Moonrise Kingdom

Moonrise Kingdom মুনরাইজ কিংডম মুনরাইজ কিংডম ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রোমান্টিক কমেডি ড্রামা মুভি। পরিচালকঃ ওয়েস এন্ডারসন। প্রযোজনাঃ জেরিমি ডসন,স্কট রুডিন,ওয়েস অ্যান্ডারসন এবং স্টিভেন এম রালেস। কাহিনীঃ অ্যান্ডারসন এবং রোমান কপ্পোলা। চিত্রায়নঃরোড আইল্যান্ড। এপ্রিল ২০১১ থেকে ২৯ জুন ২০১১। বিশ্বব্যাপী আনয়নঃ ফোকাস পিকচারর্স। অভিনয়েঃ জেরাড গিলম্যান,কারা হেইওয়ার্ড,ব্রুস উইলিস,অ্যাডওয়ার্ড নরটন,বিল মারি প্রমূখ। মনোনয়নঃ বেষ্ট অরিজিনাল স্ক্রিন প্লের বিবেচনায় এটি একাডেমীক অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনয়ন পায়।এ ছাড়া বেষ্ট মোশন পিকচার এবং মিউজিক্যাল ও কমেডি বিভাগের জন্য গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনিত হয়। কাহিনীঃ ১৯৬৫ সালের কথা। ইংল্যান্ডে একটা দ্বীপ ছিল যেটার নাম ছিল নিউ পেনজেন্স। স্যাম সাকুস্কি(জেরাড গিলম্যন) নামে বার বছরের এক কিশোর খাকি স্কাউট সামার ক্যাম্পে অংশ নেয়। এটি ছিল ক্যাম্প আইভানহো এবং এর পরিচালক ছিলেন স্কাউট মাস্টার ওয়ার্ড। ওই আইল্যান্ডের এক অংশে পালক বাবা ওয়াল্ট এবং মা লুরার সাথে বাস করতো সুজি বিশপ(কারা হেইওয়ার্ড)নামে এক পনের বছর বয়সী কিশোরী। তাদের পরিবারে আরো ছিল তার ছোট ছোট তিন ভাই বোন। তারা তাদের বাসার নাম দিয়েছিল সামার এন্ড। সুজি এবং স্যাম আগের গ্রীস্মে নয়োস ফ্লড নামে একটা মহড়া করেছিল একটা চার্চে।সেখান থেকেই তারা কলম বন্ধু হয়ে ওঠে। তারা সেখানে একটা গোপন চুক্তি করে যে তারা একত্রে পালিয়ে যাবে।সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী স্যাম তার ব্যাগে ভরে নেয় ক্যাম্পেইন করার সরঞ্জাম আর সুজি নেয় ছয়টা বই,তার বিড়াল এবং একটা রেকর্ড প্লেয়ার।তারা কয়েকদিন একত্রে হাইকিং এবং ক্যাম্পিং করে সময় কাটায়।তারা অনেকটা বুনো জন্তুর মত স্বাধীন ভাবে সময় কাটায় একটা লক্ষ্য নিয়ে আর তা হলো তারা ওই আই ল্যান্ড থেকে অনেক দূরে একটা আইল্যান্ডের একটা গুহায় চলে যাবে তারা যেটার নাম রেখেছিল মুনরাইজ কিংডম।একসময় তারা সেখানে যায় এবং সাগর সৈকতে তারা পরস্পরকে চুমু খায় নাচ করে। তাদের পরনে তখন কেবল ছিল আন্ডার ওয়্যার।ওদিকে সুজি নামের মেয়েটার পালক বাবা মা,পুলিশ এবং স্কাউট মাস্টার অনেক কষ্টে তাদের ওখানে খুজে পায়। সুজির বাবা মা তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে আর আদেশ দেয় যেন কখনো স্যামের সাথে দেখা না করে। ওদিকে স্যাম পুলিশ ক্যাপ্টেনের সাথে থাকে যতক্ষণনা স্যামকে কিশোর সংশোধনাগারে না নেয়া হয়।এর একটাই কারন স্যামের পালক বাবা মা তাকে তাদের বাড়ি ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করে।ওদের ভালবাসা দেখে স্কাউটের আগের এক কমান্ডারের মন গলে যায়। যিনি এক সময় স্যামকে একদন পছন্দই করতেন না। তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন স্যাম আর সুজির মিলন ঘটাবেন এবং তাদের এই ভালবাসার জয় করাবেন। তিনি তাদের পালিয়ে যাওয়ার সুজোগ করে দিলেন এবং সাক্ষী থেকে একটা অস্থায়ী চার্চে তাদের বিয়ে দিয়ে দিলেন। শিশুতোষ সিনামা বিবেচনায়ঃ শিশুতোষ সিনেমা বিবেচনায় এটি সর্বকালের অন্যতম সেরা হিসেবে হয়তো অনেকেই নির্দিধায় নির্বাচন করবেন। তবে আদতে ছবিতে কিছু দৃশ্য দেখানো হয়েছে যা কারো কারো কাছে খারাপ মনে হয়েছে। একটা বার বছরের ছেলে আর একটা পনের বছরের মেয়ের ভালোবাসার যে অসাধারণ কাহিনী সিনেমায় ফুটে উঠেছে তা এক কথায় অসাধারণ। তবে সমুদ্র সৈকতে শুধু আন্ডারওয়্যার পরিয়ে ছেলেটিকে দিয়ে মেয়েটির লিপ কিস বা চুম্বন সাধারণত ছোটদের সিনেমায় বেমানান। রক্ষণশীল পরিবারের কিংবা পশ্চিমা বিশ্বের দেশ গুলোর বাইরের দেশের কিশোর শিশুরা সাধারণত এ ধরনের দৃশ্য দেখে অভ্যস্ত নয়। তাই তারা এটা দেখতে চাইলেও তাদের পরিবারের কাছে দৃশ্যটা বাজে বলেই মনে হতে পারে।সর্বপরি সিনেমাটা ছিল টানটান উত্তেজনা পূর্ণ এবং এক কথায় এর অভিনেতা অভিনেত্রীরা অসাধারণ নৈপুন্য দেখিয়েছেন। কিশোর অভিনেতারা যা করেছেন তা অনন্য। এবং সম্ভবত এটিই পৃথিবীর প্রথম সিনেমা যেটা সম্পূর্ণরুপে স্কাউটদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অন্যান্য তথ্যঃ মুক্তির তারিখঃ ১৬ মে ২০১২ (কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে)। ১৬ মে ২০১২ (ফ্রান্সে) এবং ২৫ মে ২০১২ ইউএসএতে। সিনেমার ব্যাপ্তিঃ মোট ৯৪ মিনিট। দেশঃ আমেরিকা। ভাষাঃ ইংরেজী। বাজেটঃ ১৬ মিলিয়ন ডলার।(১ কোটি ৬০ লাখ ডলার)। বক্সঅফিসঃ ৬৫০৪৪০৮৭ মার্কিন ডলার।(৬ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৭ মার্কিন ডলার)। মুনরাইজ কিংডম সিনেমার একটি দৃশ্য। রিভিউ লেখকঃ জাজাফী এস এম হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইমেইলঃ chotoderbondhu@gmail.com ফেসবুকঃ www.facebook.com/zazafeee

কোন মন্তব্য নেই: