমি আমার মত আছি। সে যদি যেতে বলে আমি যে কোন
সময় যেতে প্রস্তুতি আছি। সন্ধ্যার কিছুক্ষন পর আমার ফোনটা বেজে উঠলো।স্ক্রিনে ওর
নামটাই দেখতে পেলাম।রিসিভ করে শুভজন্মদিন বলতেই আহ্লাদে গদগদ হয়ে ও বললো শোন তেমন
কিছু করা হচ্ছেনা ছোটখাট একটা পার্টি দিচ্ছি।আমি গাড়ি পাঠাচ্ছি তুই চলে আয়।মনে মনে
এতো বেশি খুশি হলাম যে ওর বিগত দিনের সব ভুল এবং আগামীতেও যত ভুল করবে তা অগ্রিম
মাফ করে দিলাম।আহ দোস্তর জন্মদিন বলে কথা।আমি আম্মুর কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে
একটা ভাল ব্রান্ডের পারফিউম কিনলাম।</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN; mso-hansi-font-family: "Times New Roman";">অপেক্ষায় আছি ওর গাড়ির জন্য।বাইরে থেকে উচু
গলায় কেউ একজন ডাকলো নাম ধরে।গলার স্বর শুনেই বুঝতে পারলাম এটা সাদমান ছাড়া কেউ
নয়।শাশ্বত তাহলে সাদমানকে দিয়ে গাড়ি পাঠিয়েছে আমাকে নিয়ে যেতে! নিজেকে ভিআইপি
ভাবতে ইচ্ছে হলো। গায়ে তিন পদের সেন্ট মেখে ওর জন্য কেনা গিফটা নিয়ে বাইরে বেরিয়ে
এসে দেখি সাদমানই দাড়িয়ে আছে।কাছে যেতেই বললো বাড্ডি দারুন পার্টি হবে আজকে।আসে
পাশে তাকিয়ে কোথাও কোন গাড়ি পেলাম না।সাদমানের সাথে একটা ফনিক্স সাইকেল। সেই
সাইকেলের ক্যারিয়ারে বসে চলেছি শাশ্বতর জন্মদিনের পার্টিতে। যে পার্টিটা সে আয়োজন
করেছে ওয়েস্টিনে।কিন্তু ভেবে পাচ্ছিনা উত্তরা থেকে এই লক্কড়ঝক্কড় সাইকেলে করে
কতক্ষণে ওয়েস্টিনের পার্টিতে যেতে পারবো।</span><span style="mso-bidi-font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN;"></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN; mso-hansi-font-family: "Times New Roman";">আমাকে অবাক
করে দিয়ে একটা বাসার সামনে থামলো সাদমানের সাইকেল।দেখি গেটে দাড়িয়ে আছে তুর্য।আমি
বুঝে উঠতেই পারিনি সাদমান কেন আমাকে এখানে নিয়ে আসলো আর তুর্যইবা এখনো এখানে
দাড়িয়ে আছে কেন। পরে ভাবলাম মনে হয় এখান থেকে সবাই মিলে কোন পাজেরো মার্সিডিজ বা
অন্য যে কোন গাড়িতে করে আমরা পার্টিতে যাব।তুর্য আমার কাধে হাত রেখে বললো দোস্ত
আজকে সেই মজা হবে।আমি মনে মনে খুশিই হলাম।রুমে ঢুকতেই দেখি শাশ্বতর আম্মু।আন্টিকে
আমি আগে থেকেই চিনি।তার মানে এটা শাশ্বতদের বাসা!তাহলে যে সবাই বললো ওয়েস্টিনে
পার্টি হবে।</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN; mso-hansi-font-family: "Times New Roman";">আমি কিছু বললাম না। রাত সাড়ে দশটার দিকে আমরা বাসার ছাড়ে উঠলাম।মনে পড়ে
ফজলুল হক হাউজের ছাদে উঠে আমরা কত কি করতাম। ছাদে বিশাল একটা পাটি পেতে দেওয়া আছে
সেখানেই বসে আছে শাশ্বত।যার জন্মদিন সে।ওকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ওর জন্য আনা গিফটটা
ওকে দিলাম। খুশি হয়ে ধন্যবাদ দিল।একটু পরেই আন্টি একটা কেক নিয়ে উপরে আসলেন।আমরা
কেক কাটলাম জন্মদিনের।এর পর একটা টিনের জারে মুড়ি আর চানাচুর দিয়ে গেলেন।সেই টিনের
জারটা ছিল খুবই পুরোনো এবং জং ধরা।</span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<span lang="BN" style="font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN; mso-hansi-font-family: "Times New Roman";">আমি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম বাহ শাশ্বত এই তাহলে
তোর ওয়েস্ট টিনের পার্টি!!!!!!!তুর্য সাদমান সহ বাকিরা হেসে উঠলো। আকাশে তখন
জোছনারা খেলা করছে। আমার কেন যেন মনে হলো আমরা শাশ্বতদের বাসার ছাদে নই আমরা ফজলুল
হক হাউজের ছাদে ক্যাডেটদের প্রিয় থেকে প্রিয়তর মুড়ি চানাচুর পার্টি করছি।কলেজে
কারো জন্মদিন মানেই যেটা ছিল অবধারিত।পার্টি শেষে সেদিনও শাশ্বত বললো জীবনের সেরা
পার্টি ছিল এটা।আমি জানি বাকি জীবনে যতবার ওর জন্মদিন আসবে সে সেই জন্মদিনটাকেই
আগের জন্মদিনের চেয়ে সেরা বলবে। বলুকনা বলতে তো দোষ নেই। কদিন পর ক্লাস ইলেভেনে
কলেজে গিয়ে এবারের জন্মদিন নিয়ে গল্পের ঝুলি খুলে বসবে তুর্য আর সাদমান।আমি তখন
ভাব করবো যে আমি কিছু জানিইনা।আর চমকে উঠে বলবো ওর জন্মদিন ছিল?ওহহোরে দেখ আমি
কত্ত বড় ইডিয়েট যে ওকে শুভেচ্ছা জানাতেই ভুলে গেছি। এই শাশ্বত এই প্রান্ত এই
রাজপুত্র শুভজন্মদিন!</span><span style="mso-bidi-font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN;"></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br style="mso-special-character: line-break;" />
<br style="mso-special-character: line-break;" />
<span style="mso-bidi-font-family: Vrinda; mso-bidi-language: BN;"></span></div>
<div class="MsoNormal" style="text-align: justify;">
<br /></div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-4108423585344533722016-05-15T10:36:00.000-07:002016-05-15T10:36:26.335-07:00কবি সাহিত্যিকদের কবিতায় এ প্লাস যেভাবে উঠে এসেছে।<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br /> .....................................................<a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://web.facebook.com/hashtag/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%80?source=feed_text&story_id=1698770920381595"><span class="_58cl">#</span><span class="_58cm">জাজাফী</span></a><br /> =================================<br />
মে মাসের এগার তারিখ দুপুর বেলা অক্ত<span class="text_exposed_show"><br /> ভীড় করেছে স্কুলে আজ এ প্লাসের ভক্ত।<br /> .............................(আল মাহমুদ)।</span><br />
<br />
<div class="text_exposed_show">
বন্ধু বান্ধব আজকে আমি দিলাম তোদের ছুটি<br /> এই দেখে যা প্লাস আজ আমার হাতের মুঠি।<br /> ..............................(সুকান্ত ভট্রাচার্য)।<br />
<br />
আমাদের যুগে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলা<br /> তোমরা এখন সেই বয়সেই এ প্লাস পাও মেলা।<br /> ....................................(সুফিয়া কামাল)।<br />
<br />
প্রহর শেষে কষ্টে ভরা সেদিন যে মে মাস<br /> রেজাল্ট হলে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।<br /> ...............................(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।<br />
<br />
এ প্লাস কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু জেনো ভাই<br /> ইহার চেয়ে নাম যে মধুর এসএসসিতে নাই।<br /> .................................(কাজী কাদের নেওয়াজ)।<br />
<br />
তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিবোনা<br /> এ প্লাস চেয়ে সারাদিনমান কারো ধ্যান ভাঙ্গিবনা।<br /> নিশ্চল নিশ্চুপ!<br /> আপনার মত পুড়িব একাকী গন্ধু বিধুর ধুপ।<br /> ...............................(কাজী নজরুল ইসলাম)।<br />
<br />
<br />
আমাদের এ প্লাসটা সোনার সমান<br /> রেজাল্ট খাতায় সেটা পেলে বাচে সম্মান।<br /> ..................................(বন্দে আলী মিয়া)।<br />
<br />
<br />
এ প্লাসের কত দেরী পাঞ্জেরী?<br /> এখনো তোমার রেজাল্টের নাকি দেরি<br /> এখনোকি তুমি এ প্লাস করছো ফেরী?।<br /> ..........................(ফররুখ আহমেদ)।<br />
<br />
এ প্লাস পাই আর নাই পাই<br /> আজ রেজাল্ট।<br /> ...........(সুভাষ মুখোপাধ্যয়)।<br />
<br />
মাগো ওরা বলে তোমার ছেলেকে ওরা এ প্লাস পেতে দেবেনা<br /> বলো মা তাই কি হয়?<br /> ................................(আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ)।<br />
<br />
যে সবে নকল করিয়া এ প্লাস পায়নি জানি<br /> সে সবে কেমন প্রশ্ন পেলো নির্ণয় ন জানি।<br /> ..................................(আব্দুল হাকিম)।<br />
<br />
এ প্লাস তুমি শিক্ষামন্ত্রীর দয়ার উপর ফুল ঝুলানো<br /> এ প্লাস তুমি ছাত্র ছাত্রীর হাত উচু করা ভি চিহ্ন।<br /> ........................................(শামছুর রাহমান)।<br />
<br />
হে শিক্ষা বোর্ড ভান্ডারে তব বিবিধ রেজাল্ট<br /> তা সবে অবোধ আমি অবহেলা করি<br /> এ প্লাস লোভে মত্ত করিনু প্রশ্ন চুরি।<br /> ................................(মাইকেল মধুসুদন দত্ত)।<br />
<br />
এ প্লাস নেবে এ প্লাস<br /> হরেক রকম এ প্লাস আছে, এ প্লাস নেবে এ প্লাস।<br /> ..............................(হেলাল হাফিজ)।<br />
<br />
কেউ এ প্লাস পায়নি,এসএসসি পরীক্ষা দিল কেউ এ প্লাস পায়নি<br /> স্কুলের এক ম্যাডাম বলেছিল,প্রশ্ন পত্র নাও তাহলে এ প্লাস পাবে<br /> ম্যাডাম আর কত প্রশ্ন পত্র নেব আমি,তবেই আমাকে এ প্লাস দেওয়া হবে।<br /> .............................................(সুনীল গঙ্গোপাধ্যয়)<br />
<br />
প্রিয় ভাই ও বোনেরা<br />
আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আপনারা সবাই
জানেন এবং বুঝেন। আজ এসএসসি পরীক্ষার্থীরা এ প্লাস চায়। পরীক্ষা যখন দিয়েছি
পরীক্ষা আরো দেব। তবুও এ প্লাস পেয়েই ছাড়বো ইনশা আল্লাহ।</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-73981232096788566962016-05-15T10:32:00.000-07:002016-05-15T10:32:00.543-07:00ঘাস ফড়িং এর জীবন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://web.facebook.com/hashtag/%E0%A6%98%E0%A6%BE%E0%A6%B8_%E0%A6%AB%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%82_%E0%A6%8F%E0%A6%B0_%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8?source=feed_text&story_id=1699359390322748"><span class="_58cm"></span></a><br /> ===================================<br /> ----------<a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://web.facebook.com/hashtag/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%80?source=feed_text&story_id=1699359390322748"><span class="_58cl">#</span><span class="_58cm">জাজাফী</span></a><br /> ===================================</div>
<div style="text-align: justify;">
আয়নার দিকে তাকাতে ভয় পাই। আমার মতই আয়না দেখতে ভয় পায় এদেশের ২৬ লাখ ৩১
হাজার যুবক। অবশ্য যুবক না বলে মধ্য বয়সীও বলা যেতে পারে। কারণ ৩০ পেরিয়ে
গেলেই নাকি কেউ আর যুবক থাকেনা।আয়নার দিকে তাকালেই যে প্রতিচ্ছবিটি ভেসে
ওঠে সেটা এক বেকার যুবকের প্রতিচ্ছবি। অবশ্য আয়নার দিকে তাকানোর প্রয়োজনও
পড়েনা তাদের।কারণ চালচুলোহীন জীবনে আয়নায় মলিন মুখ দেখার মত বিলাসীতা ওই
সব যুবক বা মধ্যবয়সীদের ভাগ্যেই লেখা নেই। আতিউতি করেও হয়তো তাই ঘরে একটা
আয়না পাওয়া যাবেনা। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ভাঙ্গা আয়নায় মুখ দেখলে নাকি অমঙ্গল হয়। কিন্তু
ওই সব মানুষেরতো কোন আয়নাই নেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যন ব্যুরো (বিবিএস)
সম্প্রতি বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপের কাজ শেষ করেছে।সেই জরিপে দেখা গেছে
দেশে বর্তমানে বেকার সংখ্যা ২৬ লাখ ৩১ হাজার। যারা সপ্তাহে এক ঘন্টাও কাজ
করার সুযোগ পায় না। এদের মধ্যে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা
সম্পন্ন বেকারের সংখ্যা যথাক্রমে ৭ লাখ ৭৬ হাজার এবং ২ লাখ ৯২ হাজার।
উচ্চমাধ্যমিক পাশ করাদের মধ্যে ৭ লাখ ১৬ হাজার বেকার। আর স্নাতক বা
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে বেকার হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৯৪ হাজার মানুষ। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ন্যুনতম জ্ঞান সম্পন্ন যে কেউ জানে এই জরিপ মোটেও ঠিক সেরকম না। অন্তত যারা
চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছেন তারা নিশ্চই জানেন। একটা পদের বিপরীতে কয়েক লাখ
আবেদন জমা পড়ছে যারা সবাই স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। তবে সরকার পক্ষের এ নিয়ে
চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ জরিপে যদিও বলা হয়েছে মোট ২৬ লাখ ৩১ হাজার
বেকার আছে কিন্তু আদতে বাংলাদেশে একজনও বেকার নেই।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এটা কোন দিবা
স্বপ্ন নয় বরং এটাই সত্যি।বিশ্ব আজ অবাক চোখে তাকিয়ে দেখুক বাংলাদেশ শিশু
মৃত্যুর হার কমিয়েছে, জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির হার সন্তোষজনক অবস্থানে নিয়ে
গেছে,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে,পদ্মা সেতু করতে শুরু করেছে,বাল্য বিবাহ
কমিয়েছে,জনসংখ্যা আনুপাতিক হারে কমিয়েছে এবং সর্বশেষ দেশ বেকার মুক্ত
হয়েছে। এই যে বাংলাদেশে এতো এতো বেকার আছে বলে যেটা বলা হয়েছে তা নিয়ে মাথা
ঘামাতে নিষেধ করেছে আর্ন্তজাতিক শ্রম সংগঠন আইএলও এর বেকারত্বের সংজ্ঞা। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আইএলও বেকারদের সংজ্ঞা দিয়েছেন বেশ ভাল ভাবে এবং সেই সংজ্ঞা পড়ে দেশের
সরকার এবং রাষ্ট্রযন্ত্র নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন এবং বাকিদের চোখের জল,
বুকের হাতাশাকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারেন অনায়াসেই। আইএলওর সংজ্ঞা অনুযায়ি
সপ্তাহে কেউ যদি অন্তত এক ঘন্টা গৃহস্থালির কাজও করেন তবে তাকে আর বেকারের
তালিকায় রাখা যায়না। </div>
<div style="text-align: justify;">
সপ্তাহে এক ঘন্টা মানে দিনে আট মিনিট করে
পরিশ্রম করার কথা বলা হয়েছে। এই আট মিনিট গৃহস্থালির কাজ করেনা এমন লোক এ
দেশে একজনও নেই। সুতরাং আমাদের দেশে কোনই বেকার নেই। যেহেতু আমাদের দেশে
কোন বেকার নেই সেহেতু কোম্পানী গুলো এখন থেকে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে
শ্রম শক্তি আমদানী করতে পারে।দেশের সুনাম আরো বাড়বে। বর্হিবিশ্ব জানবে
বাংলাদেশ এতোটাই উন্নত হয়ে গেছে যে বিদেশ থেকে শ্রমিক কর্মচারি আমদানি
করছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য আমরা কতরকম পদক্ষেপ নিয়েছি
কিন্তু কাজের কাজ তেমন কিছুই হয়নি। অথচ মুখের একটি কথাই রাতারাতি
জনসংখ্যাকে স্থির করে দিয়েছে। এখন বেকারত্বের বোঝা মাথায় নিয়ে বেঁচে থাকা
ওই ২৬ লাখ ৩১ হাজার যুবক নাম ধারী মধ্যবয়সীদের দুই কুলই হারিয়েছে। সকালের
সুর্য ওঠার আগেই তাদের বিয়ে ভেঙ্গে গেছে,বান্ধবী ছেড়ে চলে গেছে। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
সংজ্ঞা অনুযায়ি ৩০ পেরিয়ে গেলে কেউ আর যুবক থাকেনা। যেহেতু যুবক থাকেনা তাই
কোন বাবা মাই চায়না তাদের মেয়েকে কোন মাঝ বয়সীদের সাথে বিয়ে দিতে। অন্য
দিকে যদি যুবক কারো সাথে বিয়ে দিতে হয় তবে সে অবধারিত ভাবেই বেকার। কোন
বাবা মা এটাও চায়না যে তাদের মেয়ের কোন বেকারের সাথে বিয়ে হোক। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
বিচুর্ণ আয়নায় মুখ দেখলে অমঙ্গল হয় এই ভাবনাটুকু ভাবার আগে আপনা আপনিই
স্বপ্ন ভংগ হয়। আর যেহেতু বিয়ে হচ্ছেনা, যেহেতু মধ্য বয়সী হয়ে গেছে তাই
সংসার সন্তান কোনটাই আর হবেনা। একই সাথে জনসংখ্যা নিয়মন্ত্রন হবে, বেঁচে
যাবে বরাদ্দ কৃত জন্মনিয়ন্ত্রনের সামগ্রি।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
একজন বেকার অতঃপর মধ্য
বয়সীর বিয়ের মত বিলাসীতাও সাঝেনা। এ ছাড়াও শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই এমন বেকারও
আছে ৪ লাখ ১৩ হাজারের অধিক। কিন্তু এটা নিয়ে ভাবার সময় কোথায়? আইএলও
যেখানে বলে দিয়েছে দিনে আট মিনিট কাজ করলেই তাকে আর বেকার বলা চলেনা সেখানে
আমরাতো প্রতিনিয়তই ঘন্টা ধরে বেঁচে থাকার জন্য লড়ছি। </div>
<div style="text-align: justify;">
কোন এক
দায়িত্বশীল ব্যক্তি একদিন বলেছিলেন, এ দেশে কোন বেকার নেই। কারণ চাকরি
খোঁজাও একটা কাজ। সেই দিক বিবেচনা করলে তার কথাটা অকপটে স্বীকার করতেই হয়।
“কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে? কভু আসিবিষে দংশেনি যারে” বেকারত্বের
যন্ত্রনা যে কী ভয়াবহ তা কেবল বেকারেরাই জানে। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এদেশের শিক্ষা
ব্যবস্থার দরুন অধিকাংশই পাশ করে বের হতে হতে বয়স পেরিয়ে যায়। সরকার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো হবেনা। যে বাবার কাঁধে বসে
বেকার হয়ে খাচ্ছি, সে বাবার অবসরে যাওয়ার বয়স বাড়ানো হচ্ছে কিন্তু যে
ছেলেটি বেকার হয়ে বাবার কাঁধে বসে খাচ্ছে তার চাকরিতে প্রবেশের বয়স
বাড়ছেনা। ফলে ভবিষ্যত আরো অনিশ্চিত হচ্ছে। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ছেলেটির কর্ম সংস্থান
হলে শেষ বয়সে বাবা মা তার উপর নির্ভর করতে পারতো সেখানে হচ্ছে উল্টো।
প্রবীন বাবার উপর বোঝার মত চেপে বসছি আমরা। যে বয়সে কাজ করে খাবার কথা আমরা
সেই বয়সে বাবার কাঁধে আলাদীনের দৈত্যের মত চেপে বসেছি। আর যে বয়সে বাবার
একটু খানি আরাম করার কথা সেই বয়সে বাবাকে চাকরি করতে হচ্ছে। </div>
<div style="text-align: justify;">
চাকরি
দাতা কোম্পানী গুলো লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন সব অজুহাত দাড় করাচ্ছে যে
অধিকাংশই খেই হারিয়ে ফেলছি।একটা চাকরির বিজ্ঞাপনে যত গুলো শর্ত থাকে তার
একটা বাদে সব গুলোতে যোগ্য হওয়ার পরও সিংহভাগ মানুষ সেই চাকরিতে আবেদনই
করতে পারছেনা। সেই একটি শর্ত হলো সাবজেক্টের খড়গ। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
যে যে বিষয়েই
পড়ুকনা কেন তাকে অন্তত প্রতিযোগিতার বিশ্বে একটু খানি প্রতিযোগিতার সুযোগ
দেওয়া উচিত।সেই প্রতিযোগিতায় যদি সে টিকে যায় তবে তাকে যোগ্য বলে মেনে নিতে
সমস্যা কোথায় এ সমাজ ব্যবস্থার। প্রতিনিয়ত আমরাই নানা ক্ষেত্রে বৈষম্য
তৈরি করছি আবার আমরাই বলছি আমরা অসাম্প্রদায়িক, আমরা সমান অধিকারে
বিশ্বাসী। এভাবে চলতে থাকলে নিশ্চিত একদিন এ শহর, এ আকাশ বেকারদের
দীর্ঘশ্বাসে ভারি হয়ে উঠবে। সে ভার কি সইতে পারবে এ আকাশ এ জাতি।<br /> .........................................................................................................................</div>
<div style="text-align: justify;">
১২ মে ২০১৬</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-60297523514180911992016-05-15T10:22:00.002-07:002016-05-15T10:22:43.566-07:00বাউন্ডারির ঘেরাটোপে আটকে রাখা জীবন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
একাডেমীক ব্লকের নিচেয় দাড়িয়ে আছি। আমার সামনে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে
আছে মাহমুদ। মাহমুদ আমার সহপাঠী। ও এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেন জীবনে প্রথম
আমাকে দেখছে। আমি আলতো করে ধাক্কা দিয়ে বললাম এই কী দেখিস অমন করে? সে
সম্বিত ফিরে পেয়ে বললো দাড়া দেখতে দে আরেকটু। আমার বিস্ময় যেন কাটছেনা তোকে
দেখে। আমি আর ওকে ঘাটতে যাইনি।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
গত কাল এইচএসসির রেজাল্ট দিয়েছে।
সারা দেশ থেকে অনেকেই ভাল রেজাল্ট করেছে।আমার সামনে দাড়ানো মাহমুদও বেশ ভাল
রেজাল্ট করেছে। ইংরেজী অক্ষরের সংখ্যাকে পুজি করে সারা দেশে সব শিক্ষা<span class="text_exposed_show">বোর্ড
থেকে এবার এইসএসসিতে মাত্র ২৬ জন এ প্লাস পেয়েছে। সেই সারিতে কিভাবে
কিভাবে যেন আমার নামটাও আছে। মাহমুদ সে কারণেই আমার দিকে ওভাবে তাকিয়ে ছিল।</span></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
গ্রীন হাউজ থেকে হেটে হেটে আমাদের সামনে এসে দাড়ালো আরমান।আরমানও যেন
আমাকে আজই নতুন দেখছে। আমি আর ওখানে দাড়িয়ে থাকতে চাইলাম না। বাউন্ডারির
ঘেরাটোপে আটকে রাখার কেউ আর রইলো না।ওদের সাথে নিয়ে বেরিয়ে এলাম বাউন্ডারি
ঘেরা খাকি চত্ত্বর থেকে। হাটছি আর আমাদের মাথার উপরে আদিগন্ত খোলা আকাশ।</div>
<div style="text-align: justify;">
একদিন এই চত্ত্বরেই বাবা মা এক কিশোরকে রেখে গিয়েছিল।তাদের চোখে অবিরাম
স্বপ্ন ছিল কিন্তু তারা জানতোই না তাদের দেখা স্বপ্ন সেই কিশোর কতটা পুরণ
করতে পারবে।বাবার সাথে কোন এক বিকেলে বাড়ির পথে যখন সেই কিশোর তখন বাবার
চোখ দিয়ে যেন আগুন ঝরছে। কত অভিযোগ যে জমা পড়েছে তার কোন হিসেব যেন নেই।
সেই কিশোর আস্তে আস্তে বড় হয়ে গেছে। যার দিকে কেউ ফিরেই তাকাতো না সেই
মানুষটির মুখের দিকে দুজন ক্যাডেট কিংবা আরো অনেক ক্যাডেট এবং নন ক্যাডেট
তাকিয়ে আছে বিস্ময় নিয়ে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
সারা দেশ থেকে মাত্র ছাব্বিশ জন এ প্লাস
ধারীদের মধ্যে সেই কিশোর থেকে তরুন হয়ে ওঠা মানুষটিও আছে ভাবতেই তার
বন্ধুদের বুকটা গর্বে ভরে ওঠে।.............তার পর বাকিটা ইতিহাস হয়ে গেল।
চির উন্নত মম শির মটোকে বুকে ধরতে না পারলেও বিদ্যাই বল মূল মন্ত্রকে ঠিকই
মনের মধ্যে গেথে নিয়ে সে পড়তে শুরু করলো। তার পড়ার যেন আর শেষ নেই। সে যেন
জন্মেছে কেবল অবিরাম পড়ার জন্য। কবে শেষ হবে তার পড়া? কি পড়ে সে এতো। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
একদিন যারা মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকিয়ে ছিল তারা সব রথি মহারথি হয়ে নামি দামি
গাড়িতে ঘুরে বেড়ায় আর সেই বিস্ময় ছড়ানো মানুষটি তার ঘেরাটোপে বসে বইয়ের
রাজ্যে ছুটে বেড়ায় অবিরাম। শুধু সেই জানে এই ছুটে চলার আনন্দ।ব্যক্তি জীবনে
অন্যদের যত সাফল্য আছে তার দ্বিগুন ব্যার্থতা আছে এই মানুষটির। কিন্তু তার
নাকি ব্যর্থতাই ভাললাগে বেশি।</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-35364167706943245812016-05-15T10:20:00.000-07:002016-05-15T10:20:11.761-07:00হলুদ খামের চিঠি<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<br /> …………….<a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://web.facebook.com/hashtag/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%80?source=feed_text&story_id=1699929570265730"><span class="_58cl">#</span><span class="_58cm">জাজাফী</span></a><br /> ==============================================================<br /> নিরার কথা মনে আছে?<br />
যে নিরার একটি চিঠি এসেছিল ডাক যোগে। হলুদ খামে। খামের উপর খুব যত্ন করে
কেউ একজন লিখেছিল নিরার নামটি। সে ভুল করে হোক আর ইচ্ছে করেই হোক নিরার
নামটি দীর্ঘ ইকার যোগে লিখেছিল নীরা।</div>
<div style="text-align: justify;">
সেটাই ছিল নিরার জীবনের
একমাত্র চিঠি। নিরা চলে যাবার আগে যে নোট রেখে গিয়েছিল সেই নোটে প্রথম
চিঠির কথা উল্লেখ ছিল। ফুটফুটে সুন্দর ছিমছাম গড়নের নিরা সদাচারিয়ান ছিল।
বিশাল বাউন্ডারী ঘেরা সবুজ চত্ত্বরে প্রথম যেদিন নিরার সাথে দেখা হয়েছিল
সেদিন নিরা ছিল নির্বাক।কিন্তু কদিন যেতে না যেতেই তার মূখে যেন কথার
ফুলঝুরি ছুটতে শুরু করলো। আমি সদাচারিয়ান নই ফলে নিরার সব কথা আমার শোনা
হতনা।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
নিরাকে নিয়ে সবাই কথা বলতো। নভিসেস ড্রিলের সময় নিরার দাপুটে
পারফরমেন্স যেমন সবার নজরে এসেছিল তেমনি গেমস গুলোতেও সে ছিল অগ্রবর্তী।
নিরাকে আমরা ভালবাসতাম খুব,মনে মনে হিংসাও করতাম। নিরার সুন্দর দুটি চোখ
ছিল বাদামী। চোখের দিকে তাকালে অদ্ভুত রকম মায়া হত। ওর চুলগুলো যদি সোনালী
হতো তবে ওকে অনায়াসে বিদেশীনি বলে চালিয়ে দেওয়া যেত। নিরাকে আমরা খুব
হিংসেও করতাম ওর ঐ অদ্ভুত সুন্দর চোখ আর মিষ্টি হাসির জন্য। রুপন্তী বলতো
নিরা না হাসা পযর্ন্ত নাকি বৃষ্টি আসেনা। কিন্তু সে হাসতো খুবই কম।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
নাহ আমরা কখনোই নিরার কোন দুঃখ ছিল বলে জানতাম না।কিন্তু তার পরও নিরা চলে
গেল। যাবার সময় সবার জন্য একটা নোট রেখে গেল। নোটের ভাজে সেই চিঠিটাও ছিল।
হলুদ খামের চিঠি। যে খামের উপর খুব যত্ন করে দীর্ঘ ইকার যোগে নিরার নামটি
লেখা ছিল।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
শান্তি হাউজের থার্ড ডর্মে থাকতাম আমি। চত্ত্বরের সব থেকে
সিনিয়র হওয়ায় বেশ কিছু সুবিধা ছিল আমাদের। তার পর ভাগ্য গুনে কিংবা
প্রীতির মতে ভাগ্য দোষে আমি ছিলাম হাউজ প্রিফেক্ট। কাঁধে বিশাল দায়িত্ব
নিয়ে সব সময় তটস্থ থাকতাম কিন্তু নিরার সাথে দেখা হলে মনটা শান্ত হয়ে যেত। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
কি ছিল যেন ওর চোখে মুখে। আমার ফটো এলবামের প্রথম ছবিটা নিরার। হলুদ খামের
চিঠিটা যখন এসেছিল আমরা তখন কলেজের শেষ কয়েকটা দিনের জন্য অপেক্ষা করছি।
বাউন্ডারী ঘেরা এই চত্ত্বটির প্রতি মায়া জন্মে গেছে। প্রথম যেদিন এসেছিলাম
কিংবা বলা চলে বাবা মা যেদিন সম্পুর্ন অপরিচিত এই ভূবনে আমাকে রেখে গিয়েছিল
তখন আমার খুব কান্না পাচ্ছিল। দেখতে দেখতে ছয়টি বছর কেটে গেল। এখন আবার
কান্না পাচ্ছে। কলেজ ছেড়ে যাওয়ার কষ্টের সাথে নিরার হলুদ খামের চিঠিতে বয়ে
নিয়ে আসা কষ্ট। পুর্বসুরীদের মত এ চত্ত্বর ছেড়ে চলে গেলেও প্রতিবছর একবার
করে হলেও ফিরে আসা যাবে। কিন্তু নিরা? নাহ সে চলে গেছে বুকের মধ্যে চাপা
কষ্ট নিয়ে। যে কষ্ট তার কাছে এসেছিল ডাক যোগে হলুদ খামে বন্দি হয়ে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এক সপ্তাহ পর আমি যখন শেষ পরীক্ষার হলে বসবো আমার পিছনের সিটটা তখন ফাঁকা
থাকবে।আমি জানি ফিরে তাকালেই দেখবো সেখানে নিরা নেই।বুকের মধ্যে ব্যথা হুহু
করে ওঠে। নিরা কেন থাকবেনা? এর পর পরীক্ষার ফলাফল হবে। সাংবাদিক আসবে
আমাদের খাকি পোষাকে ভি চিহ্ন দেখানো ছবি তুলতে। সামনের সারিতে এডজুটেন্ট
আরও দু চারজন স্যার থাকবেন সেই সারিতে আমাদের সহপাঠিনীদের দুএকজনও থাকবে।
শুধু যার থাকার কথা ছিল অাতিউতি করেও তাকে কোথাও পাওয়া যাবেনা। সে নিরা। ঐ
ছবিতে খাকি পোষাকে দাড়িয়ে পোজ দেওয়ার ভাগ্য সম্ভবত তার ছিলনা। কদিন আগেই সে
চলে গেছে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
উচ্চতর ডিগ্রি নিতে সুইডেন যাওয়ার স্বপ্ন ছিল নিরার
কিন্তু সে সুইডেন না গিয়ে আরো দূরের দেশে গেল। সে দেশের টেলিফোনের
কান্ট্রিকোড আমাদের কারো জানা ছিলনা।</div>
<div style="text-align: justify;">
কেমন আছে এখন সদাচারিয়ান
নিরা?অন্য সদাচারিয়ানরা কি নিরাকে মনে রেখেছে? নিরা যে নোটটা রেখে গিয়েছিল
তার শেষ দুটি লাইন কারো ভুলে যাবার কথা নয়। সে লিখেছিল “তুমি রাতের আকাশে
জ্বলজ্বল করে জ্বলে থাকা থালার মত বিশাল চাঁদ হতে পারো কিন্তু ঐ দূর
দিগন্তে ক্ষীনভাবে জ্বলতে থাকা নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে তোামর আফসোস হবেই”।
কি বলতে চেয়েছিল নিরা?</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমরা যখন ইভিনিং প্রেপের জন্য তৈরি হচ্ছি
নিরাও নিশ্চই তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু তার ডাক পড়লো এডজুটেন্টের রুমে। সেই
প্রথম তার সাথে ডাক পড়লো আমাদেরও। ইভিনিং প্রেপ বাতিল করা হলো সেদিনের মত।
ক্যাম্পাসে সম্ভবত জীবনে প্রথম এবং শেষবার ওটা ঘটেছিল। এডজুটেন্টের রুমে
সারিবদ্ধ ভাবে দাড়ানো আমরা।আমাদের চোখের পলক পড়ছেনা।স্থির হয়ে আছে
এডজুটেন্টের হাতে ধরে থাকা হলুদ খামের দিকে। সেই খামে কি আছে আমাদের জানা
নেই। কোথাও কোন শব্দ নেই। আমরা সবাই যেন কারো জন্য শোক প্রকাশ করতে নিরবতা
পালন করছি। সেই একজনকি নিরা ছিল?নিজের জন্য নিজেই যে দাড়িয়েছে শোক প্রকাশ
করতে। হতেও পারে।<br /> ====================<br /> …………..চলমান।</div>
<div style="text-align: justify;">
১৪ মে ২০১৬</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-8818420050203938338.post-66067924743733855332016-05-15T10:17:00.001-07:002016-05-15T10:17:26.291-07:00যখন পড়বেনা মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
<br /> ==========================<br />
জাতীয় যাদুঘরের নলীনিকান্ত ভট্রশালী প্রদর্শনী কক্ষের বাইরে লাল ফিতা দিয়ে
ঘিরে রাখা হয়েছে।সামনে বেশ সুন্দর করে তাজা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দুর
থেকে ভেসে আসছে রবীন্দ্র সঙ্গীত। সর্ব সাধারনকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা কারণ
তখনো মধ্যমণি এসে পৌছান নি। সাংবাদিকদের সাথে যাদুঘরের কিউরেটর কথা বললেন।
আমি সময়ের একটু আগেই পৌছেছি। সাধারণত এসব প্রোগ্রামের একটুও আমি মিস করতে
চাইনা।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে
ইন্দিরাগান্ধী সংস্কৃতি কেন্দ্র এবং রবীন্দ্র একাডেমীর যৌথ আয়োজনে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একক চিত্রকলা প্রদর্শনী এবং গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
ছিল সেটা। উপস্থিত হলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং
আসাদুজ্জামান নূর। তার পাশে প্রফেসর এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান স্যার।
একটু দূরে দাড়ানো শিল্পী হাশেম খান এবং নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দুমজুমদার।
ফিতা কেটে যেমন বর কনের বাড়িতে প্রবেশ করে তেমনি অতিথিদের নিয়ে আবুল মাল
আব্দুল মুহিতও ফিতা কাটলেন। গায়ে গা ঘেষে দাড়িয়েছিলাম আমি। অবাক হয়ে
ভাবছিলাম এই বয়সেও তিনি এতো তারুন্যের উদ্দীপনা কোথা থেকে পান।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
ঘুরে
ঘুরে রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি দেখলেন। যাদুঘরের মহাপরিচালক বিভিন্ন ছবি
সম্পর্কে বর্ণনা দিলেন। বক্তৃতা পর্বে খুব সংক্ষেপে মন্ত্রী তার অনুভূতি
ব্যক্ত করলেন। ওখানে না গেলে জানা হতোনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত শত ছবি
একেছেন। কবির যখন বয়স ৬৩ বছর তখন তিনি প্রথম ছবি আঁকা শুরু করলেন। বিচিত্র
সব বিষয় নিয়ে তিনি ছবি একেছেন।</div>
<div style="text-align: justify;">
সুদুর কোলকাতা থেকে এসছেন প্রখ্যাত
রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী প্রমিতা মল্লিক। উপস্থিত ছিলেন মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের সংগীত শিল্পী প্রখ্যাত রবীন্দ্র গবেষক জন থর্প। জন থর্প
উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। অসাধারণ বাংলা বলেন তিনি। সেই সাথে তার গানের
গলাও অসাধারণ। তিনি রবীন্দ্রনাথকে ভালবেসেছেন অন্য যে কারো চেয়ে বেশিই।
তাই তিনি সুর লয় ঠিক রেখে রবীন্দ্রনাথের অনেক গান ইংরেজীতে অনুবাদ করেছেন
যা থেকে দু একটা তিনি গেয়ে শুনিয়েছেন। তিনি মনে করেন রবীন্দ্রনাথ তখনি
বিশ্ব কবি হবেন যখন তার অসাধারণ সব লেখা ভিন্ন ভাষাভাষিদের হাতে পৌছানো
যাবে। যদি অন্যরা নাই জানতে পারলো রবীন্দ্রনাথ কি লিখেছেন তবে তাদের চোখে
তিনিতো কোন দিনই বিশ্বকবি হবেন না।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আমাদের মুগ্ধতা যেন কাটতেই
চায়না। ১৯৮০ সালে তিনি যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন তখন রবীন্দ্রনাথের নামই
শোনেন নি। সেই তিনিই বিগত আঠার বছর ধরে রবীন্দ্রনাথে ডুবে আছেন। আক্ষেপ করে
বলেছেন রবীন্দ্রনাথ অসংখ্য গান লিখেছেন কিন্তু সবাই তার থেকে বেছে বেছে
চল্লিশ পঞ্চাশটা গানই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গায়। বাকি গানগুলো আজীবন আড়ালেই থেকে
যায়।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
রবীন্দ্র একাডেমী আয়োজন করে প্রফেসর আনিসুজ্জামান,প্রমিতা
মল্লিক এবং জন থর্পকে সংবর্ধনা দেয়। এর পর উপস্থিত হন জাতীয় সংসদের স্পিকার
শিরিন শারমিন চৌধুরী। তিনি মঞ্চে না উঠে দর্শক সারিতে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ
করেন। </div>
<div style="text-align: justify;">
সব কিছুকে ছাপিয়ে যায় <a class="_58cn" data-ft="{"tn":"*N","type":104}" href="https://web.facebook.com/hashtag/%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B2%E0%A6%BE?source=feed_text&story_id=1700388650219822"><span class="_58cl">#</span><span class="_58cm">তক্ষশীলা</span></a>
বিদ্যা নিকেতনের ক্ষুদে বন্ধুদের রবীন্দ্রনাথে মুগ্ধ হয়ে অসাধারণ
উপস্থাপনায়। অরিত্ররা এতো অসাধারণ ভাবে রবীন্দ্রনাথকে তুলে ধরেছে যে স্বয়ং
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উপস্থিত থাকলে উঠে দাড়িয়ে পিচ্চিগুলোকে সাধুবাদ জানাতেন।
রফিকুল ইসলামের সংগীত পরিবেশনা এবং জয়ন্ত চট্টপাধ্যয়ের আবৃত্তিকে ছাপিয়ে
তাই সবার মনে স্থান করে নেয় অরিত্র নামের আট বছরের ছেলেটি ও তার দলের বাকি
এগারজন সদস্য।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
যাদু ঘর থেকে বেরিয়ে যখন টিএসসির দিকে যাচ্ছি তখনো কানে বাজছে রবীন্দ্রনাথ "যখন পড়বেনা মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে"</div>
<div style="text-align: justify;">
সন্ধ্যায় যখন মৃত্তিকাদের সাথে সাক্ষাত হলো তখনো যেন আমি রবীন্দ্রনাথে আচ্ছন্ন ছিলাম।</div>
</div>
Unknownnoreply@blogger.com0