……….জাজাফী
পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি নেওয়ার পর ভাল কিছু চোখেই
পড়েনা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত মাটিতে পা ঠুকে স্যালুট করে জুতার তলা ক্ষয় হয়ে
যায়।সব থেকে ছোট পদের চাকুরীতে এই এক সমস্যা, যেই আসুক সে অবধারিত ভাবেই সিনিয়র
পোষ্টেরই হবেন এবং তাকে স্যালুট দিতেই হবে।স্যালুট দিতে কোন অসুবিধা নেই। ওটাই
যেহেতু দায়িত্ব তবে নিষ্ঠার সাথে তা কর্তব্য কাজ বলেই পালন করে আসছি। থানা হাজতে
হলে কিছুটা আরামে ঘুমিয়ে কাটানোর সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। কিন্তু ঐ যে ভাগ্যে
ফেরে পোষ্টিং হয়েছে পুলিশ সুপারের কাযার্লয়ে।তাই আরাম,ঘুম, বসাতো দুরের কথা মাটিতে পা ঠুকার ও অবসর মেলেনা। তার ওপর যে
পারে সেই কথা শোনায়। নিম্ন পদে চাকুরী করবো কথা শোনা ছাড়া উপায় কি। কিন্তু সেই কথা
সহ্য করার ক্ষমতা সবার থাকে না। তিন বছরে তাই আঠারো বার বদলী হতে হয় তবারকের।
তবারক ক’দিন হলো বদলী হয়ে রংপুর চলে গেছে।সেও অবশ্য আমার মতই কনস্টেবলই ছিল। কথা
তার মোটেই সহ্য হতনা,ফলে কদিন যেতে না যেতেই উপর মহল তাকে বদলী করে দিত। আমার সব
গা সওয়া হয়ে গেছে। সব থেকে ভয় পাই যখন পুলিশ সুপার স্যার বদলী হন। বার বার মনে হয়
যিনি ছিলেন তার সাথে কোন না কোন ভাবে মানিয়ে নিয়েছি কিন্তু যিনি আসবেন তার সাথে কি
মানিয়ে নিতে পারবো।
আজ নতুন পুলিশ সুপার স্যারের আসার কথা। মনে মনে সব
প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমার স্ত্রী নিজ হাতে জুতা পরিস্কার করে দিয়েছে। বাইরে
থেকে জুতা কালি করার মত বিলাসীতা করার সাহস আমার বা আমার স্ত্রীর হয়নি কখনো। সংসার
টিকে আছে স্ত্রীর গুনে। মাস শেষে যে বেতন পাই তা স্ত্রীর হাতে তুলে দিয়ে চিন্তা
মুক্ত হই। খেয়ে না খেয়ে হলেও সে কীভাবে যেন মাসটা পার করে দেয়।নতুন পুলিশ সুপার
স্যার আসবেন শুনলেই সে কিছু না কিছু রেধে জোর করে দিয়ে দেয়। কিন্তু সাহসের অভাবে
তা নতুন পুলিশ সুপার স্যার পযর্ন্ত পৌছানো হয়না। কিংবা সত্যি বলতে তার পযর্ন্ত
পৌছানেরা আগেই অন্যরা তা চেটেপুটে শেষ করে।যুক্তির অভাব নেই তাদের। তারা মনে করে
পুলিশ সুপার চাইলেই এর থেকে ভাল খাবার খেতে পারবেন কিন্তু তারা চাইলেও খেতে
পারবেনা।
বিগত তিন বছর তিনজন পুলিশ সুপারের অধীনে চাকুরী করেছি। আজ আবার যখন নতুন
পুলিশ সুপার আসবেন বলে শুনেছে তখন আমার স্ত্রী ঠিকই নিয়ম করে খাবার তৈরি করে দিয়েছিল।
কিন্তু সে যেমন নিয়ম ভাঙেনি তেমনি নিয়ম ভাঙেনি অফিসের অন্যরাও।সকালে অফিসে আসার
পরই সব খাবার শেষ করেছে। তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বলেছে, ভাবির রান্নার হাত অসাধারণ!
শুধু ভাগ্যই খারাপ এমন অসাধারণ যার রান্নার হাত সে কেন পুলিশ কনস্টেবলের ঘরে
থাকবে। তারতো থাকার কথা রাজ পরিবারের রাধুনী হিসেবে। আমি মনে মনে বলি উপমার কি ঢং!
রাজপরিবারের রাধুনী!! কেন! রাজকন্যা বা রাজরানী ভাবা যেতনা?
আজকাল মানুষ মানুষকে ছোটলোক ভাবতেই বেশি পছন্দ করে।সাত
পাঁচ ভাবতে ভাবতে কখন যে নয়টা বেজে গেছে টেরই পাইনি।স্যারের এতোক্ষণে চলে আসার কথা
কিন্তু স্যার আসছেন না কেন বুঝে উঠতে পারছিনা। স্যারের গাড়ির হর্ণ শুনবো বলে দুই
কান খাড়া করে রেখেছি।সময় চলে যাচ্ছে কিন্তু স্যারের গাড়ি আসছেনা। স্যারকে
অভ্যর্থনা জানানোর জন্য এএসপি মহিবুল স্যার আগেই চলে এসেছেন।তিনি বার কয় এসে উকে
মেরে গেছেন।সাত পাঁচ ভাবছি এমন সময় অফিসের সামনে টুংটাং শব্দ করতে করতে একটা রিকশা
এসে থামলো।বয়স্ক এক রিকশা ওয়ালা শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে রিকশা চালিয়ে এসেছে এটা
তার কপালে জমে থাকা ঘাম দেখেই বোঝা যায়। রিকশা থেকে যে যাত্রী নামলেন তিনি অল্প
বয়সী। রিকশা থেকে নামতেই তার দিকে চোখ পড়লো। আমার পা আপনা আপনি উঠে গেল উচুতে আর
ডান হাত উঠলো কপালে। পা ঠুকে স্যালুট করতে দেরি হয়নি আমার। তার কাধের অ্যাপুলেটই
আমাকে স্যালুট করতে বাধ্য করলো। তিনিই যে আমাদের নতুন পুলিশ সুপার তাতে কোন সন্দেহ
নেই।
কিন্তু বিস্মিত হয়েছি গাড়ির পরিবর্তে রিকশা করে
আসতে দেখে। মনে মনে যুক্তি দাড় করিয়েছি যে, নিশ্চই স্যারের গাড়ি রাস্তায় নষ্ট
হয়েছে তাই স্যার সময় মত অফিসে আসার জন্যই রিকশায় উঠেছেন।
রিকশা থেকে নেমে তিনি মানিব্যাগ বের করে রিকশা ওয়ালার
ভাড়া দিলেন। রিকশা ওয়ালা টাকা গুনে দেখে বললো স্যার আরো পাঁচ টাকা দেন।আমার মনে
হচ্ছিল গিয়ে ব্যাটাকে আচ্ছা একটা ধমক দেই। পুলিশ সুপারের কাছে ভাড়া নিয়ে কথা বলছে।
কিন্তু স্যারের সাথেতো এখনো কথাই হলনা সেখানে অমন কিছু করার সুযোগ কোথায়।স্যার
বললেন এই টুকু মাত্র পথ! ত্রিশ টাকা দিলাম তার পরও পাঁচ টাকা বেশি চাচ্ছেন? রিকশা
ওয়ালা বললেন, কপালের ঘামের দিকে তাকিয়ে দেখুন ওটা কষ্টের টাকা, তাই ন্যায্য ভাড়াই
চাইছি।পুলিশ সুপার স্যার রিকশা ওয়ালাকে আরো পাঁচ টাকা ধরিয়ে দিলেন। রিকশা ওয়ালার মুখটা হাসিতে ভরে
উঠলো।যেন তার মূখে ফুটে উঠেছে বিজয়ের হাসি।
বিনা মেঘে শুনেছি বজ্রপাত হয়। জীবনে সেদিনই প্রথম
সেটার চাক্ষুস স্বাক্ষী হলাম। ভাড়া মেটানোর পর পুলিশ সুপার স্যার একটু থামলেন।
রিকশা ওয়ালা তখনও দাড়িয়ে আছে। বুঝতে পারছিনা ব্যাটার মতলবটা কি? ভাড়া পেয়েছে এবার
মানে মানে কেটে পড়ো কিন্তু সে দাড়িয়েই আছে। পুলিশ সুপার স্যার হাতের ঘড়ি দেখলেন।
তার পর রিকশা ওয়ালার দিকে এগিয়ে গেলেন।মনে মনে ভাবলাম বেশি ভাড়া দাবী করার কারণে
এবার দু একটা চড় থাপ্পড় নিশ্চই দিবেন। কিন্তু আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো যখন
দেখলাম পুলিশ সুপার স্যার নিজের পকেটে রাখা রুমালটা বের করে বৃদ্ধ রিকশা ওয়ালার
কপালে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘাম মুছে দিলেন।শরীরে চিমটি কেটে দেখলাম আমি স্বপ্ন
দেখছিনাতো!নাহ সেটা স্বপ্ন ছিলনা।রিকশা ওয়ালার ঘামে ভেজা রুমালটা পরম মমতায় পকেটে
ভরে পুলিশ সুপার স্যার নিচু হলেন।
আমার স্বল্প বুদ্ধির মাথাটা পুরো পুরি এলোমেলো
করে দিয়ে সেই মাথার উপর আকাশ পাতাল সব ভেঙ্গে দিয়ে পুলিশ সুপার স্যারের দুই হাত
চলে গেল তাকে বয়ে নিয়ে আসা বৃদ্ধ রিকশা ওয়ালার পায়ে। কয়েকবার পা ছুয়ে সালাম করার
পর বৃদ্ধ রিকশা ওয়ালা স্যারকে ওঠালেন।স্যারের কপালে একটা চুমু দিয়ে রিকশা নিয়ে
ফিরে গেলেন। যতক্ষণ সে চোখের আড়ালে মিলিয়ে না গেল ততোক্ষণ স্যার ঠায় দাড়িয়ে
থাকলেন। তার পর তাকিয়ে দেখি একসময় স্যারও সেখানে নেই। যেন ভোজবাজির মত মিলিয়ে
গেছে।মনে হলো যা দেখেছি সব স্বপ্ন ছিল। ক্লান্তি আর একঘেয়েমি দিবালোকেও চোখে অলীক
স্বপ্ন নিয়ে এসেছে। পরক্ষণেই সজোরে স্যালুটের শব্দ ভেসে আসলো।গেট ছেড়ে ক্ষণিকের
জন্য ভিতরে উকি দিয়ে দেখলাম নাহ! সত্যি সত্যিই স্যার ভিতরে আছেন।
অভাবনীয়
দৃশ্য দেখে আমি এতোটাই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম যে, স্যার কখন ভিতরে প্রবেশ
করেছিলেন তা টেরই পাইনি।এটা বড় ধরনের অন্যায় হয়েছে।কিন্তু শাস্তি পাওয়ার কোন ভয়
মনে কাজ করছেনা। যে স্যার রিকশা ওয়ালার কপালের ঘাম নিজ রুমাল দিয়ে মুছে দিতে পারেন
তিনি আর যাই হোক নিশ্চই শাস্তি দিবেন বলে মনে হয়না।রিকশা ওয়ালার ঘটনাটা আমি ছাড়া
আর কারো চোখে পড়েনি।আমার স্ত্রী যে খাবার পাঠিয়েছিল সেটার জন্য আফসোস হলো। এর আগে
যখন খাবারগুলো অন্যরা ভাগ করে খেয়েছে তখন আফসোস হয়নি কিন্তু আজ আফসোস হল। এমন একজন
মানুষকে খাওয়াতে না পারার দুঃখ সত্যিই ভুলার নয়। সেদিন স্যার সবাইকে ডেকে নিয়ে
পরিচিত হলেন। আমার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন। সেই তাকানোর মধ্যে মমতা ছিল
নাকি ক্ষোভ তা জানিনা।
রাতে খেতে বসে স্ত্রীকে
ঘটনাটা বললাম। আমার বলা শেষ হওয়ার আগেই সে উঠে চলে গেল। এখানে রাগ করার কি আছে
বুঝিনি।আমি যে স্যারকে তার রান্না করা খাবার দেইনি সেটাওতো বলিনি। শেষে একা একা
বসেই খাবার শেষ করে রুমে গিয়ে দেখি তারানা কাঁদছে। আমার স্ত্রীর নাম তারানা। আমি
তার পাশে বসে তাকে শান্তনার সুরে বললাম, আমি কি এমন বলেছি যে তাতে কাঁদতে হবে?
তারানা চোখ মুছতে মুছতে বললো, অমন একটা ভাল মানুষের ওরকম ভালমানুষি ঘটনা শুনে যারা
কাঁদেনা তারা পাষান!।বুঝলাম আবেগেই কেঁদে ফেলেছে আমার স্ত্রী।তার ভাষায় আমিও পাষান।
খাবার যে দেওয়া হয়নি এটা বলার সাহস হলোনা আমার।তার কান্না হয়তো থামবেই না। কি জানি
হয়েছিল আমার। স্ত্রীকে বললাম নতুন স্যারের জন্য তোমার জীবনের সেরা রান্নাটা কি
করবে কালকে?তারানা যেন সেই রাতেই রান্নার সব কিছু রেডি করে রাখলো।একটি বারও প্রশ্ন
করলো না একই স্যারকে দুবার কেন রান্না করে খাওয়াতে হবে।
পরদিন ভোরে স্ত্রীর রান্না করা পায়েশ নিয়ে গেলাম
স্যারের জন্য।আজ আর কোন ভাবেই সেটা কারো নজরে পড়তে দেইনি।অপেক্ষায় আছি স্যারকে বয়ে
নিয়ে আসা রিকশার টুংটাং শব্দের কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে স্যার এলেন তার জন্য
বরাদ্দ অফিসের গাড়িতে। সোজা চলে গেলেন নিজের রুমে।মনটা খারাপ হয়ে গেল। ভেবেছিলাম
স্যার হয়তো রিকশাতেই আসবেন।আমার যেমন গাড়ি নেই স্যারও তেমন রিকশায় চড়েন। তার মানে
সমানে সমান।কিন্তু সব মিথ্যে করে দিয়ে স্যার গাড়িতেই আসলেন। ভাবলাম থাক পায়েশটুকু
স্যারকে দিয়ে আর লাভ কী!তার চেয়ে নিজে খেয়ে নিলেই ভাল।দুপুরে সত্যি সত্যিই
পায়েশটুকু নিজে খেয়ে তৃপ্তীর ঢেকুর তুললাম।মনে মনে তারানার প্রশংসা করলাম যে, আমার
মত পুলিশ কনস্টেবলের ঘরে তাকে মানায় না। তার রাজরানী হওয়া উচিত ছিল।আবার ভাবলাম
যাহ রাজরানীরা কি কখনো রান্না করে নাকি?তখন মনে হলো অফিসের অন্যদের উপমাটাই ঠিক
ছিল। রাজ প্রাসাদের রাধুনী হওয়াই উচিত ছিল তার।
যে মানুষ প্রথম দিন রিকশায় অফিসে এসে নিজের রুমাল
দিয়ে রিকশা ওয়ালার ঘাম মুছে দিয়ে আমার মন জয় করে নিয়েছিল সেই তিনিই রাতের
ব্যাবধানে আমার মন থকে উধাও হয়ে গেলেন। ব্যবধান কি তবে ঐ রিকশা আর অফিসের গাড়িই
ছিল কিনা জানিনা।দুপুরের পর স্যারের রুমে আমার ডাক পড়লো।মনে মনে প্রস্তুতি নিলাম
গতদিন স্যারকে সময় মত সম্মান দেখাতে পারিনি নিশ্চই আজ তার শাস্তি পাব।
অনুমতি নিয়ে স্যারের
রুমে ঢুকলাম।পিছনে ফিরে ছিলেন বলে তিনি কি করছেন তা দেখতে পাইনি। পরে দেখলাম একটা
বাঁধাই করা ছবি কাপড় দিয়ে মুছে টেবিলের একপাশে রাখলেন। সেদিকে আমার চোখটা আটকে
গেল।সেই রিকশা ওয়ালার ছবি!! সম্ভবত গতদিন আমার মাথায় শুধু একটা আসমান ভেঙে পড়েছিল
আর আজ ভেঙে পড়েছে বাকি ছয়টা আসমান। কোন দিন ভাবিনি আমারও চক্ষু ছানাবড়া হবে।আমার
চোখে কি জিজ্ঞাসু দৃষ্টি ছিল? স্যার মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, আমার বাবার ছবি!! জন্মের
পর থেকে বাবাকে রিকশা চালাতে দেখেছি।রিকশা চালিয়ে আজ আমাকে পুলিশ সুপার বানিয়েছেন।
আমি পুলিশে চাকরি পাওয়ার পর বাবা রিকশা চালান না। শুধু নতুন কোন অফিসে জয়েন করতে
গেলে বাবা নিজে ছেলেকে রিকশা চালিয়ে নিয়ে আসেন। দামাদামি করে ভাড়া নেন।স্কুল
কলেজেও বাবার রিকশাতেই যেতাম আমি।বাবা নিজের রিকশাটা এখনো যত্ন করে রেখে
দিয়েছেন।তার ইচ্ছা নাতি নাতনিদেরও তিনি নিজের রিকশায় চড়াবেন।
স্যারের কথা শুনে আমার
চোখ ভিজে উঠলো।ওখানে দাড়িয়ে থাকা সম্ভব নয়।অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে এলাম। তারানা থাকলে
বুক ফুলিয়ে বলতে পারতাম, দেখ আমি পাষাণ নই। মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দিলাম। যত্ন
করে রান্না করা পায়েশটুকু কেন এই মানুষটিকে না খাইয়ে নিজে খেয়েছি। আমি যে আহাম্মক
তা এখন ভালই বুঝেছি।সেদিনও রাতে খেতে বসে আমার স্ত্রী নতুন স্যারের প্রসঙ্গ তুলে
জানতে চাইলো স্যারকে আজ কেমন দেখলে?আমি কোন উত্তর দেইনি।উত্তর দেয়ার মত ভাষা আমার
জানা নেই।শুধু বলেছি তারানা কালকে আর একবার প্লিজ স্যারের জন্য বিশেষ কিছু রান্না
করবে?! তারানা আমার মূখের দিকে তাকিয়ে আছে। যেমনটা আমি তাকিয়ে ছিলাম পুলিশ সুপারের
টেবিলের কোনায় রাখা ছবিটার দিকে।ছবিটা ছিল একজন রিকশাওয়ালার।
……………………….
ইমেইলঃ zazafee@yahoo.com
৩ মে ২০১৬
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন