বাস্তবতা

বাস্তবতা
.............জাজাফী

তোমাদের ভালবাসা কতখানি খাটি
চলো আজ মেপে দেখি,আনো ঘটিবাটি।

ভালবাসা মাপারতো নেই দাড়িপাল্লা
কতটুকু ভালবাসো জানে সেটা আল্লাহ।

তার পরও উপায় আছে সেটা যায় মাপা
বলছিল আড্ডাতে ও বাড়ির আপা।

কাজের মানুষকে খুব স্নেহে রাখি
বলছিল এ কথা ও বাড়ির কাকি।

একই সোফাতে বসে তারা দেখে টিভি
কাজের মানুষদের বকেনাতো বিবি।

আপা আর কাকি আর কাকার কথা
আড্ডাতে নেমে এলো সেই নিরবতা।

একদিন ঘরে বসে চিৎকার শুনি
মাগো বলে কাঁদছে ও বাসার রুনি।

রুনিতো কাজের মেয়ে আপার বাসায়
যে আপা সবারে গল্পে হাসায়।

গিয়ে দেখি রুনিটার সারা গায়ে দাগ
পিটিয়েছে আপা তাকে,বলে দেছে ভাগ।

মূখে মূখে বড় কথা বলেছিল আপা
তার কত ভালবাসা হয়ে গেল মাপা।

যাচ্ছিনু স্কুলে কাঁধে ছিল ব্যাগ
জীবনে অনেকে নাকি কত করে ত্যাগ।

কাকিদের বাড়িতে থাকে এক ছেলে
স্কুলে যাওয়া আসায় ওর দেখা মেলে।

সেদিনও দেখা হলো এক গাল ফোলা
হাতের পাঁচ আঙ্গুলের আলপনা তোলা।

পাশে গিয়ে বললাম কি খবর বল
আমারতো বল আছে খেলি গিয়ে চল।

আমারে বললো সে খুব ব্যাথা গালে
দিনে রাতে কাকি শুধু মালে আর মালে।(মারে আর মারে)

কথা শুনে আমি যেন বোবা হয়ে যাই
কাকির স্নেহের আমি নমুনাটা পাই।

মূখে মূখে বড় কথা,গল্পের ধুম
কাজের লোকের নাকি আলাদা রুম।

রুমতো দূরের কথা বিছানাও নেই
মাপা হলো ভালবাসা নমুনা দেখেই।

দামী গাড়ি জ্যাম আছে  জানালায় টুনি
দূরে দাড়িয়ে তার অনুনয় শুনি।

জানালাটা খোলোনাই মূখে দিলে গালি
ভালবাসো এই কথা কতই আওড়ালি।

তোমাদের ভালবাসা কতটুকু খাটি
জানিনা তা ভাবি আর একটা একা হাটি।

ওরাতো কাজের লোক ওরা থাক বাদ
ভালবাসা নিয়ে আছে কত প্রতিবাদ।

তোমার নিজের ছিল একটাই ছেলে
কতটুকু ভালবাসা তাকে দিয়েছিলে।

টাকা কড়ি সব আছে শুধু নেই মন
কতটা ভালবাসো প্রশ্ন এখন।

টুতে পড়া ছেলেটা কলম হারালে
স্বামীকে দিয়ে তুমি ছেলেকে মারালে।

জেনে রেখো তোমাদের ভালবাসা মেকি
চোখ কান খোলা রেখে সব কিছু দেখি।

ভালবাসো স্নেহ করো যদি বলো আর
জেনে রেখ তখন আর নেই নিস্তার।

...........................................

উত্তরা,ঢাকা-১২৩০
২৩ অক্টোবর ২০১৫






কোন মন্তব্য নেই: