অষ্ট ভ্রমন

ইবনে বতুতার মত আমিও ভ্রমন করেছিলাম অনেক দেশ। সেই সব দেশের নাম দিলাম নিচেয়। সাথে আমার পরিচয়টাও।
=======================
আমি জামালপুরের জামাল। মানিক গঞ্জের মানিকের পরামর্শ মতে ঢাকা বেড়াতে গিয়ে ভুতের গলির ভুত দেখে ভয় পেয়ে পালিয়ে ধোলাইখাল গিয়ে বেধড়ক ধোলাই খেয়ে এলিফেন্টরোড এসে বিশাল এক হাতির লাথি খেয়ে ল্যাংড়া ও লুলা হয়ে চিকিৎসার আশায় টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর গিয়ে এক ভূয়া ডাক্তারের কাছে প্রতারিত হই।
তার পর সুনামগঞ্জের সুনামী ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে হবিগঞ্জ যাওয়ার পথে এক নতুন হবি চাগিয়ে ওঠে। হবি পুরণ করতে নবাব গঞ্জের নবাবের কাছে যাই। নবাব ব্যর্থ হয়ে আমাকে বগুড়ার গুড় কিনে নিয়ে সোনাখালীর সোনা মিয়ার সাথে দেখা করতে বলে। সোনামিয়াকে না পেয়ে কুড়ি গ্রাম গিয়ে কুড়ি টাকা দিয়ে লালমনির হাটের লাল এবং নীলফামারীর নীল রং কিনে পঞ্চগড়ের পাচ টাকায় গাইবান্ধার গাইয়ের দুধ পান করে লক্ষ্মি হওয়ার আশায় লক্ষ্মিপুর যাত্রা কালে বান্দরবনের কতিপয় বান্দর আমাকে কিলিয়ে ঘুষিয়ে সাতক্ষিরা পাঠায়।
অতঃপর সাতক্ষীরার হাসপাতালে সাত দিন থেকে সাতটি ক্ষিরা খেয়ে এবং বরিশালের বরই খেয়ে সুস্থ্য হয়ে ঝিনাইদাহ গিয়ে জ্বিনের সাথে দেখা করি। তার সাথে কথা বলতে বলতে মহেশপুর এসে দেখি মহিষ এবং হরিণাকুন্ডের হারিণকে বাগের হাটের বাঘ তাড়া করছে। এ অবস্থা নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে কালিগঞ্জের কালো কালি গায়ে লাগিয়ে শৈলকুপা থেকে কুপানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে বাঘকে কুপিয়ে আহত করে ফেলেছি। বর্তমানে মাগুরার মাগুর মাছ খাইয়ে সুস্থ্য করার জন্য ঝালকাঠির ঝাল এবং ফেনীর ফেন একসাথে মাখিয়ে খাওয়াচ্ছি।
বাঘ সুস্থ্য হলে বানিয়াবহুর বানের মধ্যে ভরে কাওড়ার কাওছারকে সাথে নিয়ে মমিন নগরের মমিনের পরামর্শ মতে কক্সবাজারের বাজারে বিক্স্রি করে একটা বড় ঝামেলা থেকে মুক্ত হবো।
এতো কিছু করে এখন আমি জ্বরে ভুগছি তাই আপনারা দোয়া করবেন যেন সুস্থ্য হয়ে এবার ঠাকুরগাওয়ের ঠাকুর এবং ব্রাহ্মনবাড়িয়ার ব্রাহ্মনের পরামর্শ নিয়ে রাঙ্গামাটির মাটি আনতে যাওয়ার পথে শেরপুরের শের এবং ময়মনসিংহের সিংহকে পরাস্থ করে জয়পুরহাট গিয়ে জগা কুস্তিগিরকে পরাস্থ করে জয় লাভ করতে পারি।
বি.দ্র: লেখাটি প্রথম আলোর রস+আলোতে বেশ আগে প্রকাশিত। তবে লিংক দিতে পারছিনা।

কোন মন্তব্য নেই: